1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে শিশা বারে গুলিতে ৯ জন নিহত

২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০

জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টের কাছে হানাউ শহরের দুটি শিশা বারে হামলায় নয়জন প্রাণ হারিয়েছেন৷ সন্দেহভাজন আততায়ীকে তার বাসায় মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে৷ তার মায়ের মৃতদেহও সেখানে ছিল৷

https://p.dw.com/p/3Y2G6
হামলা হওয়া একটি শিশা বারছবি: Getty Images/AFP/T. Lohnes

ঐ আততায়ী স্বীকারোক্তিমূলক এক চিঠিতে ডানপন্থি মতামত প্রকাশ করেছিলেন৷

বুধবার স্থানীয় সময় রাত ১০টার দিকে ঐ হামলার পর পুলিশ তল্লাশি শুরু করে। ভোর রাতে পুলিশ জানায়, একজন দুষ্কৃতির মৃতদেহ তার বাড়ি থেকেই উদ্ধার করা হয়েছে।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের সন্দেহ, এর পিছনে অতি দক্ষিণপন্থিদের হাত রয়েছে।

এক প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্য, চার জন দুষ্কৃতি ছিল। প্রথমে একটি শিশা বারের বাইরে জড়ো হয় তারা। ভিতরে তখন ধূমপান করছেন বহু মানুষ। আচমকাই বারে ঢুকে গুলি চালাতে শুরু করে দুষ্কৃতিরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তিন জনের। এর পর সেখান থেকে গাড়ি চালিয়ে আরও একটি শিশা বারে পৌঁছে যায় তারা। সেখানে ফের গুলি চালায়। মৃত্যু হয় পাঁচ জনের। দু'টি ঘটনায় আহত হন পাঁচ জন। তার মধ্যে হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে একজনের।

রাতে পুলিশ জানায়, দুষ্কৃতিদের খুঁজতে সর্বত্র তল্লাশি চালানো হচ্ছে। ভোর রাতে একজনের দেহ উদ্ধারের খবর জানানো হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই দুষ্কৃতির বাড়ি থেকেই তার নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আরও একটি মৃতদেহও সেখানে ছিল। তবে সেটি কার, তা এখনও জানা যায়নি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের সন্দেহ অতি দক্ষিণপন্থীদের হাত রয়েছে ওই ঘটনায়। স্থানীয় মানুষের কাছে পুলিশের আবেদন, কারও কাছে কোনও তথ্য থাকলে তা যেন পুলিশকে জানানো হয়। তবে একই সঙ্গে গুজব থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সকলকে।

জার্মানিতে ইহুদিদের উপর হামলা নিয়ে মুসলিমদের ভাবনা

ঘটনার পরে ডয়চে ভেলের সঙ্গে কথা বলেছেন এক প্রত্যক্ষদর্শী। ৪৯ বছরের আলি মেনগুসেক বলেছেন, ''ঘটনার খানিকক্ষণ আগে ওই রাস্তা দিয়েই দুই সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলাম। ওই শিশা বারের সামনে চারজন দাঁড়িয়েছিল। প্রত্যেকেই বেশ লম্বা এবং তরুণ। তিরিশ মিটারের ব্যবধানে দু'টি দলে ভাগ হয়ে দাঁড়িয়েছিল তারা। আমরা ওদের মাঝখান দিয়েই যাই। বস্তুত ওদের দেখেই সন্দেহ হয়েছিল। তাই সন্তানদের বলেছিলাম দ্রুত পা চালাতে।''

আলি জানিয়েছেন, তাঁরা বাড়িতে ঢুকে পড়ার খানিকক্ষণের মধ্যেই গুলির আওয়াজ পান। জানালা খুলে তিনি দেখেন ফুটপাথ দিয়ে সকলে দৌড়চ্ছে। ততক্ষণে গাড়ি নিয়ে পরের শিশা বারের দিকে রওনা দিয়ে দিয়েছে দুষ্কৃতিরা। মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। ততক্ষণে রাস্তায় আরও লোক জমা হয়ে গিয়েছে। রাস্তায় ছড়িয়ে ছিল কার্তুজের খোল।

শাসক দল সিডিইউয়ের স্থানীয় প্রতিনিধি কাটিয়া লাইকার্ট ঘটনার পরেই নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন। হ্যানাওয়ের মেয়র জানিয়েছেন, ''বহু দিনের মধ্যে এমন ভয়াবহ সন্ধ্যার সাক্ষী হয়নি শহর। এই ঘটনা বহু দিন মনে থাকবে।''

এসজি/জিএইচ (ডিপিএ, এপি)

২০১৭ সালের জুলাইয়ের ছবিঘরটি দেখুন...