1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে সফল যে বাংলাদেশি তথ্যচিত্র নির্মাতা

৪ জুলাই ২০১৮

বাংলাদেশি-জার্মান চলচ্চিত্র নির্মাতা শাহীন দিল রিয়াজ৷ জার্মানির রুপালি জগতে এক পরিচিত মুখ তিনি৷ তাঁর তৈরি বেশ কয়েকটি প্রামাণ্যচিত্র জার্মানি তথা ইউরোপে টেলিভিশনে এবং বড় পর্দায় প্রদর্শিত হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/30q4N
শাহীন দিল রিয়াজ
ছবি: Munem Wasif

জার্মানির সঙ্গে শাহীনের সখ্য গড়ে উঠেছিল জার্মান ভাষার শেখার মধ্যে দিয়ে৷ ঢাকার গ্যোটে ইন্সটিটিউটে ভাষা শিখতে গিয়ে বৃত্তি নিয়ে জার্মানিতে আসার সুযোগ পান৷ সেটা নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকের কথা৷ জার্মানিতে সেই সফর দেশটির প্রতি তাঁকে আরো আকৃষ্ট করে তোলে৷ পরবর্তীতে চলচ্চিত্র নিয়ে লেখাপড়ার উদ্দেশ্যে জার্মানিতে চলে আসেন তিনি এবং বার্লিনের ফ্রেই ইউনিভার্সিটিতে আর্ট হিস্ট্রি শেষে করে এইচএফএফ কনার্ড-উলফ ফিল্ম স্কুলে সিনেমাটোগ্রাফি নিয়ে লেখাপড়া করেন৷

জার্মান ভাষা শিখতে বিদেশিরা যেখানে হিমশিম খায়, শাহীন সেই ভাষা শিখেছেন মাতৃভাষার মতোই৷ ফলে জার্মান ভাষায় প্রচারিত তথ্যচিত্রগুলোতে তিনি নিজেই কণ্ঠ দিয়ে থাকেন

জার্মানিতে তথ্যচিত্রের ভালো বাজার রয়েছে বলে মনে করেন শাহীন দিল-রিয়াজ৷ বিশেষ করে টেলিভিশন চ্যানেলগুলো তথ্যচিত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ করে৷ ফলে ভালো গল্প থাকলে অর্থের সংস্থান তেমন কঠিন ব্যাপার হয় না৷ আর বাংলাদেশ থেকে আসায় সেদেশ সম্পর্কিত তথ্যচিত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব পান শাহীন৷ তবে বাংলাদেশে তথ্যচিত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে বিনিয়োগ এক বড় বাধা বলে মনে করেন শাহীন দিল-রিয়াজ৷

এখন পর্যন্ত আটটি ছবি নির্মাণ করেছেন এই বাঙালি পরিচালক৷ এর মধ্যে ২০০৮ সালে মুক্তি পাওয়া ‘লোহাখোর'-কে সবার ওপরে রাখতে চান তিনি৷ চট্টগ্রামের জাহাজভাঙা শিল্প নিয়ে তৈরি ছবিটি জার্মানিসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সাড়া ফেলেছিল৷ তবে শুধু বাংলাদেশ নয়, শাহীনের তৈরি তথ্যচিত্রে উঠে এসেছে আফগানিস্তানে জার্মান সেনাদের কর্মকাণ্ডও৷

এখন অবধি নির্মিত ছবিগুলোর জন্য ১০টি শ্রেষ্ঠ ছবির পুরস্কারসহ অন্তত ১৯টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার জয় করেছেন এই চলচ্চিত্র নির্মাতা৷ এর মধ্যে জার্মান নির্মাতাদের জন্য সবচেয়ে সম্মানজনক ‘আডল্ফ গ্রিমে' পুরস্কার রয়েছে দু'টি৷ ২০১০ সালে লোহাখোর এবং ২০১৩ সালে ‘প্রজেকশনিস্ট' ছবির জন্য এই পুরস্কার জয় করেন তিনি৷ 

শাহীনের জীবনকাহিনি নিয়ে এক সুইস নাট্য পরিচালক একটি নাটকও তৈরি করেছেন, যা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে মঞ্চস্থ হয়েছে৷ চলচ্চিত্র নির্মাণের পাশাপাশি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিথি অধ্যাপক হিসেবেও কাজ করেন তিনি৷ 

বর্তমানে বাংলাদেশের বাঁশকাটা শিল্পের একটি দিক নিয়ে কাজ করছেন শাহীন দিল-রিয়াজ৷ ইতোমধ্যে চিত্রায়নের কাজ সম্পন্ন হয়েছে, এখন চলছে সম্পাদনা৷ সব কিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরই ছবিটি ইউরোপে মুক্তি পেতে পারে৷ তবে জার্মানি এবং ইউরোপে প্রামাণ্যচিত্র দিয়ে ব্যাপক পরিচিতি পেলেও ফিকশন নির্মাণে আগ্রহী শাহীন৷ অদূর ভবিষ্যতে সেদিকে মনোযোগী হবেন বলে জানিয়েছেন এই বাঙালি তথ্যচিত্র নির্মাতা৷ 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য