1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে সব সরকারি কাজে এবার একই টেলিফোন নম্বর

১৫ এপ্রিল ২০১১

ভেবে দেখুন, কোনো সরকারি দপ্তরে কাজ সারতে গেলে কত ঝক্কি না সামলাতে হয়৷ কিন্তু যদি ঘরে বসেই সেই কাজ সেরে ফেলা যেত? জার্মানিতে চালু হলো এমন মুশকিল আসান নম্বর – ১১৫৷

https://p.dw.com/p/10uEx
একটি নম্বর, একাধিক পরিষেবাছবি: picture alliance/dpa

দেশজুড়ে একটাই নম্বর৷ ছোট সংখ্যা, মনে রাখা সহজ৷ জার্মানিতে এমন দুটি নম্বর চালু আছে৷ ১১০ ডায়াল করলে পুলিশ এবং ১১২ ডায়াল করলে একই সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্স ও দমকলকে খবর দেওয়া যায়৷ এমনকি মোবাইল ফোনে সিম কার্ড না থাকলেও এই নম্বর ডায়াল করা যায়৷ এবার সরকারি কাজকর্মের জন্যও পর্যায়ক্রমে গোটা দেশে এমন আরও একটি নম্বর চালু করা হচ্ছে৷ ১৪ই এপ্রিল এই উদ্যোগের শুভ সূচনা হল৷ আপাতত জার্মানির ১৬টি রাজ্যের মধ্যে ৭টি রাজ্যের প্রায় দেড় কোটি মানুষ ১১৫ ডায়াল করে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব পাবেন৷ আশা করা হচ্ছে, ২০১৩ সালের মধ্যে গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়বে এই পরিষেবা৷ তবে হ্যাঁ, জরুরি পরিষেবা বিনামূল্যে পাওয়া গেলেও টেলিফোনে সরকারি কাজ সারতে চাইলে বাড়তি মাশুল গুনতে হবে৷ এই পরিষেবা ব্যবহার করতে চাইলে আপাতত কাজ অনুযায়ী মিনিটে ৭ থেকে ২৯ সেন্ট পর্যন্ত দিতে হবে নাগরিকদের৷ তবে মাশুলের হার ক্রমশঃ কমে যাবে বলে শোনা যাচ্ছে৷ এই পরিষেবার পেছনে যথেষ্ট লোকবলও থাকছে, যাতে ডায়াল করে অনন্তকাল ধরে অপেক্ষা করতে না হয়৷ এই মুহূর্তে প্রায় ৭৫ শতাংশ কল ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই কোনো না কোনো কর্মীর কাছে পৌঁছে যাচ্ছে৷

এমন এক পরিষেবাকে অন্য কাজেও লাগানোর কথাও ভাবছে সরকার৷ দেশে কোনো বিপর্যয় বা সংকট দেখা দিলেও জনসাধারণকে এই নম্বরের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় তথ্য দেওয়া যাবে৷

Einheitliche Behördennummer Telefonnummer 115 Ämter
ঢাকঢোল পিটিয়ে শুরু হলো নতুন নাগরিক পরিষেবাছবি: picture alliance/dpa

এখানে প্রশ্ন উঠতে পারে, সরকারি কর্মীরা কি আচমকা এতটাই দক্ষ হয়ে উঠলেন যে তারা টেলিফোনেই সব সমস্যার সমাধান বাতলে দিতে পারছেন? না, এমন কোনো জাদুকাঠি এখনো খুঁজে পাওয়া যায় নি৷ টেলিফোনে কোনো প্রশ্নের জবাব না দিতে পারলে গ্রাহককে ২৪ ঘন্টার মধ্যে উত্তর পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে৷ টেলিফোন, ফ্যাক্স বা ই-মেল – যেভাবে চাইবেন, সেভাবেই এসে যাবে উত্তর৷

কাগজে-কলমে না হয় এমন পরিষেবা স্থির করা হলো৷ বাস্তবে কি নাগরিকরা সত্যি এর সুফল পাবেন? একটি সাপ্তাহিক এরই মধ্যে পরখ করে দেখতে গতকাল সারা দিনে বেশ কয়েক বার একটি প্রশ্ন রেখেছিল৷ টেলিফোনের অপর প্রান্তে প্রত্যেক কর্মী আলাদা আলাদা উত্তর দিয়েছেন৷ উত্তরগুলি যে ভুল, তা বলা যায় না, কিন্তু তারা সবাই ধরাবাঁধা উত্তরের বাইরেও অনেক বাড়তি কথাও বলেছেন, কিছু পরামর্শও দিয়েছেন৷ অর্থাৎ রোবট নয়, মানুষই বাতলে দিচ্ছে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: ফাহমিদা সুলতানা