1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মান জেলখানাগুলোর অবস্থা

৩০ এপ্রিল ২০১৮

সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, জার্মানির জেলখানাগুলোতে কয়েদির সংখ্যা বর্তমানে ধারণক্ষমতার প্রায় সমান বা তার চেয়ে কিছু বেশি৷ ফলে জেল ব্যবস্থার আসল লক্ষ্য ব্যাহত হতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন গবেষকরা৷

https://p.dw.com/p/2wtCK
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Seeger

গবেষণা বলছে, বাডেন-ভ্যুর্টেমব্যার্গ ও রাইনলান্ড-পালাটিনাটে রাজ্যের কারাগারগুলোতে কয়েদিদের সংখ্যা ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি হয়ে গেছে৷ আর বাভেরিয়া, বার্লিন, হামবুর্গ ও নর্থরাইন ওয়েস্টফালিয়া রাজ্যে কয়েদির সংখ্যা ধারণক্ষমতার ৯০ শতাংশের চেয়ে বেশি অবস্থায় আছে৷

গবেষকরা বলছেন, কয়েদির সংখ্যা ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি হলে কারাগারের কর্মীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশংকা থাকে৷ এছাড়া জেলখানা থেকে বেরিয়ে কয়েদিদের সমাজে ভালোভাবে মিশতে পারার যে লক্ষ্য নিয়ে জেল ব্যবস্থা চালু হয়েছে – তা ব্যাহত হতে পারে বলেও মনে করছেন গবেষকরা৷

Infografik prison occupancy levels in EU

লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বিশ্ব কারাগার গবেষণা কর্মসূচি’-র পরিচালক ক্যাথেরিন হার্ড ডয়চে ভেলেকে বলেন, বন্দিদের সংখ্যা ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি হওয়া নিয়ে জার্মান গবেষকদের উদ্বিগ্ন হওয়ার বিষয়টি যুক্তিসংগত৷ কারণ এর ফলে ‘‘মুক্তি পাওয়ার পর বন্দিদের সমাজে ফিরে যাবার মতো দক্ষ করে তোলা এবং তারা যেন আবার অপরাধে জড়িয়ে না পড়ে সেজন্য তাদের সমর্থন দেয়ার বিষয়গুলো বাধাগ্রস্ত হতে পারে,’’ বলে মন্তব্য করেন হার্ড৷

অবশ্য জার্মান কারাগারগুলোতে কয়েদিদের সংখ্যা বেশি হওয়ার বিষয়টি নতুন নয়৷ ২০০৬ সালে জেলখানাগুলোতে বন্দিসংখ্যা ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি না হলেও প্রায় সমান ছিল৷ গতশতকের আশির দশকেও এমন অবস্থা তৈরি হয়েছিল৷

পরিস্থিতি সামাল দিতে জার্মানির কয়েকটি রাজ্য সরকার ধারণক্ষমতা বাড়ানোর আভাস দিয়েছে৷ নর্থরাইন ওয়েস্টফালিয়া রাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র পেটার মার্শলেভস্কি ডিডাব্লিউকে জানান, নতুন কারাগার স্থাপন ও আগেরগুলো সংস্কারের জন্য আগামী কয়েক বছরে এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার৷

বিকল্প প্রস্তাব

কারাগারগুলোর সমস্যার সমাধানে ১০ দফা প্রস্তাব দিয়েছেন গবেষকরা৷ এর মধ্যে আছে, বেশি বেশি প্যারোলের ব্যবস্থা চালু, তুচ্ছ অপরাধগুলোকে বিচার ব্যবস্থায় বিবেচনায় না নেয়া ইত্যাদি৷

হার্ড বলেন, ‘‘সহজ একটি উপায় হচ্ছে, অভাবের কারণে যারা জরিমানার অর্থ দিতে অক্ষম তাদের জেলের শাস্তি দেয়া বন্ধ করা৷’’ তিনি বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে, বর্তমানে জার্মানিতে যত কয়েদি আছে তার মধ্যে আট শতাংশ হচ্ছে জরিমানা দিতে অক্ষম ব্যক্তি৷ আর এদের বেশিরভাগই গণপরিবহণে টিকিট ছাড়া চলাচলকারী৷’’ আজকের যুগে দারিদ্র্যতাকে এভাবে শাস্তি দেয়া অবশ্যই যুক্তিসংগত নয়, বলেন তিনি৷

লুইস স্যান্ডার্স/জেডএইচ