1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানির নির্বাচন: টিভি বিতর্কের পর এগিয়ে শলৎস

১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১

ম্যার্কেলের পর কে হবেন জার্মানির চ্যান্সেলার? জোরদার টিভি বিতর্কে তিন প্রার্থী। বিতর্কের পর এগিয়ে ওলাফ শলৎস।

https://p.dw.com/p/40Ey4
জার্মানিতে টিভি বিতর্কে চ্যান্সেলার নির্বাচনের তিন প্রার্থী। ছবি: Michael Kappeler/AFP/Getty Images

টিভি বিতর্কের পর সমীক্ষা বলছে, সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি থেকে চ্যান্সেলারনির্বাচনের প্রার্থী ওলাফ শলৎস অন্য দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর তুলনায় এগিয়ে আছেন।

৯০ মিনিটের টিভি ডিবেটের পর সমীক্ষা হয়। এক হাজার ৫০০ দর্শকের কাছ থেকে বিতর্কের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। ৪১ শতাংশ দর্শক বলেছেন, তারা মনে করেন, শলৎস তার দুই প্রতিদ্বন্দ্বীকে বিতর্কে পরাভূত করেছেন। ম্যর্কেলের দল সিডিইউ-এর প্রার্থী আরমিন লাশেটকে ২৭ শতাংশ ও গ্রিন পার্টির নারী প্রার্থী বেয়ারবককে সমর্থন করছেন ২৫ শতাংশ দর্শক।

এই সমীক্ষা বলে দিচ্ছে, শলৎস তার দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর আক্রমণ ভালোভাবে সামলেছেন এবং নিজের যুক্তি প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন।

লাশেটের প্রশ্ন

বিতর্কে লাশেট জানতে চান, শলৎস কি সোশ্যালিস্ট বামপন্থী দলের সঙ্গে আঁতাত চালিয়ে যাবেন? কিন্তু শলৎস এই বিতর্কে ঢুকতে চাননি।

লাশেটও পরে চাপের মধ্যে পড়েন, তার নিজের দলের নেতা ও সাবেক গোয়েন্দা প্রধান ও তার দলের প্রার্থী মাসেনকে নিয়ে। তার ডানপন্থি বক্তব্যের কড়া সমালোচনাও হয়েছে। বিতর্কের সময় লাশেটকে প্রশ্ন করা হয়, তিনি যদি মাসেনের কেন্দ্রের ভোটার হতেন, তাহলে কি তাকে ভোট দিতেন? লাশেট প্রশ্নটা এড়িয়ে গিয়ে বলেছেন, তার ও মাসেনের মধ্যে অনেক বিষয়ে মতবিরোধ আছে। কিন্তু দলনেতা হিসাবে তিন যে সিদ্ধান্ত নেবেন, তা মাসেন মনতে বাধ্য।

রক্ষণাত্মক শলৎস

বিতর্কের সময় অর্থমন্ত্রণালয়ের মানি লন্ডারিং তদন্ত নিয়ে শলৎস ছিলেন রক্ষণাত্মক। সরকারি কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এই তদন্ত হচ্ছে। লাশেট বলেন, শলৎস যেভাবে অর্থমন্ত্রক চালাচ্ছেন, তাতে প্রচুর সমস্যা হচ্ছে।

শলৎস এরপর রীতিমতো রেগে বলেন, লাশেট এ তদন্ত নিয়ে ভুল ছবি তুলে ধরছেন।  এরপর শলৎস বোঝাতে থাকেন, তার আমলে কীভাবে অর্থমন্ত্রকের বিস্তার হয়েছে।

বেয়ারবক শলৎস ও লাশেটকে সমালোচনা করে বলেন, প্রতিবছর মানি লন্ডারিং ও কর ফাঁকির জন্য জার্মানি কোটি কোটি উইরো হারাচ্ছে। 

বেয়ারবকের শক্তি

পরিবেশ নিয়ে যখন বিতর্ক হচ্ছিল, তখন বেয়ারবক নিজের শক্তি দেখান। তিনি প্রশ্ন করেন, কেন জার্মানি বারবার পরিবেশগত লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারছে না? কেন দুই প্রার্থীর দল এই সমস্যার কোনো সমাধান দিতে পারছে না? কেন আপনারা শুধু একে অপরের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দিচ্ছেন? বেয়ারবক বলেন, ২০৩৮ সালের মধ্যে কয়লার উপর নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। কিন্তু এখনকার মতো চললে আগামী ১৭ বছরেও কিছু হবে না। 

শলৎস ও লাশেট দাবি করেন, তারা ও তাদের দল পরিবেশগত সমস্যাকে খুবই গুরুত্ব দেয়।

বেন নইট/জিএইচ