1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানির পুনর্মিলনে পড়শীদের ভয় কেটেছে

২৯ সেপ্টেম্বর ২০১০

পুনর্মিলনের ২০ বছর পরে অনেক প্রতিবেশী দেশই আর জার্মানির পূর্ব এবং পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে কোনো তফাৎ দেখে না৷ জার্মানি আজ ইউরোপে স্থায়িত্বের নোঙর হিসেবে গণ্য হয়৷ তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের স্মৃতি এখনও পুরোপুরি মিলিয়ে যায়নি৷

https://p.dw.com/p/PPTn
পুনর্মিলনের পর জার্মানি সমগ্র ইউরোপের বিভাজন দূর করার জন্য সর্বসাধ্য প্রয়োগ করে (ফাইল ফটো)ছবি: picture-alliance/dpa

তৎকালীন জার্মান চ্যান্সেলর হেলমুট কোল স্বয়ং পশ্চিম ইউরোপে জার্মানির মিত্রদেশগুলির কাছে দ্রুত জার্মান পুনর্মিলনের পরিকল্পনা ব্যাখ্যান করতে গিয়ে দ্বিধার সম্মুখীন হন৷ বিশেষ করে বৃটেন, কিন্তু ফ্রান্স এবং নেদারল্যান্ডসের তরফ থেকেও প্রশ্ন ওঠে: বৃহত্তর জার্মানি শান্তিপূর্ণ এবং অনুগ্র থাকবে তো? ইউরোপীয় কম্যুনিটি এবং ন্যাটোর সদস্য থাকবে তো? কোল'এর স্পষ্ট জবাব ছিল:

‘‘একীকৃত জার্মানি অতীতের ইউরোপে প্রত্যাবর্তন কামনা করে না৷ পুরাতন প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং জাতীয়তাবাদকে আবার মাথা চাড়া দিতে দেওয়া হবে না৷''

নতুন জার্মানি

পুনর্মিলনের পর জার্মানি সমগ্র ইউরোপের বিভাজন দূর করার জন্য সর্বসাধ্য প্রয়োগ করে৷ পূর্ব ইউরোপের প্রাক্তন কম্যুনিস্ট জোটের দেশগুলিকে এবং বলকান দেশগুলিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ন্যাটোর অঙ্গ করে তোলা ছিল জার্মান পররাষ্ট্রনীতির সর্বোচ্চ লক্ষ্য৷ জার্মানি বিশেষ করে পোল্যান্ডের সঙ্গে সীমান্তকে স্বীকৃতি দেবার পর পোল্যান্ডে, অন্তত রাজনীতির পর্যায়ে, জার্মানি সম্পর্কে যাবতীয় ভীতির অন্ত ঘটেছে, যদিও পোল্যান্ড কিংবা চেক গণরাজ্যের সাধারণ মানুষদের কাছে আজও জার্মানি অর্থোপার্জ্জনের স্থান হতে পারে, কিন্তু ছুটি কাটানোর জায়গা নয়৷

Karte Deutschland Polen
বিবিসি'র একটি সমীক্ষা অনুযায়ী জার্মানরা তাদের প্রতিবেশীদের কাছে - জার্মানরা স্বয়ং যতোটা বিশ্বাস করে, তার চেয়ে বেশি প্রিয়ছবি: DW

বড়-ছোট, পূর্ব-পশ্চিমের মাঝখানে

ইউরোপীয় ইউনিয়নের বৃহত্তম দেশ হিসেবে জার্মানি অবশ্যই একটি নেতৃস্থানীয় ভূমিকা নিয়েছে৷ এবং সেই ভূমিকা শুধু এই কারণেই নয় যে, জার্মানি ইইউ'এর তহবিলে সর্বাধিক অর্থ প্রদান করে থাকে৷ জার্মানির ভূমিকা অনেকটা বৃহৎ দেশ এবং ছোট দেশগুলির মধ্যে, পশ্চিমের দেশ এবং পূর্বের দেশগুলির মধ্যে মধ্যস্থের৷ এবং এই মধ্যস্থের ভূমিকা পালন করা শুধুমাত্র সকলের আস্থা অর্জনের মাধ্যমেই সম্ভব৷

সবশেষে দু'টি তথ্য: বিবিসি'র একটি সমীক্ষা অনুযায়ী জার্মানরা তাদের প্রতিবেশীদের কাছে - জার্মানরা স্বয়ং যতোটা বিশ্বাস করে, তার চেয়ে বেশি প্রিয়৷ আর তার কারণ দৃশ্যত ফুটবল, অর্থাৎ ২০০৬ সালে জার্মানিতে ফুটবল বিশ্বকাপ৷ সেবার হর্ষোৎফুল্ল জার্মানদের তাদের কালো-লাল-সোনালি জাতীয় পতাকা ওড়াতে দেখার পর অনেকেই নাকি জার্মানদের নতুন চোখে দেখছে৷

প্রতিবেদন: বের্ন্ড রিগার্ট, অনুবাদ: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ