1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইসলাম ধর্ম আরো বেশি পড়ানোর দাবি

১ মে ২০১৮

জার্মানির স্কুলগুলোতে এ মুহূর্তে ৫৪ হাজার শিক্ষার্থী ইসলাম ধর্ম পড়ছে৷কিন্তু বাস্তবে অনেক বেশি শিক্ষার্থী মুসলিম সম্প্রদায়ের এই ধর্ম নিয়ে পড়াশোনা করতে আগ্রহী৷ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মৌলবাদ রুখতে এ সুযোগ সবাইকে দেয়া উচিত৷

https://p.dw.com/p/2wxqU
Islamunterricht an Schulen in NRW
ছবি: picture alliance / dpa

সংবাদমাধ্যমকে তথ্য সরবরাহ করার প্রতিষ্ঠান মেডিয়েনডিনস্ট ইন্টেগ্রাৎসিয়ন৷ সম্প্রতি জার্মানির ১৬টি রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে তারা দেখেছে, এ দেশের ৮০০ স্কুলে এ মুহূর্তে মোট ৫৪ হাজার শিক্ষার্থী স্কুলে ইসলাম ধর্ম পড়ছে৷ দু'বছর আগে যেখানে ৪২ হাজার শিক্ষার্থী এ সুযোগ পেত, সেই তুলনায় ১২ হাজার অন্তত বেড়েছে বলে সন্তোষ প্রকাশ করেছে মেডিয়েনডিনস্ট ইন্টেগ্রাৎসিয়ন৷ তবে তারা মনে করে, আরো অন্তত দশগুণ শিক্ষার্থী আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও স্কুলে ইসলাম ধর্ম পড়ার সুযোগ পাচ্ছে না৷

জার্মানির অভিবাসন এবং শরণার্থী বিষয়ক কেন্দ্রীয় কার্যালয় বিএএমএফ ২০০৮ সালে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল৷ ‘জার্মানিতে মুসলমানদের জীবন' শীর্ষক ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১০ বছর আগে জার্মানিতে অন্তত ৫ লক্ষ ৮০ হাজার শিক্ষার্থী স্কুলে ইসলাম ধর্ম অধ্যয়নে আগ্রহী ছিল৷

Deutschland Islamischer Religionsunterricht in einer Grundschule in Ludwigshafen-Pfingstweide
জার্মানির প্রাইমারি স্কুলগুলোতেও ইসলাম ধর্ম শিক্ষা দেওয়া হয়ছবি: picture-alliance/dpa/R. Wittek

কিন্তু ২০১৫ সালে ব্যাপক হারে শরণার্থীর আগমন শুরুর পর থেকে জার্মানিতে মুসলিমের সংখ্যা অনেক বেড়েছে৷ তাই এ মুহূর্তে ঠিক কতজন শিক্ষার্থী ইসলাম ধর্ম পড়তে আগ্রহী তার সঠিক সংখ্যা বলা কঠিন৷ তবে ওসনাব্র্যুক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজের অধ্যাপক রাউফ চেলান মনে করেন, মুসলিম শিক্ষার্থীর সংখ্যা এখন ৭ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে ৮ লক্ষ হতে পারে৷ সুতরাং, ২০০৮ সালের তুলনায় যে আরো অনেক বেশি শিক্ষার্থী ইসলাম ধর্ম নিয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ পাচ্ছে না, সে বিষয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই৷

কিন্তু  রাউফ চেলান মনে করেন,  ধর্ম শিক্ষার বিষয়টিকে মসজিদের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রাখলেশিক্ষার্থীদের মৌলবাদ থেকে দূরে রাখা অনেক সহজ হবে৷ নর্থ রাইন ওয়েস্টফেলিয়া রাজ্যের হাম শহরের ইসলামিক স্টাডিজের শিক্ষক মুসা বাগ্রাচ-ও তাই মনে করেন৷

তবে সব স্কুলে ইসলাম ধর্ম পড়ানো শুরু করা খুব সহজ কাজ নয়৷ প্রথমত, ইসলাম ধর্ম পড়ানোর মতো শিক্ষক প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম৷ আবার কোনো শ্রেণিতে অন্তত ১২ জন শিক্ষার্থী ধর্মীয় এ বিষয়টি পড়তে আগ্রহী না হলে এবং সেই আগ্রহের কথা তারা লিখিতভাবে না জানালে কোনো স্কুলের এ বিষয়ে উদ্যোগী হওয়ার সুযোগও নেই৷

অনেক মুসলিম শিক্ষার্থী সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত?

এমনটিই মনে করেন, মুসা বাগ্রাচ৷ জার্মানির মৌলিক আইনের ৭ নং ধারার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, রাজ্য সরকারগুলোর কোনো তদরারকি ছাড়া মসজিদে আরবি, তুর্কি বা অন্য ভাষায় ধর্ম পড়ানো চলতে না দিয়ে সরকারের উচিত স্কুলে জার্মান ভাষায় ইসলাম ধর্ম পড়ানোর ব্যবস্থা করা৷

কিন্তু ভিন্নমতও রয়েছে৷ বার্লিনের এক শিক্ষিকা জানিয়েছেন, তাঁর স্কুলের ৯৫ ভাগ শিক্ষার্থীই মুসলিম পরিবারের সন্তান৷ নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেছেন, ‘‘আমার ওই ছাত্র-ছাত্রীদের প্রশ্ন করলে সকলেই হয়ত জানাবে, তারা স্কুলে ইসলাম ধর্ম পড়তে আগ্রহী৷ কিন্তু আমি বলবো, তার কোনো দরকারই নেই৷ (ইসলাম ধর্ম পড়তে) তোমরা মসজিদে যাও, স্কুলেও এ ব্যবস্থার কোনো দরকার নেই৷''

ওই শিক্ষিকা মনে করেন, বিশ্বের সব গুরুত্বপূর্ণ ধর্ম সম্পর্কে, ধর্মের উৎপত্তি সম্পর্কে ধারণা দেয়ার দরকার আছে৷ গর্ভপাতের মতো বিষয়গুলোতে নানা দৃষ্টভঙ্গি থেকে আলোচনার দরকার আছে বলেও মনে করেন তিনি৷ কিন্তু স্কুলে ধর্ম শিক্ষার বিষয়ে তাঁর সরাসরি বক্তব্য, ‘‘আমি মনে করি, ধর্ম কীভাবে চর্চা করা হবে এ সংক্রান্ত প্রতিটি বিষয়ই স্কুলের বাইরে থাকা উচিত৷ এ কারণেই আমরা রাষ্ট্র থেকে গির্জাকে আলাদা রেখেছি৷''

বেন নাইট/এসিবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য