1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানি-রাশিয়া দ্বন্দ্ব আছে, থাকবে

২৪ আগস্ট ২০২১

আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর জার্মানিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷ এরপর একজন নতুন চ্যান্সেলর দায়িত্ব নেবেন৷ তার আগে সম্ভবত শেষবারের মতো রাশিয়া ও ইউক্রেন সফর করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷

https://p.dw.com/p/3zPjW
Angela Merkel und Vladimir Putin
ছবি: Michael Kappeler/dpa/picture alliance

সাম্প্রতিক সময়ে জার্মানি-রাশিয়া সম্পর্কের আলোচনায় অন্যতম বড় ইস্যু হয়ে উঠেছিল ‘নর্ড স্ট্রিম দুই' প্রকল্প৷ রাশিয়া থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে সরাসরি জার্মানির বাল্টিক উপকূলে গ্যাস আনার জন্য এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে৷

রাশিয়ার সঙ্গে জার্মানির এমন প্রকল্পে যুক্ত হওয়ার বিষয়টি শুরু থেকেই বিতর্কিত ছিল৷ তবে সাম্প্রতিক সময়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের সবচেয়ে বিরোধী আলেক্সেই নাভালনিকে বিষ প্রয়োগে হত্যার চেষ্টার পর নর্ড স্ট্রিম দুই প্রকল্প থেকে জার্মানিকে বের হয়ে যেতে আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগ করা হয়েছিল৷

তবে চ্যান্সেলর ম্যার্কেল দীর্ঘদিন ধরে এই প্রকল্পকে শুধুই একটি অর্থনৈতিক প্রকল্প বলে আখ্যায়িত করে এসেছেন৷ যদিও জার্মানির রাজনৈতিক দল এফডিপির পররাষ্ট্রবিষয়ক মুখপাত্র আলেকজান্ডার গ্রাফ লাম্বসডর্ফ মনে করেন, নর্ড স্ট্রিম দুই প্রকল্প জার্মানির পররাষ্ট্রনীতির অনেক ক্ষতি করেছে৷

‘সবচেয়ে খারাপ সম্পর্ক'

জার্মান ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাফেয়ার্সের পূর্ব ইউরোপ বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ইয়ানিস ক্লুগে মনে করেন, সোভিয়েত পরবর্তী সময়ে বার্লিন ও মস্কোর মধ্যে সম্পর্ক এখন সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে৷ এক্ষেত্রে তিনি তিনটি বড় সমস্যার কথা উল্লেখ করেছেন৷

প্রথমত, দেশের ভিতর স্বাধীন গণমাধ্যম, বিরোধী রাজনৈতিক কর্মী ও এনজিওদের বিরুদ্ধে রাশিয়া ক্রমেই চাপ সৃষ্টি করে চলেছে৷

দ্বিতীয়ত, ইউরোপে রাশিয়ার গোয়েন্দাদের কার্যক্রম৷ প্রত্যক্ষ হামলা ছাড়াও জার্মানির রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের উপর কম্পিউটার হ্যাকিংয়ের ঘটনা ঘটছে৷

তৃতীয়ত, ইউক্রেন সংকট৷ এ ব্যাপারে যতদিন না কোনো উন্নতি হচ্ছে ততদিন রাশিয়ার উপর আস্থা ফিরবেনা৷

এদিকে, জার্মান কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা স্টেফান মাইস্টারও মনে করেন, জার্মানি ও রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্ক এখন খারাপ অবস্থায় আছে৷ তবে সমাধানের ক্ষেত্রে জার্মানির কিছু করণীয় আছে বলে মনে করেন তিনি৷ ‘‘রাশিয়ায় কী করা সম্ভব সে ব্যাপারে আমাদের আরও বাস্তবসম্মত হতে হবে এবং যারা পরিবর্তিত রাশিয়া চায় তাদেরও সমর্থন করতে হবে,'' বলেন তিনি৷

‘মুক্ত গণতন্ত্রের প্রতিপক্ষ'

বার্লিনভিত্তিক থিংক ট্যাংক সেন্টার ফর লিবারেল মডার্নিটির (রুশ সরকারের ‘অনাকাঙ্খিত সংস্থার' তালিকায় নাম ওঠায় এই সংস্থাকে মস্কোর কার্যক্রম বন্ধ করতে হয়েছে) পরিচালক রাল্ফ ফ্যুকস বলেন, ‘‘পুটিনের রাশিয়া পশ্চিমের মুক্ত গণতন্ত্রের প্রতিপক্ষ হয়ে উঠছে৷''

তিনি মনে করেন, নির্বাচনের পর যিনি জার্মান চ্যান্সেলর হবেন তার কাজ হবে সংঘাত ও সহযোগিতার মধ্যে সম্পর্ক খাপ খাইয়ে নেয়া৷ রাশিয়ার সঙ্গে জার্মানি ও ইইউর সম্পর্কের ক্ষেত্রে তাকে একটি স্পষ্ট ‘রেড লাইন'ও এঁকে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি৷

ফ্রাঙ্ক হফমান, ভ্লাদিমির এসপিমোভ/জেডএইচ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য