1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মান পত্রপত্রিকায় দক্ষিণ এশিয়া

৪ এপ্রিল ২০১০

সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং পাকিস্তানের মধ্যে যে ‘‘কৌশলী সংলাপ’’ হয়ে গেল, তার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে একাধিক জার্মান পত্রিকা৷

https://p.dw.com/p/Mn7X
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিছবি: picture-alliance/dpa

এই আলোচনার মধ্য দিয়ে দু পক্ষের সম্পর্কের টানাপোড়েন দূর হল কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে৷

মার্কিন-পাকিস্তান মতবিনিময় এমন এক ধারণা তুলে ধরে যে তাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বুঝি মৌলিক উন্নতি ঘটেছে, মন্তব্য করেছে বার্লিনের দৈনিক ‘‘টাগেসসাইটুং''৷ পত্রিকা লিখছে:

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি বলেন, গত দুটি বছরে তাঁর সরকার যেসব অবস্থান নেয় তার অনেকগুলোই এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করেছে৷ আগে আস্থার এক অভাব দেখা দিয়েছিল৷ এখন বোঝা যায় যে মার্কিন পক্ষ ‘‘১৮০ ডিগ্রি'' ঘুরে গেছে৷ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টনের ভাষ্য হল, দুই সরকারই ‘‘ভুল বোঝাবুঝির বছরগুলোকে'' পিছনে ফেলে রাখতে সচেষ্ট৷

Hilary Clinton in Boston
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টনছবি: AP

প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের আমলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের খুব কাছাকাছি আসে৷ তার উল্লেখ করে ‘‘টাগেসসাইটুং''

লিখছে, পাকিস্তানিদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হল তারা যেন গুরুত্বের অনুভূতির মাঝে ভারতের পিছনে না পড়ে যায়৷ নিজেদের দেশে জঙ্গি ইসলামি সন্ত্রাসের হুমকি সত্ত্বেও পাকিস্তানের কৌশলীরা এখনও ভারতকেই তাদের প্রধান শত্রু বলে দেখে৷

ওয়াশিংটনের সঙ্গে এই ‘‘কৌশলী সংলাপে'' অংশগ্রহণকারী পাকিস্তানি প্রতিনিধিরা সম্পর্কের পরিবেশগত উন্নতিতেই শুধু আনন্দিত তা নয়৷ মূলত অ্যামেরিক্যানদের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতিও তাঁদের আনন্দের কারণ, মনে করে ‘‘ফাইনান্সিয়াল টাইমস ডয়েচলাণ্ড'' পত্রিকা৷ কেননা পাকিস্তানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আগের মতই খুব খারাপ৷ পত্রিকা লিখছে:

দেশটিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল উদ্ধার করার প্রায় দেড় বছর পর পাকিস্তান বিদেশি দাতাদের বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্যের উপর অনেক বেশি নির্ভরশীল৷ অর্থনীতির বৃদ্ধি ঘটছে এত ধীরে যে গত দশ বছরে এমনটি আর ঘটেনি৷ কিন্তু ভারত বিশ্বব্যাপী সঙ্কটের পরেও তার প্রবৃদ্ধির হার আট শতাংশেরও বেশি করতে পেরেছে৷ পাকিস্তানে বিদেশ থেকে বেসরকারি বিনিয়োগও কমে গেছে৷ ক্লিন্টন বলেছেন, এই ঘাটতি দুর করতে এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এগিয়ে আসবে এবং পাকিস্তানের পরিকাঠামো উন্নয়নে - বিশেষ করে দুর্বল হয়ে পড়া জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ করবে৷

জার্মান ম্যানেজাররা বলছেন, দেশটি বিনিয়োগকারীদের জন্য অন্যান্যদের চেয়ে অনেক বড় রকমের সুযোগ তুলে ধরে৷ তবে কিনা গুরুতর নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে ঝুঁকিটা অনেক বড়৷

প্রতিবেদন: আব্দুল্লাহ আল ফারূক

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন