1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মান পত্রপত্রিকায় দক্ষিণ এশিয়া

১৬ মে ২০১০

জার্মানিতে ভারতীয় তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থাগুলির তৎপরতা এবং পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত সন্ত্রাসবাদীর চরিত্র বিশ্লেষণ – জার্মানভাষী পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত দক্ষিণ এশিয়া সংক্রান্ত এই দুটি বিষয় তুলে ধরা হলো৷

https://p.dw.com/p/NPB5
জার্মানদের চাকরি দিবে ভারতীয় আইটি কোম্পানিছবি: dpa

তথ্য-প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ভারতের সুনাম যখন বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ল,তখন মাইক্রোসফট থেকে শুরু করে বড় বড় সংস্থা ভারতেই তাদের বেশিরভাগ কাজ শুরু করলো৷ ভারতের চাকরির বাজারে তরুণ আইটি বিশেষজ্ঞদের রমরমা বাড়তে লাগলো৷ ভারতীয় সংস্থাগুলিও জার্মানির মতো দেশে ভারতীয় কর্মীদের দিয়ে কাজ শুরু করলো বটে, কিন্তু এখন ভারতীয় সংস্থাগুলি জার্মানিতে জার্মান কর্মীদের নিয়োগ করছে বলে জানিয়েছে ‘হান্ডেল্সব্লাট' সংবাদপত্র৷ শুধু টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসই আগামী ৩ বছরে জার্মান কর্মীদের জন্য কমপক্ষে ৪০০ নতুন পদ সৃষ্টি করতে চলেছে৷ টিসিএস'এর প্রধান চন্দ্রশেখরন এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, গোটা ইউরোপে সংস্থার সাফল্য নির্ভর করছে জার্মানির উপর৷ ইনফোসিস'এর জার্মানি শাখার প্রধানও এর আগে জার্মানিতে আরও অনেক নতুন পদ সৃষ্টির কথা ঘোষণা করেছেন৷ ‘হান্ডেল্সব্লাট' আরও লিখেছে, স্থানীয় জার্মান ভাষা জানা কর্মীদের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন হয়ে উঠছে ভারতীয় সংস্থাগুলি৷

New York Time Square Bombe
ফয়জল শাহজাদের চরিত্র বিশ্লেষণ করেছে সাপ্তাহিক ‘ডেয়ার স্পিগেল'ছবি: AP

নিউ ইয়র্কে টাইমস স্কোয়্যারে বোমা হামলার ষড়যন্ত্রের দায়ে আটক ফয়জল শাহজাদের চরিত্রের বিশ্লেষণ করেছে সাপ্তাহিক ‘ডেয়ার স্পিগেল'৷ পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ৩০ বছর বয়স্ক এই মার্কিন নাগরিক একদিকে মার্কিন সংস্কৃতির মূল স্রোতের অংশ হওয়া সত্ত্বেও কীভাবে চরম উগ্রপন্থী আদর্শে উদ্বুদ্ধ হতে পারে, সেই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে প্রতিবেদনে৷ রে-ব্যান সানগ্লাস পরা, বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করা জর্জ ক্লুনি'র ভক্ত ফয়জলের বাড়ি তল্লাশি করে এফবিআই এমন সব জিনিস পেয়েছে, যা কোনো সন্ত্রাসবাদীর বাড়িতে পাওয়ার আশা করা যায় না৷ অথচ এই মানুষটিই পাকিস্তানের উত্তর ওয়াজিরিস্তানে তালেবান যোদ্ধাদের কাছে বিস্ফোরক তৈরির কাজ শিখেছে৷ সে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর এক অবসরপ্রাপ্ত উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার ছেলে৷ ঐ পরিবারে উগ্র ধর্মান্ধতার কোন চিহ্ন ছিল না৷ তাকে কোনোদিন কোনো মাদ্রাসায় পাঠানো হয় নি৷ এফবিআই'এর জিজ্ঞাসাবাদের মুখে সে বলেছে, আফগানিস্তান সীমান্তে পাকিস্তানের প্রত্যন্ত এলাকায় মার্কিন বাহিনী যেভাবে ড্রোন হামলা চালিয়ে যাচ্ছিল, তার ফলে তীব্র ক্ষোভের বশে সে এই চরমপন্থার পথ বেছে নিয়েছিলো৷ এমনকি তার কয়েকজন বন্ধুও এমন হামলায় নিহত হয়েছে৷ আনওয়ার আল আওলাকি'র মতো এক উগ্র ধর্মান্ধ ব্যক্তির ভাষণ শুনে সে প্রেরণা পেয়েছিল৷ ‘ডেয়ার স্পিগেল' ফয়জলের কাহিনীকে ভিত্তি করে গোটা প্রেক্ষাপট তুলে ধরেছে৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী