1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

160310 Militärausgaben D

১৬ মার্চ ২০১০

সংসদের নিম্ন কক্ষ বুন্ডোস্টাগে ২০১০-এর বাজেট গৃহীত হবে চলতি সপ্তাহে৷ বিশ্বব্যাপী যে দশটি দেশ সামরিক খাতে সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করে জার্মানি হল তাদেরই একটি৷

https://p.dw.com/p/MU1P
ফাইল ফটোছবি: picture-alliance/ dpa

এখন প্রশ্ন হল - এই বাজেট দেশের সামরিক খাতের জন্য কোন্ বার্তা বয়ে আনবে?

জার্মান সরকার আগামী কয়েক বছরে ‘পুমা' জাতের সুরক্ষা ট্যাংক খাতে তিন বিলিয়ন ইউরোরও বেশি অর্থ বিনিয়োগ করবে৷ আগের ট্যাংকগুলো পুরনো হয়ে গেছে৷ নতুন জাতের ট্যাংক তৈরি করতে হবে৷ জার্মানির অস্ত্রশিল্পের জন্য বড় আকারের অর্ডার পেতেও তা জরুরি৷ অস্ত্রশিল্প এই গ্যারান্টি দিচ্ছে যে, এই নতুন জাতের ট্যাংক সর্বোচ্চ সুরক্ষা এনে দেবে৷ যেমন ধরা যাক আফগানিস্তানে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াই চালাতে৷

জার্মান সৈনিকদের নিরাপত্তার প্রশ্নটি বাজেট বরাদ্দের ক্ষেত্রে বিবেচিত হবে সন্দেহ নেই৷ বিদেশে কোন মিশনে সৈন্য পাঠায় খোদ জার্মান পার্লামেন্ট৷ ফলে তাদের পুরনো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে যাতে হিন্দুকুশে উপস্থিত থাকতে না হয়, সেটা দেখাও পার্লামেন্টেরই দায়িত্ব৷ চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল-এর কোয়ালিশন সরকারের ছোট শরিক এফডিপি-র বাজেট বিশেষজ্ঞ ইউর্গেন কপেলিন জোর দিয়ে বলেছেন, ‘‘আমরা এই ব্যাপারটা নিশ্চিত করতে সব রকমের পদক্ষেপ নেবো যে, বিদেশে মোতায়েন আমাদের সৈন্যরা অনুভব করবেন যে বুন্ডেস্টাগ তাদের পাশে আছে এবং সেরা সরঞ্জামই তাঁরা পাবেন৷''

এই আশ্বাসবাক্যে জার্মানির অস্ত্রশিল্প মহল খুশি৷ খুশি প্রতিরক্ষামন্ত্রী কার্ল থেয়োডর সু গুটেনব্যার্গ৷ তিনি অবশ্য যতটা ধরা হয়েছিল ততটা বেশি অর্থ পাচ্ছেন না৷ কোয়ালিশনের বাজেট নিয়ন্ত্রকরা একেবারে শেষ মুহূর্তে ৪৫ কোটি ইউরো কেটে নিয়েছেন তাঁর চাওয়া ব্যয় বরাদ্দ থেকে৷ তবে ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই, আশ্বস্ত করেছেন মন্ত্রী৷ তিনি বলেন, ‘‘জার্মান সশস্ত্র বাহিনীর জন্য এবছর আমরা ৩১ বিলিয়ন ইউরোর কিছু বেশি ব্যয় করব৷ অংকটা বেশ বড়৷ তবে তা বেশ ভালভাবে বিনিয়োগ করা হবে৷''

সশস্ত্র বাহিনী কর্মী ফেডারেশনের বাজেট বিশেষজ্ঞ হার্টমুট শ্যোয়েনমায়ার বলেছেন, এই বাহিনী যদি ‘‘বিশেষজ্ঞদের সেনাবাহিনী'' হিসেবে উচ্চ যোগ্যতাসম্পন্ন লোকদের টেনে আনতে চায় তাহলে সৈনিকদের আরও বেশি বেতন দিতে হবে, পরিবার ও পেশার মাঝে আরও ভাল সমন্বয় ঘটাতে হবে৷

এ ধরণের ইচ্ছা পূরণ করা ভবিষ্যতে আরও বেশি কঠিন হয়ে উঠবে৷ কেননা ফেডারেল জার্মানির ইতিহাসে বাজেটের অবস্থা এতটা গুরুতর হতে আর কখনও দেখা যায়নি৷ এত বেশি ঋণও নতুন করে আর কখনও করা হয়নি৷ তাই ২০১১ সাল থেকে আর্থিক সংকটের কারণে সর্বত্রই বরাদ্দ কমবে, সামরিক খাতেও৷ রাজনীতিকরা সশস্ত্র বাহিনী খাতে ব্যয় সংকোচের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছেন৷ হর্ন অফ আফ্রিকায় ‘অপারেশন এনডিউরিং ফ্রিডম'এ জার্মান সৈনিকদের অংশগ্রহণ বাদ দেয়া যেতে পারে, মনে করেন বিরোধী সামাজিক গণতন্ত্রী দলের প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ রাইনার আর্নল্ড৷ তাঁর মতে বলকান অঞ্চলে - কসোভো আর বসনিয়া হেরৎসেগোভিনায় জার্মান সৈনিকদের উপস্থিতি কমিয়ে আনা যেতে পারে৷

বিরোধী বাম দল ডি লিংকে অবশ্য ট্যাংক আর বিমান খাতে বিলিয়ন বিলিয়ন ইউরো ব্যয় করার বিরোধী৷ তারা মনে করে, এগুলো বিদেশে সামরিক মিশনেই কাজে লাগবে৷

এই সব বৈদেশিক মিশনে কী পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়? বিশেষজ্ঞদের অনুমান, ২০১০ সালে এই খাতে ১.১ বিলিয়ন ইউরোরও বেশি অর্থ ব্যয় হবে৷

প্রতিবেদন: নিনা ভ্যার্কহয়জার

ভাষান্তর: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন