1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মান লিগে খেললেন বাংলাদেশের হকি খেলোয়াড়রা

১৩ অক্টোবর ২০১০

আগামী মাসে চীনে শুরু হচ্ছে ষোড়শ এশিয়ান গেমস৷ তাতে অংশ নেবে বাংলাদেশ হকি দল৷ গতবার বাংলাদেশের স্থান ছিল সপ্তম৷ এবার হকি দলের ১৮ জন খেলোয়াড় প্রায় দেড় মাস ধরে প্রশিক্ষণ নিলেন জার্মানি সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে৷

https://p.dw.com/p/Pd91
আগামী মাসে শুরু হচ্ছে এশিয়ান গেমস, অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ হকি দলছবি: AP

তারা খেলেছেন স্থানীয় লিগেও৷ তাদেরই একজন তাপস বর্মন৷ তিনি খেলেছেন ‘এইচটিসি এসডব্লিউ বন' ক্লাবের হয়ে৷ এই ক্লাবের হয়েই খেলেছেন আরও নয়জন৷ তাপসের কাছে জানতে চেয়েছিলাম তাঁর অভিজ্ঞতা সম্পর্কে৷ তিনি বললেন, ‘‘এখানে এসে জার্মান কোচের অধীনে প্রশিক্ষণ নিয়ে আমরা অনেক কিছু শিখতে পেরেছি৷ হকি দুনিয়াতে এখন রাজত্ব করছে ইউরোপ৷ তাঁরা কীভাবে খেলে বা প্রশিক্ষণ নেয় সেটা আমরা জানতে পেরেছি, যেটা ভবিষ্যতে কাজে লাগবে আমাদের৷''

তাপস বলেন, এশিয়ান খেলোয়াড়রা স্কিল'এর উপর নির্ভর করে খেলে৷ কিন্তু ইউরোপীয়রা সেটা করে না৷ তাদের খেলার মূলমন্ত্রই হলো পাস, পাস আর পাস৷ তবে যেনতেনভাবে পাস দেয়া নয়৷ প্রতিটা পাসের পেছনে থাকতে হবে যুক্তি৷ তিনি বললেন, ‘‘শুধু পাস দিলেই হলোনা৷ কাকে দিচ্ছি, কত দ্রুত দিচ্ছি এবং সেটা কেন দরকার এই বিষয়গুলো বিবেচনা করেই পাস দেয় ইউরোপীয়রা৷ এখানে এসে যেটা আমরা শিখতে পেরেছি৷''

এরপর এবারের এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশ কেমন করবে জানতে চাই তাপসের কাছে৷ জবাবে তিনি বললেন, বাংলাদেশের লক্ষ্য ছয় নম্বর স্থানটি নেয়া৷ অর্থাৎ গতবারের চেয়ে এক ধাপ এগোতে চায় বাংলাদেশ৷ এজন্য গ্রুপে থাকা ভারত বা পাকিস্তানের যে কাউকে হারাতে চান তাপসরা৷ তিনি বললেন, ‘‘আমরা যেভাবে হকি খেলি এবং এবার এতদিন প্রশিক্ষণের পর আমরা যদি আমাদের খেলাটা খেলতে পারি তাহলে আমি মনে করি ভারত বা পাকিস্তানের যে কাউকে হারানো সম্ভব৷''

এরপর কথা হয় বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার আনভীর আদেল খানের সঙ্গে৷ তাঁকে জিজ্ঞেস করি কেন ইউরোপ এখন হকিতে সেরা? কারণ একটা সময় ছিল যখন ভারত, পাকিস্তান বিশ্ব হকিতে রাজত্ব করতো৷ জবাবে তিনি বললেন, ‘‘এশিয়ানরা খেলে আর্টিস্টিক হকি৷ আর ইউরোপীয়রা খেলে পাওয়ার হকি৷ সঙ্গে রয়েছে ওয়ান টাচের খেলা৷''

আর এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশের প্রত্যাশা সম্পর্কে জানতে চাইলে তাপসের মতো তিনিও বললেন, ‘‘ষষ্ঠ হতে পারলেই মনে করবো আমরা চ্যাম্পিয়ন''৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল ফারূক