1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মান ‘শরিয়া পুলিশের' পুনর্বিচার শুরু

২১ মে ২০১৯

জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলের শহর ভুপার্টালে সাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে পুনরায় বিচার শুরু হয়েছে৷ তাদের বিরুদ্ধে ‘শরিয়া পুলিশ' নামে একটি গ্রুপ তৈরি করে হলুদ ‘ভেস্ট' পরে রাস্তায় টহল দেয়ার অভিযোগ রয়েছে৷

https://p.dw.com/p/3IoqV
Sharia Polizei in Wuppertal Facebook
ছবি: picture alliance/ROPI

স্বঘোষিত ‘শরিয়া পুলিশের' এই দল ২০১৪ সালে  রাস্তায় সাধারণ মানুষকে গান শোনা এবং মদ্যপান থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দিয়েছিল৷ সোমবার তাদের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়েছে৷

নতুন করে বিচারের মুখোমুখি হওয়াদের অবশ্য ২০১৬ সালে আদালত একবার নিষ্কৃতি দিয়েছিল৷ কিন্তু, গতবছর জার্মানির একটি উচ্চ আদালত নিম্ন আদালতের সেই রায় বাতিল করে নতুন করে তাদের বিচারের সিদ্ধান্ত নেয়৷

আসামিরা ২০১৪ সালে ‘শরিয়া পুলিশ' লেখা হলুদ পোশাক পরে ভুর্পাটালের রাস্তায় টহল দিয়েছিলেন৷ তাদের টহলের ছবি সেই সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হলে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়৷ তারা সেসময় একটি ‘শরিয়া নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের' ঘোষণা দিয়েদের মধ্যে লিফলেট বিতরণ করেছিল বলেও অভিযোগ রয়েছে৷ পাশাপাশি তারা পথচারীদের মাদক, মদ, জুয়া, পতিতালয়ে যাওয়া, গান শোনা এবং পর্নগ্রাফি থেকে বিরত থাকার আহ্বানও জানিয়েছিলেন৷

সেই সাত ‘শরিয়া পুলিশের' বিরুদ্ধে ইউনিফর্ম সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা অমান্য কিংবা দুষ্কর্মে সহায়তার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, যার শাস্তি হতে পারে দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড৷

আদালতের নথিপত্রে তাদের ‘সালাফিস্ট সিনের' সদস্য হিসেবে আখ্যায়িত করে তারা জার্মানির গণতান্ত্রিক আইনি ব্যবস্থাকে বদলে সেখানে ‘শরিয়া আইন' প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে৷

পাঁচ বছর পর পুনরায় বিচার

২০১৪ সালের সেই ঘটনার জন্য ২০১৬ সালে প্রথমবার বিচারের মুখোমুখি হন আলোচিত সাত ব্যক্তি৷ কিন্তু তখন ভুপার্টাল জেলা আদালতের বিচারক তাদেরকে ইউনিফর্ম নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গের জন্য শাস্তি দিতে চাননি, কেননা, তারা আইন ভঙ্গ করতে চেয়েছিলেন এমনো কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে বিচারকরা মনে করেছিলেন৷

কিন্তু ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে কার্লসরুয়ের কেন্দ্রীয় বিচার আদালত নিম্ন আদালতের সেই রায়ের সমালোচনা করে সেই সাত ব্যক্তিকে পুনরায় বিচারের মুখোমুখি করার নির্দেশ দেয়৷

আইনজীবী এবং ইসলাম বিশেষজ্ঞ মাথিয়াস রোহে মনে করেন, পুর্নবিচারের নির্দেশনা দিয়ে আদালত সঠিক কাজটিই করেছে, কেননা ‘শরিয়া পুলিশের' দলটির কারণে মুসলিম এবং অমুসলিমরা আতঙ্কিত অনুভব করার সুযোগ ছিল৷

এআই/এসিবি (এএফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য