1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জায়ান্ট জর্জ!

১৯ মার্চ ২০১০

মার্কিন মুলুকের এ্যারিজোনা রাজ্যের গিনেস রেকর্ডধারী এই গ্রেট ডেন কুকুরটির ছবি ইন্টারনেটের মাধ্যমে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে৷ তাকে দেখা গেছে অপ্রা উইনফ্রে’র শো’তে৷ কেননা সে বিশ্বের সবচেয়ে বড় কুকুর৷

https://p.dw.com/p/MXXC
জর্জছবি: picture-alliance/dpa

জায়ান্ট জর্জ আজও জানে না, এবং তার সাত মাস বয়সে তাকে নিয়ে আসার সময় এ্যারিজোনার টাস্কন শহরের ডেভিড এবং ক্রিস্টিন নাসার'ও জানতেন না, ঐ মিষ্টি দেখতে পাপি'টি কালে কোন আকার ধারণ করবে৷ আজ জর্জের বয়স চার, ওজন ১১১ কিলো, কাঁধের উচ্চতা ৪৩ ইঞ্চি, ল্যাজের ডগা থেকে নাকের ডগা অবধি দৈর্ঘ্য সাত ফুট তিন ইঞ্চি৷ একটি ছোটখাটো ঘোড়া বলা চলে৷

‘ছোট্ট জর্জ'

নাসার দম্পতির মনে আছে, ছোট্ট জর্জ তাঁদের বিছানাতেই শুতো৷ তার পরে হয় জর্জ মাত্রাধিক বেড়ে যায়, কিংবা বিছানাটা ছোট হয়ে যায়! ফলে অন্যত্র তার ব্যবস্থা করতে হয়৷ আজ জর্জের নিজের একটি সুবিশাল বিছানা আছে, সেটা শুধু তার জন্য৷ জর্জের মাসে ১১০ পাউন্ড ডগ ফুড লাগে: সেটাও নাসার পরিবারের বাজেটে ধরা ছিল না৷ বাড়ির পিছনের বাগানে জর্জ তার কাজকর্ম সারে - সে'সব সরাতে নাসার'রা নাকি একটি ছোটখাটো ট্র্যাক্টর কেনার কথা ভাবছেন৷

USA größter Hund der Welt Dogge George Flash-Galerie
মালিকের সঙ্গে জর্জছবি: picture alliance / dpa

গিনেস রেকর্ড

তবুও জর্জকে প্রাণ দিয়ে ভালোবাসেন নাসার দম্পতি৷ কেননা জর্জ তো আর জানে না, সে কতো বড়৷ শেষমেষ গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড থেকে লোক পাঠিয়ে জর্জকে মাপজোক করা হয়৷ তারপর গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের প্রধান সম্পাদক ক্রেইগ গ্লেনডে ঘোষণা করেন যে, জর্জই এখন বিশ্বের ‘‘সবচেয়ে উঁচু কুকুর'' এবং ‘‘চিরকালের সবচেয়ে উঁচু কুকুর''৷ লোকে কিন্তু জর্জের ছবি দেখে আঁতকে উঠে বলে: পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কুকুর৷

কারোর সঙ্গেই ঝগড়া নেই

অথচ জর্জের ছবি দেখে আঁতকানোর কোনো কারণ নেই৷ সে হল সেই জাতের কুকুর, পুরনো জার্মানে যা'কে গ্রেট ডেন বলা হতো৷ জার্মান ভাষায় নাম ‘ডয়চে ডগে'৷ জাতটির উৎপত্তি জার্মানিতেই৷ চেহারা রাজসিক, কিন্তু দৌড়বীরের মতো৷ ছ'ধরণের রঙে গ্রেট ডেন'দের পাওয়া যায়: ফন, ব্রিন্ডল, নীল, কালো, হার্লেকিন এবং ম্যান্টল৷ জর্জের রঙ হল ইস্পাত নীল৷ বাকি গ্রেট ডেনদের মতোই সে হল এক জেন্টল জায়ান্ট বা মিষ্টস্বভাব দৈত্য৷ অন্য কুকুর, বেড়াল কি মানুষ, কারোর সঙ্গেই তার ঝগড়া নেই৷ আর হবেই বা কি করে? আজ অবধি জর্জের সঙ্গে ঝগড়া করার মতো সাহস কারো হয়েছে বলে মনে হয় না৷

তবে বন্ধুত্ব যদি করতে হয়, জর্জের নিজের ওয়েব সাইট, ফেসবুক, টুইটার, এ-সবই আছে৷ সেখানে সে দেখেছি ইংরিজিতেই জবাব দেয়৷

প্রতিবেদক: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: আবদুল্লা আল-ফারূক