1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জিতলেন নাদাল, দুর্ভাগ্য জকোভিচের

২৫ নভেম্বর ২০১০

নাদাল রুখে দিলেন জকোভিচকে৷ লন্ডনে বুধবার সন্ধ্যায়৷ তবে এটিপি টেনিসের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলায় দুর্ভাগ্যের শিকার জকোভিচ৷ তাঁর চোখের দৃষ্টি হঠাৎ করেই চলে গিয়েছিল৷

https://p.dw.com/p/QHb5
রাফায়েল নাদাল,জকোভিচ,লন্ডন, London, Rafael Nadal, Djokovic, ATP tennis, Fit, Eye
রাফায়েল নাদালছবি: AP

রেকর্ড বুকে চলে গেল এই ম্যাচ

রাফায়েল নাদাল বনাম নোভাক জকোভিচ৷ এর আগে বেশ কয়েকবারই মুখোমুখি হয়েছেন টেনিস দুনিয়ার এই দুই কঠিন প্রতিপক্ষ৷ এবং সব সময়েই যে নাদালের সৌভাগ্য কাজ করেছে, এমনটা নয়৷ কিন্তু বুধবারের এটিপি টেনিসের কোয়ার্টার ফাইনালের খেলায় বিশ্বের তিন নম্বর আর সার্বিয়ার সবচেয়ে নামজাদা টেনিস খেলোয়াড়ের ভাগ্য সুপ্রসন্ন ছিল না৷ টেনিস রেকর্ডে এই খেলাটার উল্লেখ থেকে যাবে৷ কারণ জকোভিচের শারীরিক দুর্ভাগ্য৷

জকোভিচের চোখই নাদালের জয়ের কারণ

খেলার শুরু থেকেই বেসলাইনের লড়াইটা সাংঘাতিক জমে উঠেছিল৷ বিশ্বের এক নম্বর বনাম তিন নম্বরের খেলার দিকে সকলের চোখও ছিল৷ খেলার আগে বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, জকোভিচের ফিটনেস আর সার্ভিসের দক্ষতায় তিনি নাদালের থেকে এগিয়ে রয়েছেন৷ কিন্তু ঘন্টাখানেক খেলা গড়ানোর পর, দুজনেরই যখন সমান সমান পয়েন্ট পরিস্থিতি, তখনই হঠাৎ করে ডান চোখের দৃষ্টি খুইয়ে ফেলেন জকোভিচ৷ ব্যাপারটা এমন দাঁড়ায়, যে তিনি প্রায় কিছুই দেখতে পাচ্ছিলেন না – কোথায় বল, কীভাবে পাল্টা জবাব দেবেন সার্ভিসের, কিছুই নয়৷ খেলা থামিয়ে তাড়াতাড়ি ডাক্তার ডাকা হল৷ ডাক্তার এসে জকোভিচের চোখ পরীক্ষা করে চেষ্টা করলেন তাঁকে সুস্থ করার৷ কিন্তু কোনকিছুই কোন কাজে লাগে নি৷

পেশাদার টেনিসে খেলা চলতেই থাকে

এই অবস্থায় তো খেলা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা৷ কিন্তু পেশাদারী টেনিসে তেমন নিয়ম নেই৷ ফলে খেলা চলতেই থাকে৷ আর বলা বাহুল্য অতি সহজে বিজয় হাসিল করে ম্যাচ বের করে নেন রাফায়েল নাদাল৷ ৭-৫ আর ৬-২ ফলাফলে ম্যাচ চলে যায় নাদালের পক্ষে৷ ফলে নাদাল এটিপি টুরের সেমিফাইনালে চলে গেলেন সরাসরি৷ আর এই ফলাফলের গাণিতিক নিয়মে মার্কিন টেনিসে খেলোয়াড় অ্যান্ড্রু রডিকেরও ফাইনালে যাওয়ার পথ রুদ্ধ হল৷ সুতরাং ক্লে কোর্টের রাজা বলে পরিচিত বিশ্বের এই মুহূর্তের এক নম্বর রাফায়েল নাদালের পক্ষে এবারের এটিপি টুর জিতে বিপুল অংকের প্রাইজ মানি জিতে নেওয়াটা শুধুই সময়ের অপেক্ষা, বলছেন বিশেষজ্ঞরা৷ টেনিস পন্ডিতরা৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন