1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জেলা প্রশাসকদের সজাগ থাকতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

২৬ জুলাই ২০১০

বাংলাদেশের পত্র পত্রিকায় তিনটি মূল আলোচ্য বিষয় ছিল জেলা প্রশাসকদের সম্মেলন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের শুনানি এবং প্রশ্নপত্র ফাঁস তদন্ত কমিটির রিপোর্ট৷

https://p.dw.com/p/OURn
Bangladesh, terror
বোমা আতঙ্কের দুঃস্বপ্ন: এর বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে বললেন প্রধানমন্ত্রীছবি: dpa - Bildfunk

রবিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জেলা প্রশাসকদের তিনদিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধন করলেন শেখ হাসিনা৷ প্রধানমন্ত্রী জঙ্গি তৎপরতার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে এবং ‘নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারাকারীদের' বিরুদ্ধে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন, প্রথম আলো সহ সব পত্রিকাই তাকে প্রাধান্য দিয়েছে৷ দ্বিতীয়ত, পবিত্র রমজান মাসের সুযোগ নিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা যা'তে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিষপত্রের দাম বাড়াতে না পারে, জেলা প্রশাসকদের সে'বিষয়ে সজাগ থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী৷ জনকণ্ঠের প্রতিবেদনের সূচনায় রয়েছে, ‘ওরা গণতন্ত্র ধ্বংস ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নস্যাতের অপচেষ্টা চালাতে পারে: ডিসি'দের প্রধানমন্ত্রী'৷

ডিসি'রা কি বলেছেন

জনকণ্ঠের বিবরণ অনুযায়ী ‘কাজের শ্লথগতির জন্য মাঠ প্রশাসনে সমন্বয়হীনতা ও আদালত অবমাননার খড়্গকে দায়ী করেছেন জেলা প্রশাসকরা'৷ সমকালের উদ্ধৃতি অনুযায়ী ডিসি'দের অভিযোগ: ‘কথায় কথায় আদালত অবমাননা হয়৷ মনে হয় আমরা অপরাধী৷... আমরা আর কাঠগড়ায় দাঁড়াতে চাই না৷' ইত্তেফাকের বিবরণে ডিসি'দের অপর একটি দাবী বিশেষ করে তুলে ধরা হয়েছে৷ ডিসি'রা পুলিশ সুপারদের আদেশ দেওয়ার ক্ষমতা চান৷ এছাড়া তাঁরা ভ্রাম্যমান আদালত, দ্রুত বিচার, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন ও বাজার নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে অধিকতর ক্ষমতা চেয়েছেন, বলে জানিয়েছে ইত্তেফাক৷

ট্রাইব্যুনালের বিচারের কাজ শুরু হচ্ছে

জামায়াতের চার নেতার আটক আবেদনের শুনানি আজ, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে৷ সকাল সাড়ে দশটায়৷ মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, মোহাম্মদ কামারুজ্জামান এবং আব্দুল কাদের মোল্লা'কে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনের খবর সব পত্রিকায়৷ কালের কণ্ঠ জানাচ্ছে, শীঘ্রই জামায়াতের আরেক নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকেও গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করতে যাচ্ছে তদন্ত সংস্থা৷ যুগান্তরের বিবরণ অনুযায়ী চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, পল্লবী বা কেরানীগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধা হত্যা মামলা নিয়ে তাঁরা ভাবছেন না৷ তাদের মূল দৃষ্টি একাত্তরে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের দিকে৷

প্রশ্নপত্র ফাঁস

প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট জমা পড়েছে৷ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি৷ রবিবার কমিটির প্রধান শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের কাছে কমিটির রিপোর্ট জমা দেন৷ পরে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের তার সারসংক্ষেপ জানান৷ কালের কণ্ঠের বিবরণ অনুযায়ী শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, কমিটির বিবেচনায় মূলত বিজি প্রেস থেকেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে৷ কমিটি ঘটনার সঙ্গে জড়িত ১১ জনকে সরাসরি চিহ্নিত করেছে৷ এই এগারো জনের মধ্যে ছয় জন বিজি প্রেসের, একজন সরকারি কর্ম কমিশন বা পিএসসি'র এবং অন্য চারজন রংপুরের বাসিন্দা, বলে সমকালের খবর৷ ১১জনের মধ্যে ৯ জন ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার, বলে জানাচ্ছে জনকণ্ঠ৷ আরো প্রায় শ'দুয়েককে সন্দেহভাজন অপরাধী বলে চিহ্নিত করা হয়েছে৷ ‘কিন্তু পেছনে আছে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক,' জানাচ্ছে জনকণ্ঠ৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম