1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জৈব জ্বালানি চালু করে বিপাকে জার্মানি

৪ মার্চ ২০১১

জার্মানির গাড়ি চালকরা আগে থেকেই সুপার এবং সুপার প্লাস নামের জ্বালানি ব্যবহারে অভ্যস্ত৷ তবে পরিবেশের উপর নেতিবাচক প্রভাব হ্রাসে সম্প্রতি সুপার ই১০ নামের জ্বালানি চালু করে সরকার৷

https://p.dw.com/p/10TYo
ছবি: AP

নতুন এই সুপার ই১০ জ্বালানির ৯০ শতাংশ সুপার এবং ১০ শতাংশ জৈব জ্বালানি৷ কিন্তু ৭০ শতাংশ জার্মান গাড়ি চালকের আশঙ্কা, এই জ্বালানি তাদের গাড়ির ইঞ্জিনের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে৷ আর সেই ভয়েই তাঁরা জানিয়ে দিচ্ছেন, কখনই সুপার ই১০ কিনবেন না৷ জার্মান পেট্রোলিয়াম শিল্প-কারখানাগুলোর সমিতি এমডাব্লিউভি'র পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে এই তথ্য৷

এতে আরো বলা হয়েছে, চালকরা বলছেন যে তাঁরা বরং বেশি দাম দিয়ে হলেও সুপার এবং সুপার প্লাস ব্যবহার করবেন৷ এই প্রেক্ষিতে সুপার এবং সুপার প্লাস জ্বালানির চাহিদা হঠাৎ করে এতোটাই বেড়ে গেছে যে, গ্যাস স্টেশনগুলোতে এখন এই দুই ধরণের জ্বালানির সংকট দেখা দিয়েছে৷ সারা জার্মানিতে থাকা প্রায় ১৫ হাজার গ্যাস স্টেশনের অনেকেই জানিয়ে দিয়েছে তাদের সংকটের কথা৷ এমনকি বেশ কিছু স্টেশনে সুপার প্লাস জ্বালানি একেবারে ফুরিয়ে গেছে৷ এমতাবস্থায় জার্মান চালকদের প্রতি আবারও জৈব জ্বালানি সুপার ই১০ ব্যবহারের আহ্বান জানিয়ে এমডাব্লিউভি বলেছে, এই জ্বালানি শুধুমাত্র অল্প কিছু গাড়ির ক্ষতি করে৷

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, জার্মান সড়কে যেসব গাড়ি চলাচলের অনুমতি রয়েছে সেগুলোর ৯৩ শতাংশ গাড়িতেই সুপার ই১০ ব্যবহার করা যাবে এবং তাতে কোন ক্ষতির আশঙ্কা নেই৷ তবে জৈব জ্বালানি নিয়ে এই সংকটে বিপাকে পড়েছে সরকারও৷ তাই বিষয়টি খতিয়ে দেখে এর সুষ্ঠু সমাধানে জরুরি বৈঠক ডেকেছে অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়৷ এই দপ্তরের মন্ত্রী রাইনার ব্রুডের্লে নিজেও স্বীকার করেছেন যে, ‘‘এ ব্যাপারে শিল্প-কারখানা এবং ভোক্তা উভয় পক্ষের মধ্যে স্পষ্টতা খুবই জরুরি৷''

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক