1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জ্বলছে ব্যাংকক : চলছে সেনা অভিযান

১৯ মে ২০১০

ব্যাংককের বিভিন্ন ভবনে জ্বলছে আগুন৷ লালজামাধারীরা আগুন ধরিয়ে দিয়েছে স্টক এক্সচেঞ্জ ভবন, মেট্রোপলিটন ইলেক্ট্রিসিটি অফিস, কয়েকটি শপিংমল এবং একটি টেলিভিশন চ্যানেলের অফিসে৷ এ অবস্থায় কর্তৃপক্ষ সেখানে সান্ধ্যআইন জারি করেছে৷

https://p.dw.com/p/NRmr
ছবি: AP

প্রায় দুই মাস ধরে সরকার বিরোধী আন্দোলনের সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি এখন ব্যাংককে৷ সেখানে দাঙ্গা মারাত্নক রূপ নেয়ার কথাই জানা যাচ্ছে৷ সরকারী বাহিনী এবং আন্দোলনকারী উভয়েই এখন রণসাজে৷ আন্দোলনকারীদের উপর বড় ধরণের অপারেশন পরিচালনা করা হচ্ছে৷ আর এই অভিযানের কবলে পড়ে লালজামাধারীদের বেশ কযেকজন নেতা সেনাবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পন করেছেন বলে খবর৷ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, আন্দোলনকারী চার নেতা আত্মসমর্পন করার পরও সেখানকার পরিস্থিতি অপরিবর্তিত৷

সরকার জানিয়েছে, আন্দোলনকারীদের একটি অবস্থানস্থলে সেনাবাহিনীর অভিযান এবং সেই স্থান মুক্ত করার পরও ব্যাংককের শান্ত হয়নি৷ কারণ, এখনো বেশ কিছু জায়গায় সরকার নিয়ন্ত্রণ স্থাপন করতে পারেনি৷ সরকারের মূখপাত্র পানিতান ওয়াত্তানইয়াগ্রোন নগরবাসী এবং পর্যটকদের নিজ নিজ আবাসে অবস্থান করতে পরামর্শ দিয়েছেন৷ তিনি বলছেন, ‘পরিস্থিতি শান্ত না হওয়া পর্যন্ত নিজ নিরাপত্তার জন্য ঘরেই থাকুন৷'

NO FLASH Unruhe und Gewalt in Thailand
ছবি: AP

তবে সরকারের দাবি অনুসারে শহরের বিভিন্ন স্থানে লুটতরাজ শুরু হয়েছে৷ আর অন্যদিকে, আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন ভবনে আগুন ধরিয়ে দেবার ঘটনা ঘটনা ঘটাচ্ছে৷ চ্যানেল থ্রি নামের যে টেলিভিশন চ্যানেলের অফিসে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়েছে, সেখানে প্রায় শতাধিক কর্মী আটকা পড়ে আছেন৷ অগ্নি নির্বাপক বাহিনীর সদস্যরা সেখানে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ করছেন৷ লালজামাধারীরা হাতে তৈরি বোমা এবং গ্রেনেড ছুড়ছে সেনাবাহিনীর দিকে৷ রাতে অভিযান চালাবার পর কিছুটা সময় সেনা অভিযান খ্যান্ত থাকলেও তা আবার শুরু হয়েছে বলেই খবর এসেছে৷ আর এই অভিযান যে কোন সময়ের চেয়ে সবচেয়ে শক্তিশালী বলেই জানাচ্ছেন সংবাদ কর্মীরা৷ ইতিমধ্যেই হাসপাতাল সূত্রের খবরআজ অন্তত ছয় জন লালজামাধারী নিহত এবং ৬৪ জন আহত হয়েছে৷ আহতের সংখ্যা বাড়ছে৷

কর্তৃপক্ষ সেখানে রাত আটটা থেকে ভোর ছয়টা পর্যন্ত সান্ধ্যআইন জারি করেছে৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ