1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের দায় রাজউকের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর’

৭ জুন ২০১০

রাজধানীর বেগুনবাড়িতে ভবন ধসে ২৫ জন নিহত এবং পুরনো ঢাকায় ভয়াবহ আগুনে শতাধিক মানুষের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউক প্রশ্নের মুখে পড়েছে৷

https://p.dw.com/p/Njf0
ফাইল ফটোছবি: picture-alliance/dpa

কারণ রাজধানীতে ভবন নির্মাণের অনুমোদন দেয়া এবং তা সঠিকভাবে নির্মিত হয়েছে কিনা তা দেখার দায়িত্ব তাদের৷ ভবনের নকশা, প্রকৌশল, বিদ্যুৎ ও পানিসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিক আছে কিনা তা নিশ্চিত হয়েই ভবনটিতে বসবাসের ছাড়পত্র দেয়ার কথা৷

রাজউকের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নুরুল হুদা ডয়চে ভলের কাছে এই দায়দায়িত্বের কথা স্বীকার করেছেন৷ তিনি বলেছেন রাজউকের একশ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারী এর জন্য দায়ি৷ তাদের চিহ্নিত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া শুরু হয়েছে৷ তবে এর জন্য তিনি ভবনের মালিকদেরও দায়ি করেন৷ তিনি বলেন ভবন মালিকরা অসাধুতার আশ্রয় নেয় বা বেআইনী কাজ করে বলেই অসৎ কর্মকর্তাদের ঘুষ দেয়৷ এই দুই শ্রেণী মিলে একটি সিন্ডিকেট হিসেবে কাজ করে৷

রাজউক চেয়ারম্যান জানান, রাজধানীতে অনুমোদনহীন ৫ হাজার বাড়ি চিহ্নিত করা হয়েছে৷ আরো চিহ্নিত করার কাজ চলছে৷আর নতুন বাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে৷ নতুন বাড়ি বানাতে গিয়ে বাড়ির মালিক যদি নিয়ম লংঘন করেন তার যে শাস্তি হবে, ওই বাড়ির নির্মাণ কাজ মনিটরিংয়ের জন্য রাজউকের যিনি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা থাকবেন, তারও একই শাস্তি হবে৷ আর বাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে ঘুষ লেন দেন না করার আহবান জানান তিনি৷

রাজউক চেয়ারম্যান জানান, রাজধানীতে কেউ বাসা ভাড়া নেয়ার আগে যেন দেখে নেন বাড়িটি রাজউক অনুমোদিত কিনা৷অনুমোদন না থাকলে তারা যেন রাজউককে খবর দেন৷ তারা ব্যবস্থা নেবেন৷ অনুমোদনহীন বাড়িতে বসবাস প্রাণহানির আশংকা বাড়ায়৷

রাজউকের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নুরুল হুদা বলেন, তাদের লোকবলেরও অভাব আছে৷ মাত্র একজন ম্যাজিস্ট্রেট আর ৮৫০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী দিয়ে দেড় কোটি লোকের এই ঢাকায় রাজউকের কাজ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা সম্ভব নয়৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী