1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আবার গাড়ি চালিয়ে হামলা

২৪ এপ্রিল ২০১৮

আবার পথচারীদের ধাক্কা মেরে উড়িয়ে দিল গাড়ি৷ এবার ঘটনাস্থল ক্যানাডার টরন্টো শহর৷ দুর্ঘটনা নয়, ইচ্ছাকৃতভাবেই মানুষ মারার ছক কষেছিল আততায়ী৷ পুলিশের ধারণা, এটা সন্ত্রাসী হামলা নয়৷

https://p.dw.com/p/2wXjL
টরন্টো শহরে হামলা
ছবি: picture-alliance/AP Photo/The Canadian Press/A. V. Elkaim

সোমবার দুপুরে টরন্টো শহরের এক ব্যস্ত অফিসপাড়ায় মধ্যাহ্নভোজনের বিরতির সময়ে হামলা ঘটে৷ চালক একটি সাদা রংয়ের ভ্যান চালিয়ে ফুটপাথে পথচারীদের ধাক্কা দিতে শুরু করে৷ প্রায় দেড় কিলোমিটার ধরে তাণ্ডবলীলা চালানোর প্রায় ২৫ মিনিট পর তাকে থামানো সম্ভব হয়৷ ততক্ষণে তার গাড়ির ধাক্কায় কমপক্ষে ১০ জন নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছে৷

স্থানীয় পুলিশ এই হামলাকে একক ব্যক্তির অপরাধ হিসেবেই গণ্য করছে৷ তাদের সূত্র অনুযায়ী, জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েনি৷ আপাতত স্থানীয় পুলিশই ঘটনার তদন্ত করছে৷ রয়েল ক্যানাডিয়ান মাইন্টেড পুলিশ বাহিনীকে এখনো সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়নি৷ পর্যবেক্ষকদের মতে, এর অর্থ কোনো সন্ত্রাসবাদী যোগসূত্র পাওয়া যায়নি৷

উল্লেখ্য, ইউরোপ ও অ্যামেরিকায় অতীতে এমন কয়েকটি হামলায় আততায়ীরা নিজেদের তথাকথিত ইসলামিক স্টেট জঙ্গি হিসেবে তুলে ধরেছিল৷ এ ক্ষেত্রে তেমন কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না৷ জার্মানির ম্যুনস্টার শহরেও সম্প্রতি একই ধরনের এক হামলা চালানো হয়েছিল৷ গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ক্যানাডার এডমন্টন শহরে সোমালিয়ার এক শরণার্থী স্টেডিয়ামের সামনে গাড়ি চালিয়ে ৪ জন পথচারীকে ধাক্কা মারে ও এক পুলিশ অফিসারকে ছুরি মেরে হত্যার চেষ্টা করে৷

টরন্টোর আততায়ীর নাম আলেক মিনাসিয়ান৷ বয়স ২৫৷ এর আগে পুলিশের খাতায় কখনো তার নাম ওঠেনি৷ পুলিশের হাতে ধরা পড়ার সময়ে সে বন্দুক চালানোর হুমকি দিচ্ছিলো৷ সে চাইছিলো, ঘটনাস্থলেই তাকে পুলিশ হত্যা করুক৷ শহরের উপকণ্ঠে একটি স্কুলে ‘স্পেশাল নিডস' বা মূল স্রোতের বাইরের ছাত্রছাত্রীদের এক কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছিলো বলে জানা গেছে৷ সহপাঠীদের কয়েকজনের মতে, আলেক মিনাসিয়ান অত্যন্ত শান্ত স্বভাবের মানুষ৷ মাথা নীচু করে দুই হাত একত্র করে তাকে হাঁটতে দেখা যেতো৷

ক্যানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন৷ ‘অত্যন্ত দুঃখজনক ও অর্থহীন' এই হামলা সত্ত্বেও তিনি বলেন, মনে ভয় ছাড়াই ক্যানাডার শহরগুলিতে হাঁটাচলা করতে পারা উচিত৷

মার্কিন প্রশাসনও হামলার নিন্দা করে ক্যানাডাকে প্রয়োজনে সব রকমের সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে৷

সোমবারই টরন্টো শহরে জি-সেভেন গোষ্ঠীর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক শেষ হয়েছে৷ সম্মেলনস্থল থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে এই হামলা ঘটেছে৷ জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস ততক্ষণে নিউ ইয়র্কের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন৷ তিনিও এই হামলার নিন্দা করেন৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এপি)