1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মন্তব্য খারিজ

২৩ নভেম্বর ২০২১

হেনড্রিক স্ট্রিক জার্মানির অন্যতম শীর্ষ ভাইরোলোজিস্ট বা সংক্রমণ বিশেষজ্ঞ৷ তার মতে, জার্মান মন্ত্রীর সাম্প্রতিক করোনা বিষয়ক মন্তব্য বাস্তবের সাথে সাংঘর্ষিক৷

https://p.dw.com/p/43N9N
Deutschland | Jens Spahn
ছবি: Kay Nietfeld/dpa/picture alliance

জার্মানির বন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজি ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর হেনড্রিক স্ট্রিক৷ সোমবার ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েনস স্পানের করোনা বিষয়ক মন্তব্যের সাথে তিনি সম্পূর্ণ দ্বিমত পোষণ করেন৷

সোমবার একটি সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, ‘‘কিছুটা নিষ্ঠুর শোনালেও, হয়তো এই শীত শেষ হবার সাথে সাথেই জার্মানির সবাই হয় টিকা পাবেন, বা করোনা থেকে সেরে উঠবেন, বা করোনায় মারা যাবেন৷''

বর্তমানে জার্মানি লড়ছে করোনা সংক্রমণের চতুর্থ ও সবচেয়ে বেশি প্রকট ঢেউয়ের বিরুদ্ধে৷ সোমবার একদিনে নতুন সংক্রমণের সংখ্যা ছিল ৩০ হাজার ৬৪৩৷ পাশাপাশি, হাসপাতালের আইসিইউগুলি দ্রুত ভরে উঠচে রোগীতে, যা এর আগের বছর এভাবে দেখা যায়নি৷

করোনা এভাবে বাড়ে না'

স্পানের মন্তব্যের সাথে করোনা ভাইরাসের বাস্তবিক চলনের কোনো মিল নেই বলে মনে করেন স্ট্রিক৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি একমত যে বর্তমান পরিস্থিতি অত্যন্ত নাজুক৷ কিন্তু আমি মনে করিনা যে আসন্ন শীতের মধ্যে সবাই টিকা পাবেন বা করোনা থেকে সেরে উঠবেন বা মারা যাবেন৷ তা হলে তো এই ভাইরাস সারা দেশে প্রত্যেকের ঘরে ঘরে গিয়ে পৌঁছাবে৷''

এভাবে করোনা ভাইরাস কাজ করেনা বলে জানান তিনি৷ স্ট্রিকের মতে, ‘‘সংক্রমণের এই ঢেউ আকারে চলার অর্থ হচ্ছে যে ভাইরাসটি একটি সামাজিক গোষ্ঠী থেকে আরেকটি সামাজিক গোষ্ঠীতে ছড়ায়৷''

হেনড্রিক স্ট্রিক স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে একমত যে, করোনা ঠেকাতে সবচেয়ে বেশি সুরক্ষা দিতে পারবে টিকাই৷ কিন্তু ২০২২ সালের বসন্তের আগেই অতিমারি শেষ হয়ে যাবে, তা মনে করেন না স্ট্রিক৷

তার বক্তব্য, ‘‘টিকাদানের হার না বাড়লে এই পরিস্থিতি আগামী শীতে ও তার পরের শীতেও বহাল থাকবে৷''

বাধ্যতামূলক টিকা?

করোনা ভাইরাসের টিকাকে দেশে বাধ্যতামূলক করার বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনা করতে হবে বলে মনে করেন স্ট্রিক৷ তার মতে, যদি টিকার কার্যক্ষমতা ছয়মাস পরে কমতে থাকে, সেক্ষেত্রে ‘‘একটা দীর্ঘ সময় ধরে বছরে দুবার করে টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক'' করতে হবে৷

স্ট্রিক বলেন, ‘‘রাজনীতিকরা জনগণকে বাধ্যতামূলক টিকা না করার আশ্বাস দিয়ে এসেছেন৷ এখন যদি তা করা হয়, তাহলে সেটা সরকারের ওপর মানুষের আস্থা কমিয়ে আনবে৷'' বর্তমান পরিস্থিতিতে জনগণের সরকারের ও প্রশাসনের ওপর আস্থা থাকা জরুরি বলে মনে করেন স্ট্রিক৷

তবে, প্রথমসারির করোনা যোদ্ধাদের ক্ষেত্রে যদি টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয় ও তার ফলে গণহারে স্বাস্থ্যকর্মীরা চাকরি ছেড়ে দেন, তবে হিতে বিপরীত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্ট্রিক৷ দেশজুড়ে সংকট চলাকালীন ‘‘এমনটা হলে অনেকেই হয়তো বাধ্যতামূলক টিকা নেবার বদলে কাজ ছেড়ে দেবে'' বলে তার মত, যা এই সংকটকে আরো গভীর করে তুলতে পারে৷

এলিজাবেথ শুমাখার/এসএস

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য