1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টিপু সুলতানের ফাঁসির রায়

১১ ডিসেম্বর ২০১৯

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বোয়ালিয়ার সাবেক শিবির নেতা মো. আব্দুস সাত্তার ওরফে টিপু সুলতানকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে যুদ্ধাপরাধ আদালত৷

https://p.dw.com/p/3UZxo
Bangladesch l Internationaler Strafgerichtshof
ছবি: bdnews24.com

বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বুধবার এ মামলার রায় ঘোষণা করে৷

রায়ে আদালত বলেছেন, আসামির বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা দুটি অভিযোগই সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে৷ প্রতিটি অভিযোগেই আসামিকে দেওয়া হয়েছে মৃত্যুদণ্ড৷

রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর মোখলেছুর রহমান বাদল তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘‘তাদের অপরাধ বিবেচেনা করে আদালত মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছে; এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট৷''

মুক্তিযুদ্ধের প্রথম দিকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সঙ্গে মিলে স্থানীয় যে রাজাকাররা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল, তাদের মধ্যে টিপু সুলতানই  কেবল বেঁচে আছেন৷ একাত্তরের সেই ভূমিকার জন্য এলাকার অনেকে তাকে চেনে টিপু রাজাকার নামে৷

রাষ্ট্র নিয়োজিত আইনজীবী গাজী এমএইচ তামিম বলেন, ‘‘এই রায়ে আমার মক্কেল সংক্ষুব্ধ৷ আশা করি তিনি আপিল করবেন৷ আপিল করলে খালাস পাবেন বলেই আমার বিশ্বাস৷''

আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন অনুযায়ী, যুদ্ধাপরাধ মামলায় দণ্ডিত আসামি রায়ের এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করার সুযোগ পান৷

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ পর্যন্ত রায় আসা ৪১টি মামলার ১০৩ জন আসামির মধ্যে ছয়জন বিচারাধীন অবস্থায় মারা গেছেন৷ মোট ৯৫ জনের সাজা হয়েছে, যাদের মধ্যে ৬৮ যুদ্ধাপরাধীর সর্বোচ্চ সাজার রায় এসেছে৷

ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, ‘‘নাটোরের লালপুর উপজেলার গোপালপুর ডিগ্রি কলেজ থেকে অবসরে যাওয়া টিপু সুলতানকে (৬৮) একাত্তরের ভূমিকার জন্য রাজশাহীর অনেকে চেনে ‘টিপু রাজাকার' নামে৷

মুক্তিযুদ্ধের সময় টিপু ছিলেন জামায়াতে ইসলামী ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘের স্থানীয় কর্মী৷ দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সেই ছাত্রসংঘ নাম বদলে হয় ইসলামী ছাত্র শিবির৷ টিপু শিবিরের রাজনীতিতেও যুক্ত ছিলেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে মামলার অভিযোগপত্রে৷''

তিনি পড়াশোনা করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে৷ ১৯৮৪ সালে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে নাটোরের গোপালপুর ডিগ্রি কলেজে যোগ দেন৷ ২০১১ সালে অবসর নেন৷

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর বলছে, ‘‘১৯৭৪ সালের ১০ অগাস্ট টিপু সুলতানকে গ্রেপ্তার করা হলেও পরে তিনি ছাড়া পেয়ে যান৷ ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি বিস্ফোরক আইনের এক মামলায় মতিহার থানার পুলিশ তাকে ফের গ্রেপ্তার করে৷ পরে তাকে যুদ্ধাপরাধ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়৷''

এফএস/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)