1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টুইটার মানুষের প্রাণ বাঁচানোর ক্ষমতা রাখে

১৬ মে ২০১১

জাপানে গত মার্চের বিধ্বংসী ভূমিকম্প এবং সুনামির পর তথাকথিত ‘সামাজিক গণমাধ্যম’ আবার প্রমাণ করে যে, এসএমএস কি টুইটার শুধু অনলাইনের খেলাই নয়৷ সংকট, বিপর্যয়ের সময়েও তাদের একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে৷

https://p.dw.com/p/11GY5
LOGO TWITTER

ভূমিকম্পের পর সুনামি৷ জাপানের পূর্ব উপকূলে একের পর এক জনপদ বিধ্বস্ত৷ বহু মনুষের প্রাণহানি, হাজার হাজার মানুষ নিখোঁজ৷ এ'সবের মধ্যে যারা ক্রনিক পেশেন্ট অর্থাৎ স্থায়ীভাবে রোগী, এবং যাদের নিয়মিতভাবে ওষুধ ও ডাক্তারি পরিচর্যা দরকার, তাদের কথা মনে রাখাই শক্ত৷ কিন্তু তা বলে তো তাদের অবহেলা করা চলে না, অন্তত ডাক্তার হলে তো নয়ই৷ সেই ধরণেরই একটি কাহিনী শুনিয়েছেন জাপানের দুই ডাক্তার ইয়ুচি তামুরা ও কেলিচি ফুকুদা, ব্রিটেনের প্রখ্যাত মেডিকাল জার্নাল ‘দ্য ল্যান্সেটে' চিঠি লিখে৷

রোগটির নাম পালমোনারি হাইপারটেনশন৷ বিরল রোগ, গোটা জাপানে মাত্র হাজার খানেক এ'ধরণের রোগী আছেন৷ তাদের মূল চিকিৎসা হল: ঘাড়ের কাছে একটি শিরায় ক্যাথেটার ঢুকিয়ে সেই পথে শরীরে ওষুধ দেওয়া হয়, যা'তে রক্তে চাপ বেঁধে হার্টে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে হার্ট ফেল না করে৷ ওদিকে আরো মুশকিল হল এই যে, রোগ বিরল বলে সব হাসপাতালে ওষুধটি মজুত থাকে না৷

কাজেই ভূমিকম্প-সুনামির ধ্বংসলীলার মধ্যেও টোকিও ইউনিভার্সিটির কার্ডিওলজি বিভাগের ডক্টর তামুরাকে রোগীদের খোঁজখবর রাখতে হয়েছে৷ অথচ আপৎকালীন পরিস্থিতিতে টেলিফোন কাজ করছে না৷ সুনামির পর অনেক রোগী এটুকুও জানেন না যে, কাছাকাছি কোথায় তারা তাদের প্রাণ-বাঁচানো ওষুধটির রিফিল পাবেন, কোন হাসপাতালে অথবা দোকানে৷

এই অবস্থায় বাঁচালো টুইটার৷ ডাক্তাররা তাদের জনা ষাটেক রোগীকে টুইট করলেন৷ রোগীরা আবার টুইট করলেন আরো ১০০ রোগীকে৷ কোনো রোগী হয়তো জানালেন, তার পক্ষে হাসপাতালে গিয়ে ওষুধ আনা সম্ভব নয়৷ সেক্ষেত্রে গাড়ি, এমনকি হেলিকপ্টারে ওষুধ পাঠানোর ব্যবস্থা করা হল৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ