1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি বার্লিন

২২ জুন ২০১০

টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি বার্লিন প্রতিষ্ঠিত হয় ১৭৯৯ সালে৷ সেই সময় এর নাম ছিল প্রুশিয়ান শিক্ষা একাডেমি৷ তখন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জনপ্রিয়তা ছিল গবেষণা এবং অধ্যাপনার জন্য৷

https://p.dw.com/p/NzjZ
ছবি: cc-by-sa/Mangan2002

প্রতিষ্ঠিত হবার ঠিক ৮০ বছর পর বিশ্ববিদ্যালয়টিকে বাড়িয়ে তার সাথে জুড়ে দেয়া হয় রয়্যাল টেকনিক্যাল কলেজ অফ বার্লিনকে৷ ১৯৪৬ সালে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয় বিশ্ববিদ্যালয়টি নতুন এক নামে৷ টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি বার্লিন বা টি ইউ বার্লিন৷

২০০৮ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে ৩০ হাজারেরও বেশি ছাত্র-ছাত্রী৷ তার মধ্যে ২০ শতাংশই হচ্ছে বিদেশি৷ সবমিলে আছেন চারশোর ও বেশি অধ্যাপক৷ প্রশাসন, বিভিন্নওয়ার্কশপ এবং গবেষণাগারগুলোতে প্রতিনিয়ত সাহায্য করে যাচ্ছেন আড়াই হাজারেরও বেশি কর্মী৷

এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আছে সাতটি অনুষদ এবং এই অনুষদগুলোর অধীনে চালিত হয় ৫০ টি বিভিন্ন ধরণের কোর্স৷ প্রকৌশল, বিজ্ঞান ভিত্তিক বিষয়, অর্থনীতি, ব্যবসা এবং ব্যবস্থাপনা, মানবিক এবং সমাজ বিজ্ঞান বিভাগ তার অন্যতম৷ তবে প্রকৌশল এবং বিজ্ঞান ভিত্তিক বিষয়ের জন্যই এই বিশ্ববিদ্যালয়টি বিশেষ পরিচিতি লাভ করেছে৷ বার্লিনের একেবারে কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত এই টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি৷

মানবিক অনুষদের অধীনে আছে ইতিহাস, দর্শন, ফ্রেঞ্চ স্টাডিজের মত বিষয়গুলো৷ মাস্টার্স এবং পিএইচ ডি করার সুযোগ দিচ্ছে এই অনুষদ৷ এছাড়াও আছে মিডিয়া উপদেষ্টার মত বিষয় যেখানে ক্যারিয়ার গড়ার ওপর জোর দেয়া হয়৷

গণিত এবং সাধারণ বিজ্ঞান অনুষদে জিওমেট্ট্রি, অ্যালগরিথমিক ম্যাথমেটিক্স এবং ম্যাথম্যাটিক্যাল ফিজিক্স অন্যতম বিষয়৷ এই অনুষদটি মুলত গবেষণামুলক৷ এই বিষয়গুলোতে ডিপ্লোমা অর্জন করা যায় এছাড়াও আনুষাঙ্গিক আরো একটি কোর্স আছে ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বিজনেস ম্যাথ৷ রসায়ন এবং পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ দুটি আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত৷ পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে শেখানো হয় এক্স-রে রঞ্জন রশ্মির আধুনিক ব্যবহার৷ শেখানো হয় ইলেকট্রনিক্স এবং অপটিক্সের মিশ্রণ ফটোনিক্সের সর্বাধুনিক ব্যবহার৷

ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং কম্পিউটার সায়েন্স অনুষদে ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স এবং কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং -এর ওপর মাস্টার্স করার সুযোগ আছে৷ এই বিষয়গুলোর সাথে পরিবহন, যোগাযোগ, অটোমেশন টেকনলজি ওতোপ্রোতভাবে জড়িত৷ সেদিক বিবেচনা করেই কোর্সের আয়োজন করা হয়৷ গবেষণা চালানো হচ্ছে তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তি, সফট্ওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং, মাইক্রো ইলেকট্রনিক্স এবং ফটোনিক্সের ওপর৷ অন্য আরেকটি বিষয়ে এই অনুষদটি সফলতা অর্জন করেছে আর তা হল কম্পিউটার চিপস্ তৈরি৷

মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদটি স্থল, জল এবং আকাশপথে নিরাপদ পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলার চেষ্টায় নিয়োজিত৷ উল্লেখ্য, ট্রান্স রাপিড হাই স্পিড ম্যাগনেটিক রেলওয়ে টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি বার্লিনের বৈজ্ঞানিক এবং গবেষকদেরই বিশাল এক অবদান৷

টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে বিদেশি ছাত্র-ছাত্রীর প্রসঙ্গে বিদেশি ছাত্র সংক্রান্ত দপ্তরের প্রধান ড. ফ্রিড মেঙ্গে রিং বললেন, ‘‘একেবারে সঠিকভাবে বলতে গেলে এই মুহূর্তে পাঁচ হাজার ৩২৯ জন বিদেশি ছাত্র-ছাত্রী আমাদের এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে৷ সব মিলে ৩০ হাজার ছাত্র-ছাত্রী পড়ছে৷ ২০.৩ শতাংশ হল বিদেশি ছাত্র-ছাত্রী৷''

যেসব ছাত্র-ছাত্রী প্রথমবারের মত জার্মানিতে তথা ইউরোপে এসেছে তাদের কীভাবে সাহায্য করা হয় ? বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কী কী করে থাকে ? ড. ফ্রিড মেঙ্গে রিং জানালেন, ‘‘আমরা বিভিন্নভাবে বিদেশি ছাত্র-ছাত্রীদের সাহায্য করে থাকি৷ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আগে থেকেই বিদেশি ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তির বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করা হয়৷ কোন্ কোন্ বিষয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে – এসব জানানো হয়৷ এরপর রয়েছে ভর্তির বিভিন্ন বিষয়, প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্র জমা দেয়া, নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে সব কাগজ পাঠানো৷ ভর্তির পর রয়েছে আরো নানা ধরণের কাজ৷ পড়াশোনার দিকে নজর রাখা, থাকা-খাওয়ার সুযোগ-সুবিধা – সব কিছুর ওপরই দৃষ্টি রাখা হয়৷''

‘‘আমাদের রয়েছে ভবিষ্যতের মেধাশক্তি৷'' এই স্লোগান নিয়ে বেশ দ্রুতগতিতেই এগিয়ে যাচ্ছে টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি বার্লিন৷

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদন: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক