1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ট্রাম্পকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ইউরোপের জয়গান

২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

ট্রাম্প প্রশাসনকে কার্যত উপেক্ষা করে ইউরোপের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতির পক্ষে সওয়াল করছেন মার্কিন সংসদ সদস্যরা৷ ব্রাসেলসে তাঁরা ইইউ ও ন্যাটোর সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী সুসম্পর্কের উপর জোর দিলেন৷

https://p.dw.com/p/3Dhkq
US-amerikanische Parlamentspräsidentin Nancy Pelosi
ছবি: picture alliance/AP Images/AP Photo/V. Mayo

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউরোপীয় ইউনিয়ন তথা ন্যাটোর বিরুদ্ধে ক্ষমতাকালের শুরু থেকেই তোপ দেগে চলেছেন৷ ফলে অ্যামেরিকার সঙ্গে এই দুই রাষ্ট্রজোটের সম্পর্ক ধীরে ধীরে শীতল হয়ে পড়ছে৷ এবার একের পর একমার্কিন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মৈত্রী ও বন্ধুত্বের বার্তা নিয়ে ইউরোপে আসছেন৷ গত সপ্তাহান্তে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আশার আলো দেখিয়ে বলেছিলেন, ট্রাম্প-পরবর্তী যুগে দুই পক্ষের মধ্যে সম্পর্ক আবার স্বাভাবিক হয়ে উঠবে৷

এবার মার্কিন সংসদের নিম্ন কক্ষের স্পিকার ও ডেমোক্র্যাটিক দলের নেতা ন্যান্সি পেলোসি-র মুখেও একই সুর শোনা গেল৷ মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে তিনিও ট্রান্স-অ্যাটলান্টিক কৌশলগত সম্পর্কের পক্ষে সওয়াল করেন৷ তারপর উভয় দলের সংসদ সদস্যদের এক প্রতিনিধিদল নিয়ে ব্রাসেলস সফরে এসে পেলোসি অ্যাটলান্টিকের দুই প্রান্তের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী সুসম্পর্কের প্রতি সমর্থন জানালেন৷ তাঁর মতে, ট্রাম্পের সমালোচনা সত্ত্বেও অ্যামেরিকা ইউরোপের সঙ্গে সুসম্পর্কে বিশ্বাস করে৷ সোমবার ও মঙ্গলবার উচ্চ পর্যায়ের এই প্রতিনিধিদল ইইউ ও ন্যাটো সদর দফতর পরিদর্শন করেন৷ মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে পেলোসি দুই পক্ষের মধ্যে সুসম্পর্কের বার্তা দেন৷ তিনি বলেন, বিশেষ করে বর্তমান সংকটপূ্র্ণ সময়ে এই সহযোগিতার গুরুত্ব আরও বেড়ে গেছে৷

উল্লেখ্য, গত নভেম্বর মাসে কংগ্রেসের নির্বাচনের পর বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক দল হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে৷ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি-র নেতৃত্বে পদে পদে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সংঘাত দেখা যাচ্ছে৷ মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর তৈরির মতো বিতর্কিত উদ্যোগকে কেন্দ্র করে ট্রাম্প প্রশাসন ও সংসদের মধ্যে ক্ষমতার লড়াইও প্রকট হয়ে উঠছে৷ বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক দলের উদ্যোগে সম্প্রতি মার্কিন সংসদে ন্যাটোর প্রতি সমর্থন জানিয়ে একটি আইনও অনুমোদন করা হয়েছে৷ রিপাবলিকান দলের বেশিরভাগ সদস্যের সমর্থন পাওয়ায় এই প্রস্তাবের পক্ষে ৩৫৭ ভোট, বিপক্ষে মাত্র ২২ ভোট পড়ে৷ ফলে ট্রাম্প প্রশাসনকে কোণঠাসা করে সংসদ গুরুত্বপূর্ণ পররাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্রেও প্রতীকী ক্ষমতা দেখাচ্ছে৷  ট্রাম্প-এর ‘অ্যামেরিকা ফার্স্ট' নীতিকে উপেক্ষা করে সংসদ সদস্যরা আবার সহযোগীদের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক চাইছেন৷

মার্কিন সংসদের পক্ষ থেকে এমন উদ্যোগ ও প্রতিনিধিদলের সফর সম্পর্কে ব্রাসেলসে অত্যন্ত ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে৷ ইইউ-র পররাষ্ট্র নীতির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফেডেরিকা মোগেরিনি ও ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট জঁ ক্লোদ ইয়ুংকার মার্কিন উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন৷ তাঁদের মতে, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে বহুপাক্ষিক ও আন্তর্জাতিক আইনভিত্তিক কাঠামো অত্যন্ত জরুরি৷

এসবি/জেডএইচ (এএফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান