1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ট্রাম্পের দ্বিতীয় অভিশংসন

১৪ জানুয়ারি ২০২১

বুধবার মার্কিন কংগ্রেসের ভোটাভুটিতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব পাস হয়ে গিয়েছে। মামলা এবার সেনেটে।

https://p.dw.com/p/3ntCn
ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব
ছবি: Alex Brandon/AP Photo/picture alliance

অ্যামেরিকার হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভে দ্বিতীয়বারের জন্য ইমপিচড হলেন ডনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার প্রেসিডেন্টের অভিশংসনের জন্য ভোটাভুটি হয়। সেখানে অভিশংসন প্রস্তাব পাস হয়ে যায়। এর আগেও মার্কিন কংগ্রেস ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্টের প্রস্তাব এনেছিল। কংগ্রেসে তা পাসও হয়ে গিয়েছিল। তবে সেনেটে বিচারের পরে তা বাতিল হয়ে যায়। এবারেও সেনেটে তা পাস হওয়ার সম্ভাবনা কম।

ক্যাপিটলের ঘটনার জন্য দুইটি প্রস্তাব দিয়েছিলেন মার্কিন কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাট সদস্যরা। এক, ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স সংবিধানের ২৫ নম্বর সংশোধনী অনুচ্ছেদ প্রয়োগ করে ট্রাম্পকে পদ থেকে বরখাস্ত করুন। দুই, দ্বিতীয়বার তাঁর বিরুদ্ধে অভিশংসনের প্রস্তাব আনা হোক। ভাইস প্রেসিডেন্ট আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি বিশেষ ক্ষমতা ব্যবহার করবেন না। ফলে বুধবার কংগ্রেস বা হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভে দ্বিতীয়বার ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব পেশ করা হয়। শুরু হয় ভোটাভুটি। সেখানে ২৩২-১৯৭ ভোটে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব পাস হয়ে যায়। কংগ্রেসে ২২২ জন ডেমোক্র্যাট আছেন। ফলে ১০ জন রিপাবলিকানও যে ট্রাম্পের অভিশংসন প্রস্তাবে ভোট দিয়েছেন, তা স্পষ্ট।

ডনাল্ড ট্রাম্পই অ্যামেরিকার ইতিহাসে প্রথম প্রেসিডেন্ট, কংগ্রেস যাঁকে দুইবার ইমপিচ করলো। তবে এর ফলেই ট্রাম্পকে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে হবে, এমন নয়। মামলা এবার যাবে সেনেটে। আর সেখানেই সমস্যা। ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকবেন। ওই দিনই জো বাইডেন শপথ নিয়ে নতুন প্রেসিডেন্টের আসনে বসবেন। ফলে হাতে আছে এক সপ্তাহ। সেনেট এরপর বসবে ১৯ জানুয়ারি। অর্থাৎ, শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের ঠিক আগের দিন। ওই দিন সেনেটে অভিসংশন প্রস্তাব উঠবে। তারপর শুরু হবে বিচার প্রক্রিয়া। এক দিনে তা কোনোভাবেই হওয়া সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে একটি সাংবিধানিক সংকট তৈরি হবে। জো বাইডেন ক্ষমতায় চলে আসার পরেও কি অভিশংসনের বিচার চলতে পারে? বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, এত সমস্যার কিছু নেই। কিন্তু অধিকাংশ বিশেষজ্ঞের বক্তব্য, যে প্রেসিডেন্ট আর ক্ষমতায় নেই, তাঁর ইমপিচমেন্টের বিচারও হতে পারে না। ফলে ২০ জানুয়ারির পরে আদৌ সেনেটে বিচার হয় কি না, তা দেখার। তা ছাড়া সেনেটে রিপাবলিকানদের সংখ্যা বেশি। এর আগেও তাঁরা ট্রাম্পের অভিশংসন আটকে দিয়েছিলেন। এবারও যদি বিচার হয়, তাহলেও ট্রাম্পকে ইমপিচ করা হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি)