1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ট্রাম্পের বক্তব্য ‘বিষাক্ত'

২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

নির্বাচনি প্রচারণার সময় দেয়া ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যগুলোকে ‘বিষাক্ত' বলে আখ্যায়িত করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল৷ ফলে বিশ্ব এখন আরও অন্ধকার ও অস্থিতিশীল এক স্থানে পরিণত হয়েছে বলে মনে করছে সংস্থাটি৷

https://p.dw.com/p/2Y430
দক্ষিণ সুদানের অবস্থা
ছবি: picture-alliance/dpa/J.Patinkin

বুধবার প্যারিসে ২০১৬ সালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে অ্যামনেস্টি৷ এই উপলক্ষ্যে দেয়া এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে, ‘‘প্রচারণা চালানোর সময় দেয়া ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিষাক্ত বক্তব্য বিশ্বব্যাপী ক্রোধ ও বিভাজনের রাজনীতির এক ট্রেন্ড চালু করেছে৷'' ফলে বিশ্ব এখন একটি ‘আরও অন্ধকার....অস্থিতিশীল স্থান'-এ পরিণত হয়েছে, যেখানে ইউরোপ ও অ্যামেরিকায় শরণার্থীদের লক্ষ্য করে দেয়া ‘হেট স্পিচ' এর সংখ্যা বেড়েছে বলে মনে করছে অ্যামনেস্টি৷

মানবাধিকারের বিষয় বিবেচনায় ২০১৬ সালকে ‘ভয়াবহ' উল্লেখ করে অ্যামনেস্টি বলছে, ঐ সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে যুদ্ধাপরাধের মতো ঘটনা ঘটেছে৷ বিভিন্ন সময় শরণার্থীদের বলির পাঁঠা বানানোর চেষ্টা হয়েছে এবং এসব ঠেকাতে বিশ্বশক্তিগুলো ব্যর্থ হয়েছে৷ অ্যামনেস্টির মহাসচিব সলিল শেঠী প্রতিবেদনে লিখেছেন, ‘‘বাস্তবতা হচ্ছে, উত্তেজিত মনোভাব আর অনিশ্চয়তা নিয়ে আমরা ২০১৭ সাল শুরু করেছি৷''

ট্রাম্প ছাড়াও অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে তুরস্কে ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর হাজার হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার, এনজিও বন্ধ করে দেয়া ও গণমাধ্যমের উপর নিপীড়ন চালানোর জন্য প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এর্দোয়ান, ফিলিপাইন্সে অবৈধ মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে বিতর্কিত অভিযানের জন্য প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে এবং রোমা সহ শরণার্থী ও অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযানের জন্য হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্ট ভিক্টর অর্বানের সমালোচনা করা হয়৷

এছাড়া অ্যামনেস্টি বার্ষিক প্রতিবেদনে কয়েকজন ব্যক্তিকে তাঁদের অনুপ্রেরণামূলক কাজের জন্য ‘সাধারণ নায়ক' হিসেবে তুলে ধরে সম্মান জানিয়েছে৷ যেমন সিরিয়ায় আনাস আল বাশা, যিনি ‘দ্য ক্লাউন অফ আলেপ্পো' নামে পরিচিত ছিলেন৷ যুদ্ধবিদ্ধস্ত আলেপ্পোর শিশুদের আনন্দ দিতে তিনি আলেপ্পোতেই থেকে গিয়েছিলেন৷ পরে বিমান হামলায় তিনি নিহত হন৷

মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের উপর সে দেশের সরকারের নির্যাতনের বিষয়টিও অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে৷

প্রসঙ্গ বাংলাদেশ

অ্যাক্টিভিস্ট, প্রতিবেদক আর ব্লগারদের নিরাপত্তা না দিয়ে কিংবা যাঁরা নিহত হয়েছেন তাঁদের হত্যার তদন্তের পরিবর্তে কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যম, এবং ফেসবুক পোস্টসহ অন্যান্য কারণে বিরোধীদের বিচার করছে বলে মনে করে অ্যামনেস্টি৷

জেডএইচ/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান