1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ট্রাম্পের মুখে ঐক্যের বাণী!

৫ জুলাই ২০১৯

৪ঠা জুলাই, অ্যামেরিকার স্বাধীনতা দিবসে প্রথা ভেঙে সামরিক শক্তি প্রদর্শনের ব্যবস্থা করে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷ তবে ভাষণে রাজনীতির বদলে জাতীয় ঐক্যের উপর জোর দিয়েছেন ট্রাম্প৷

https://p.dw.com/p/3Lc2k
স্বাধীনতা দিবসের ভাষণ দিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
ছবি: Reuters/J. Roberts

প্রায় দুই বছর আগে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ফরাসি জাতীয় দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে সামরিক কুচকাওয়াজ ও বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ অ্যামেরিকায়ও এমন প্রথা চালু করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন তিনি৷ সামরিক কর্মকর্তাদের সংশয় অগ্রাহ্য করে চলতি বছর সামরিক সাজসরঞ্জাম প্রদর্শনের ব্যবস্থা করেন তিনি৷ মাথার উপর দিয়ে এমনকি বি-টু স্টেল্থ বম্বারের মতো বোমারু বিমান উড়ে গেল, প্রকাশ্যে যেটি প্রায় কখনোই দেখা যায় না৷

ওয়াশিংটনের জাতীয় স্মৃতিশৌধকে স্বাধীনতা দিবসের ভাষণের জন্য বেছে নিয়েও প্রথা ভাঙলেন ট্রাম্প৷ উল্লেখ্য, সেখানে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট অ্যাব্রাহাম লিংকনের বিশাল মূর্তির সামনে ১৯৬৩ সালে নাগরিক আন্দোলনের নেতা মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র তাঁর বিখ্যাত ‘আই হ্যাভ এ ড্রিম' ভাষণ দিয়েছিলেন৷ বিগত প্রায় ৭ দশকে অন্য কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে সেখানে ভাষণ দেননি৷

গত আড়াইশো বছরে মার্কিন সেনাবাহিনী ও মার্কিন নায়কদের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন ট্রাম্প৷ দেশাত্মবোধের আবেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘‘কী অসাধারণ এই দেশ! অ্যামেরিকানদের কাছে অসম্ভব বলে কিছুই নেই৷'' মার্কিন ইতিহাসের উজ্জ্বল সাফল্যগুলি তুলে ধরে ট্রাম্প অদূর ভবিষ্যতে তাঁর কিছু পরিকল্পনা তুলে ধরেন৷ তিনি বলেন, চাঁদে আবার মানুষ পাঠানো হবে এবং মঙ্গলগ্রহের মাটিতেও মার্কিন পতাকা বসানো হবে৷ উল্লেখ্য, সম্ভবত চলতি দশকের শেষে অথবা তারও পরে মঙ্গলগ্রহে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা করছে নাসা৷

স্বাধীনতা দিবসের ভাষণ অবশ্য পুরোপুরি রাজনীতিবর্জিত ছিল না৷ মেক্সিকো সীমান্তে শরণার্থীদের প্রতি কড়া আচরণের কারণে সমালোচিত সীমান্তরক্ষী ও শুল্ক এজেন্সির আলাদা করে প্রশংসা করেন ট্রাম্প৷ এই মুহূর্তে অ্যামেরিকা সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি৷ তবে এর জন্য কৃতিত্বের দাবি করেন নি ট্রাম্প৷ তবে সমালোচকদের আশঙ্কা মিথ্যা প্রমাণ করে তিনি নিজের রাজনৈতিক ভাবমূর্তি ও নীতি সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেননি৷ বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রতিপক্ষদের আক্রমণ করা থেকেও বিরত ছিলেন ট্রাম্প৷

৪ঠা জুলাইয়ের ছুটির দিনে সাধারণত হাজার হাজার মানুষ ওয়াশিংটনের ‘ন্যাশানল মল'-এ এসে হালকা মেজাজে পিকনিক করেন ও আতসবাজি পোড়ানো দেখেন৷ বৃহস্পতিবার ঝড়বৃষ্টির কারণে অনেকে সেখানে না গেলেও ট্রাম্প অনুরাগী ও প্রতিবাদি বিক্ষোভকারীদের সংখ্যা কম ছিল না৷

মূল অনুষ্ঠানে মূলত রিপাব্লিকান দলের অনুগত ব্যক্তি ও প্রেসিডেন্টের পুনর্নির্বাচন অভিযানের আর্থিক পৃষ্ঠপোষকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল৷ সামরিক বাহিনীর কিছু সদস্যও উপস্থিত ছিলেন৷ গোটা অনুষ্ঠানের ব্যয়ভার বহন করতে ট্রাম্প প্রশাসন জাতীয় পার্ক রক্ষাণাবেক্ষণ তহবিল থেকে অর্থ সংগ্রহ করে সমালোচনার মুখে পড়েছে৷ এমনকি এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়াও শুরু হতে পারে৷

এসবি/এসিবি (এএফপি, এপি)