1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরানের সঙ্গে সংলাপ নিয়ে বিভ্রান্তি

১ আগস্ট ২০১৮

সরাসরি সংলাপের মাধ্যমে ইরানের সঙ্গে বর্তমান সংকট সমাধানের প্রস্তাব দিয়েছেন ট্রাম্প৷ দুই দেশের প্রেসিডেন্টের মধ্যে দ্রুত বৈঠকের ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি৷ ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পরোক্ষভাবে এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/32Pc0
ইরানের এক সংবাদপত্রের শিরোনামে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবি
ছবি: Getty Images/A.Kenare

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার বলেছিলেন, সংঘাত এড়াতে তিনি ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বিনা শর্তে সংলাপের জন্য প্রস্তুত৷ ইরান অবশ্য বর্তমান পরিস্থিতিতে এমন সম্ভাবনা সম্পর্কে সংশয় প্রকাশ করেছে৷ অথচ মঙ্গলবার ট্রাম্প আবার জোর দিয়ে বলেন, ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তাঁর বৈঠক দ্রুত অনুষ্ঠিত হবে বলে তাঁর মনে হচ্ছে৷ একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘হয়ত হবে না'৷ তিনি এ প্রসঙ্গে আবার ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তির কড়া সমালোচনা করেন৷ তাঁর প্রশাসন এই চুক্তি বাতিল করায় ইরানের যে বেশ সমস্যা হচ্ছে, তা উল্লেখ করে ট্রাম্প সরাসরি সংলাপের মাধ্যমে সংকট সমাধানের আশা প্রকাশ করেন৷

ট্রাম্প গোটা বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করায় নানা রকম প্রতিক্রিয়া শোনা যাচ্ছে৷ সংলাপের প্রস্তাব সম্পর্কে ইরানের শীর্ষ নেতৃত্ব এখনো নীরব রয়েছে৷ তবে সে দেশের অনেক শীর্ষ কর্মকর্তা ও নেতার মতে, এই মুহূর্তে ওয়াশিংটনের সঙ্গে এমন সংলাপ অসম্ভব৷ যেমন সংসদের ডেপুটি স্পিকার আলি মোতাহারি বলেন, ট্রাম্প যেভাবে ইরানের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়িয়েছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে অ্যামেরিকার সঙ্গে সংলাপ অপমানজনক হবে৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদোলরেজা রহমানি বলেন, অ্যামেরিকার উপর মোটেই আস্থা রাখা যায় না৷ যে ঔদ্ধত্য দেখিয়ে তারা একতরফাভাবে পরমাণু চুক্তি বাতিল করেছে, তার পর কীভাবে সে দেশের উপর ভরসা করা যায়, সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি৷ বিশেষ করে গত সপ্তাহে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রোহানির প্রতি টুইটারে বিষাদগারের ঠিক পরেই আচমকা সংলাপের প্রস্তাব সম্পর্কে ইরানে গভীর সংশয় দেখা যাচ্ছে৷

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মহম্মদ জাভাদ জারিফ এক টুইট বার্তায় ওয়াশিংটনের সঙ্গে সংলাপের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন৷ তাঁর বক্তব্য, হুমকি, নিষেধাজ্ঞা ও ‘পিআর স্টান্ট' মোটেই কাজ করবে না৷ তার বদলে ইরান ও আন্তর্জাতিক দায়বদ্ধতার প্রতি শ্রদ্ধা দেখানোর চেষ্টা করা উচিত৷ সেইসঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দেন, যে ইরান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দুই বছর ধরে আলোচনা চালিয়েছে৷ তাঁর মতে, অ্যামেরিকা ছাড়াও ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে যে পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল, ওয়াশিংটন একা সেই চুক্তি ত্যাগ করেছে৷ অতএব অন্য কাউকে এ জন্য দোষ দেওয়া যায় না৷

ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে বিনা শর্তে সংলাপের প্রস্তাব দিলেও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও সে দেশের উপর কড়া শর্ত চাপানোর কথা বলেছিলেন৷ মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, পম্পেও অবশ্যই মার্কিন প্রেসিডেন্টের বক্তব্যকে সমর্থন করেন৷ এক টেলিভিশন সংক্ষাৎকারে তিনিও বিষয়টি স্বীকার করেন৷

এসবি/ডিজি (রয়টার্স, এএফপি)