1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ট্রাম্প-কিম বৈঠক কি বিপর্যয়ের পূর্বাভাস?

১০ মার্চ ২০১৮

যুক্তরাষ্ট্রের এতদিনের পররাষ্ট্রনীতি কি ব্যর্থ ছিল? ট্রাম্প-কিমের আসন্ন বৈঠক অন্তত তাই প্রমাণ করে৷ ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বাস করেন, তিনি কিম জং উনকে পরমাণু কর্মসূচি থেকে বিরত থাকতে রাজি করাতে পারবেন, যা আগে কেউ পারেননি৷

https://p.dw.com/p/2u52h
ছবি: Reuters/KCNA//Reuters/L. Jackson

এই তো কিছুদিন আগের কথা৷ ডোনাল্ড ট্রাম্প কিম জং উনের নাম দিয়েছিলেন ‘রকেট ম্যান', আর এর জবাবে কিম ট্রাম্পকে বলেছিলেন ‘মানসিক বিকারগ্রস্ত'৷ দু'পক্ষই একে-অপরকে এমন হুমকি ধামকির মধ্যে রেখেছিল যে পুরো বিশ্বের মধ্যে একটা উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিল৷ কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প আগেও বলেছিলেন, কারো সাথে বোঝাপড়ার বিষয়টি তিনি ভালোই করতে পারেন৷ তিনি এও বিশ্বাস করেন যে কিম জং উনকে পরমাণু কর্মসূচি থেকে বিরত রাখার ব্যাপারে বোঝাতে সমর্থ হবেন তিনি৷


ওয়াশিংটন ডিসির এশিয়া সোসাইটির সিনিয়র ফেলো আইজ্যাক স্টোন ফিশ বলেছেন, ‘‘এই দুই ব্যক্তির ব্যক্তিত্বে বেশ মিল রয়েছে৷ এঁরা দু'জনেই দু'জনেই মাত্র ২৭ বছর বয়সে পারিবারিক ব্যবসার হাল ধরেছিলেন৷ দু'জনেই নিজেদের সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন৷ তাই এটার সম্ভবনা অনেকটাই বেশি যে এঁরা একে-অপরকে ভালো বুঝতে পারবেন৷ এঁরা হয়ত একে-অপরের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই কোনো ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন৷''

বৃহস্পতিবার হঠাৎ করেই ঘোষণা আসে যে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে বৈঠকে বসতে রাজি হয়েছেন৷ মে মাসের শেষ নাগাদ এই বৈঠক হতে পারে৷ হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষে দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা চুং ইউই-ইয়ং বৈঠকের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান৷ পরে এক টুইটে ট্রাম্পও বৈঠকের পরিকল্পনা হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন৷

সেখানে তিনি লেখেন, ‘‘কিম জং উন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার সময় পরমাণু কর্মসূচি স্থগিত নয়, বাতিলের কথা বলেছেন৷ এছাড়া গত কিছুদিনে উত্তর কোরিয়া কোনো ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাও চালায়নি৷ দারুণ উন্নতি হয়েছে, কিন্তু কোনো চুক্তিতে পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে৷ বৈঠকের পরিকল্পনা হচ্ছে৷''

বৈঠক যদি সত্যিই হয়, তবে সেটা হবে ক্ষমতায় থাকাকালীন কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও উত্তর কোরিয়ার নেতার মধ্যে প্রথমবারের মতো বৈঠক৷ তাই বৈঠকটি হবে কিনা এ নিয়ে এখনো সংশয রয়েছে৷ গত কয়েক দশক ধরে উত্তর কোরিয়ার নেতারা মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের চেষ্টা করেও সফল হননি৷



ক্লেয়ার রিচার্ডসন/এপিবি