1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ডাকসুর গণভবন সমাধান!

হারুন উর রশীদ স্বপন ঢাকা
১৬ মার্চ ২০১৯

অবশেষে ডাকসুর নির্বাচিতরা চেয়ারে বসছেন৷ বসছেন নির্বাচন বর্জনকারী ভিপি নুরও৷ আর এর সমাধান হয়েছে গণভবনে৷ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে৷

https://p.dw.com/p/3FBD6
Bangladesch Universität Dhaka, studentische AnführerInnen | DUCSU Building
ছবি: DW/M.M. Rahman

ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলে ১১ মার্চের ডাকসু নির্বাচন বর্জন করে একমাত্র ছাত্রলীগ ছাড়া আর সব ছাত্র সংগঠন ও স্বতন্ত্র প্যানেলের প্রার্থীরা৷ কিন্তু তারপরও গভীর রাতে নির্বাচনের ফলাফলে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা নুরুল হক নুর ভিপি পদে জয়ী হন৷ সমাজসেবা সম্পাদক পদেও জয়ী হন ওই প্যানেলের আখতার হোসেন৷ আর জিএস ও এজিএসসহ ২৩টি পদে জয়ী হন ছাত্রলীগের প্রার্থীরা৷ ডাকসুতে মোট ২৫টি পদ৷

‘দায়িত্ব নেয়ার জন্য প্রস্তুত আছি’: সাদ্দাম

আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হলের মধ্যে ৪টি ছাত্রী ও ২টি ছাত্র হলে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতারা জয় পান৷ কিন্তু এরপরও ভিপি নুরুল হক নুরুসহ বাম ও স্বতন্ত্র জোট নেতারা নতুন নির্বাচনের দাবি জানান৷ এক পর্যায়ে রোকেয়া হলসহ আরো কিছু হলের প্রার্থীরা আমরণ অনশন শুরু করেন নতুন নির্বাচনের দাবিতে৷ শনিবার রাতে রোকেয়া হলের প্রার্থীরা অনশন স্থগিত করেন৷

এই অবস্থার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী গণভবনে ডাকসুর নব নির্বাচিত কমিটির সদস্যদের আমন্ত্রণ জানান৷ শনিবার বিকেলে মাত্র একজন ছাড়া নুরসহ আর সবাই গণবভনে যান৷ হল সংসদের ২৩৪ জনের মধ্যে ২৩৩ জন এবং ডাকসুর কেন্দ্রীয় ২৫ জনসহ ২৫৮ জন গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন৷ সেখানে ডাকসুতে ভিপি পদে পরাজিত ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনও ছিলেন৷ প্রধানমন্ত্রী নুর ও শোভনকে তার দু'পাশে বসিয়ে সবার সঙ্গে কথা বলেন৷ সন্ধ্যা ৬টার পর বৈঠক শেষ হয়৷

‘প্রশাসন জানে’: নুর

ডাকসুর এজিএস ও ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমরা প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছি৷ আমাদের ডাকসুর প্রথম বৈঠকে আমরা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে ডাকসুর আজীবন সদস্য পদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি৷''

তিনি আরেক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘‘ডাকসুর সভাপতি মাননীয় উপাচার্য মহোদয় যেদিন বৈঠক ডাকবেন সেদিনই আমরা দায়িত্ব নেয়ার জন্য প্রস্তুত আছি৷ আমরা সবাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি৷ আমরা সবাই ডাকসুকে কার্যকর এবং বিশ্ববিদ্যালয়েকে একটি একাডেমিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করতে কাজ করবো৷''

এদিকে রাত সোয়া ৮টার দিকে নুর টেলিফোনে ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমরা কবে থেকে দায়িত্ব পালন শুরু করব সেটা তো প্রশাসন জানে৷ তারাই সিদ্ধান্ত নেবেন৷'' আপনি দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘আমার অবস্থানের কথাতো আমি বার বার পরিষ্কার করেছি৷''

‘সমাধান না হওয়ায় আমি যাইনি’: লামিয়া

তিনি ডাকসু নির্বাচনের অনিয়ম তদন্তের অনুরোধ জানিয়েছেন৷

এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে গণভবনে যাননি লামইয়া তানজিন তানহা৷ তিনি সুফিয়া কামাল হল সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন৷

তানহা ডয়চে ভেলে বলেন, ‘‘নির্বাচনে যখন কারচুপি হলো তখনই আমরা সবাই প্যানেল থেকে বর্জনের ঘোষণা দিয়েছি৷ তারপর ফলাফল ঘোষণার পর আবার যখন দেখলাম আমি জয়ী হয়েছি তখন আমি এ ফলাফল আর গ্রহণ করতে পারি না৷ কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী যদি তার ভোট দিতে না পারে সেটাও ঐ শিক্ষার্থীর সঙ্গে বিশাল অন্যায়৷ আর সেটার সমাধান না হওয়ায় আমি যাইনি৷''

তিনি বলেন, ‘‘নুরসহ যারা গেছেন সেটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার৷''

এদিকে, প্রধানমন্ত্রী তাঁর কথায় কোটা সংস্কার, নিরাপদ সড়কসহ বিভিন্ন প্রসঙ্গ তুলে ধরেন৷ তিনি সবাইকে ডাকসুকে একসঙ্গে কাজ করতে বলেন৷