1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ডাব্লিউএইচও থেকে সরার প্রক্রিয়া শুরু ট্রাম্পের

৮ জুলাই ২০২০

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে নিজেদের সরানোর প্রক্রিয়া শুরু করল অ্যামেরিকা। চিঠি দেওয়া হলো জাতিসংঘকে।

https://p.dw.com/p/3ewFx
ছবি: Getty Images/AFP/S. Loeb

প্রথম হুমকি দিয়েছিলেন গত মে মাসে। মাঝে একের পর এক বিস্ফোরক কথা বলেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিরুদ্ধে। ফান্ড বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলেছেন। এ বার সরকারি ভাবে অ্যামেরিকাকে ডাব্লিউএইচও থেকে সরিয়ে নেওয়ার চিঠি পাঠালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। জাতিসংঘের মহাসচিবের কাছে চিঠি দিয়ে অ্যামেরিকা জানিয়ে দিল, তারা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে আর সম্পর্ক রাখতে চায় না।

ট্রাম্পের চিঠির জবাবে একটি শব্দই কেবল ব্যবহার করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রস অ্যাডানম গ্যাব্রিয়েইসস-- টুগেদার। অ্যামেরিকা জাতিসংঘকে চিঠি দিয়েছে শুনেই নিজের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে এই টুইটটি করেন তিনি।

করোনা ভাইরাসের প্রকোপ অ্যামেরিকায় শুরু হওয়ার পরেই ডাব্লিউএইচও-র বিরুদ্ধে মুখ খোলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। অভিযোগ করেন, সংস্থাটি চীনের জন্য কাজ করছে। করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সংস্থাটি ব্যর্থ বলেও মন্তব্য করেন ট্রাম্প। তাঁর অভিযোগ, অ্যামেরিকাকেও ভুল পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। অন্য দিকে, ডাব্লিউএইচও-র বক্তব্য, বছরের গোড়া থেকেই অ্যামেরিকাকে সতর্ক করা হচ্ছিল। কিন্তু ট্রাম্প তাদের কথায় কান দেননি। তারই ফল ভুগতে হচ্ছে অ্যামেরিকাকে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ছয় শর্ত

ট্রাম্প অবশ্য ডাব্লিউএইচও-র কোনও সমালোচনাই শুনতে রাজি হননি। বরং তার বক্তব্য, সংস্থাটি চীনের পক্ষে কাজ করছে। চীনকে আড়াল করার চেষ্টা করছে। সে সময়েই একটি হিসেব দাখিল করেছিলেন ট্রাম্প। বলেছিলেন, প্রতি বছর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দেয় অ্যামেরিকা। সেখানে চীন দেয় ৩০ মিলিয়ন ডলার। তা সত্ত্বেও ডাব্লিউএইচও চীনের হয়ে কাজ করছে। সে কারণেই ট্রাম্প সরকার সংস্থাটির ফান্ড বন্ধ করে দেবে। এর কিছু দিনের মধ্যেই ট্রাম্প ঘোষণা করেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে নিজেদের সরিয়ে নেবে অ্যামেরিকা। বিষয়টি নিয়ে দেশের ভিতর যথেষ্ট বিতর্কও হয়েছিল। কিন্তু ট্রাম্প কারও কথা শুনতে রাজি হননি। এ বার সেই হুমকিকেই বাস্তবায়িত করার পথে প্রথম পদক্ষেপ নিল অ্যামেরিকা।

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া হলে এক বছরের জন্য সংস্থার বাইরে থাকবে অ্যামেরিকা। এক বছর পর ফের তাদের যুক্ত হতে হবে। ১৯৪৮ সালের কনভেনশনে তেমনই নিয়ম তৈরি হয়েছিল। যদিও ট্রাম্প বিরোধীদের বক্তব্য, নভেম্বরের নির্বাচনে ট্রাম্প পরাজিত হলেই দ্রুত অ্যামেরিকা ডাব্লিউএইচও-তে ফিরে যাবে। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে লড়ছেন ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী জো বাইডেন।  প্রকাশ্য সমাবেশ তিনি জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে তাঁর প্রথম কাজ হবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় যোগ দেওয়া। তাঁর বক্তব্য, দীর্ঘদিন ধরে গোটা পৃথিবীর স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করছে ডাব্লিউএইচও। ম্যালেরিয়া থেকে পোলিও-- বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছে সংস্থাটি। তাদের বিরুদ্ধে এমন শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া অন্যায়।

জাতিসংঘকে এ বিষয়ে চিঠি দেওয়ার ব্যাপারে অবশ্য ট্রাম্প এখনও কিছু বলেননি। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স)