1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘ডিজিটাল নেটিভ'

ইয়ুলিয়া হাইনরিশমান/এসি২২ মে ২০১৫

ওয়েব ডিজাইনার পাউলিনা সেরোচিনস্কা-র মুক্ত জীবনে স্বাধীনতাটাই বড় কথা, বাঁধা চাকরি ও বেতনের নিশ্চয়তা নিয়ে তাঁর চিন্তা নেই৷ তিনি নতুন প্রজন্মের ডিজিটাল নেটিভ৷

https://p.dw.com/p/1FU2j
Symbolbild Lebensqualität Internet
ছবি: imago/McPHOTO

দশটা-পাঁচটার বাঁধা চাকরিতে ওয়েব ডিজাইনার পাউলিনা সেরোচিনস্কা-র কোনো আগ্রহ নেই৷ তিনি বলেন, ‘‘কর্মক্ষেত্রেই আমাদের এতোটা সময় চলে যায় যে, নিজের জীবন সম্পর্কে নিজে সিদ্ধান্ত নেওয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয় আমার৷ স্বাধীনতা আমার কাছে একটা আশ্চর্য অনুভূতি৷''

পাউলিনা যখন চান এবং যেখানে চান, কাজ করেন – আজ যেমন হামবুর্গে৷ তাঁর পারিশ্রমিক: দিনে সাড়ে তিনশো ইউরো কিংবা তার বেশি৷ তার যে কোনোদিন ক্লায়েন্ট জুটবে না, এমনটা ভাবতেই পারেন না পাউলিনা৷ ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা নেই তাঁর৷

২৮ বছর বয়সি পাউলিনা ওয়েবসাইট ডিজাইন করে থাকেন, বড় কোম্পানি থেকে শুরু করে হয়তো কোনো ছোট আর্কিটেক্টের অফিসের জন্য৷ ‘ডিজিটাল নেটিভ'-দের প্রজন্মের মধ্যে ফেলা চলে তাঁকে৷ তিনি বলেন, ‘‘আমার চেয়ে চার বছরের বড় ভাই যখন একটা কম্পিউটার পায়, তখন আমি সেটা নিয়ে খেলতে চাইতাম, কিন্তু আমাকে খেলতে দেওয়া হতো না, কাজেই আমার খুব দুঃখ ছিল৷ পরে আমার যখন নিজের কম্পিউটার হল, তখন গোড়ায় বাকিরা যা করে, তাই করতাম, চ্যাট করতাম৷ তারপর জানি না কবে প্রথম একটা ওয়েবসাইট ডিজাইন করলাম৷''

Symbolbild - Baby mit IPad
‘সেই বিশেষ জায়গাটা যে কোনো জায়গায় হতে পারে: জার্মানিতে, অ্যামেরিকায় কিংবা এশিয়া মহাদেশে’ছবি: colourbox

ফ্রিল্যান্সার

সহকর্মী, এমনকি কাজও আজকাল পাউলিনা নিজের মর্জি অনুযায়ী বেছে নেন৷ অন্যান্য ওয়েব ডিজাইনারদের সঙ্গে অফিসেই দেখা হয়৷ ফ্রিল্যান্সার হিসেবে স্বাস্থ্যবিমা থেকে শুরু করে পেনশন ফান্ড, সব নিজেকেই দিতে হয় তাঁর৷ তাছাড়া বাঁধা চাকরির নিশ্চয়তাও নেই৷ তা সত্ত্বেও অন্য কোনোভাবে বাঁচার কথা ভাবতেই পারেন না পাউলিনা৷ তিনি বলেন, ‘‘বাঁধাধরা ন'টা-পাঁচটার চাকরি আমার কাছে ইন্টারেস্টিং নয়৷ তার কারণ সম্ভবত এই যে, আমি অফিসের ওপরওয়ালা থেকে শুরু করে নীচের ক্লার্ক পর্যন্ত ঐ সিঁড়িভাঙা অঙ্কের সঙ্গে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে পারি না৷ পর্যায়ক্রমটা আরেকটু বেশি সমান্তরাল হলেই আমার ভালো লাগে, টিম হিসেবে সকলে মিলে যখন কাজ করি৷ এজেন্সিগুলোর সঙ্গেও আমার একই সমস্যা হয়৷ সেটা হল, এমন একটা কিছুর জন্য কাজ করা, যা আমার নিজের নয়৷ এমন সব সিদ্ধান্ত কার্যকর করা, যেগুলো আমার নিজের সিদ্ধান্ত নয়৷''

ফ্রিল্যান্সারদের অনলাইন প্ল্যাটফর্মে কোম্পানিরাও নাম লিখিয়ে নতুন কর্মী খুঁজতে পারে৷ এ ক্ষেত্রে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সংস্থা হল ইল্যান্স-ও-ডেস্ক, একটি মার্কিন কোম্পানি৷ জার্মানি হল তাদের সবচেয়ে বর্ধিষ্ণু বাজার৷ কেননা বহু কোম্পানি বিশেষভাবে জার্মান কর্মী নিয়োগ করতে চায়৷ কোম্পানির জার্মান শাখার সিইও নিকোলাস ডিটবারনার বলেন, ‘‘বিশেষ করে জার্মান ওয়েব ডেভেলপার আর ডিজাইনারদের সারা পৃথিবীতে নাম আছে করিতকর্মা বলে, তাদের কাজের মানের জন্য৷ অর্থাৎ বিশ্বের অন্যান্য দেশের প্রোগ্রামারদের তুলনায় তাদের একটা গুণগত সুবিধা আছে: সেটা হল তাদের সুনাম৷ বহু আন্তর্জাতিক গ্রাহক জেনেশুনেই জার্মান ভাষাভাষী কিংবা জার্মান ফ্রিল্যান্সার খোঁজেন৷''

যেমন পাউলিনা সেরোচিনস্কা৷ আপাতত তিনি হামবুর্গে থেকে ফ্রাংকফুর্টের এক রোবট নির্মাণকারী কোম্পানির জন্য কাজ করছেন৷ স্বভাবতই ফ্রিল্যান্সার হিসেবে৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি আসলে আর কখনো বাঁধা চাকরি করতে চাই না৷ আশা করব, আমি সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে পারব, কেননা বাঁধা চাকরির আমার কাছে কোনো মূল্যই নেই৷ আমার কাছে ওটা কোনো লক্ষ্যই নয়৷''

দুনিয়াদারি

পাউলিনার লক্ষ্য হল, সারা দুনিয়া চষে বেড়ানো, বড় বড় কোম্পানির জন্য কাজ করা৷ এ যাবৎ তিনি প্রধানত জার্মান কোম্পানিদের সঙ্গে কাজ করেছেন৷ থাকা-খাওয়া, কাজ করাটা বড় কথা নয় - দুনিয়া ঘোরাটাই হল তাঁর ইচ্ছে৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা আসলে সেখানেই সবচেয়ে ভালো লাগে, যেখানে আমার কাজ আছে, যেখানে আমি খুশি, যেখানে আমার বন্ধুরা আছে – এ সব তো আর কোনো একটা বিশেষ জায়গার সঙ্গে যুক্ত নয়৷''

কাজেই সেই বিশেষ জায়গাটা যে কোনো জায়গায় হতে পারে: জার্মানিতে, অ্যামেরিকায় কিংবা এশিয়া মহাদেশে৷ সঙ্গে নিজের ল্যাপটপ-টা থাকলেই হল৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান