উত্তরে মো. সিহাবের মন্তব্য: ‘‘আমরা চাই ছাত্রলীগের অতীত ফিরে আসুক৷ #জয়-বাংলার-লোক৷''
আরেক বন্ধু মো. সামসুদদোহা তাপস লিখেছে, ‘‘উপকারির অপকার করে যে= ছাত্রলীগ৷''
‘‘রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে রাজনৈতিক নিয়োগ নিয়ে বিব্রত সরকার'' – ফেসবুকে এই প্রতিবেদনটিকে কেন্দ্র করে প্রশ্ন ছিল: কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ থেকে অসাধু, অদক্ষ এবং সুবিধাবাদী পরিচালকদের অপসারণের জন্য সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছেন৷ আপনার কি মনে হয়, সরকার কি এই অনুরোধ রাখবেন?
-
পুলিশি নির্যাতনের শিকার গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা
পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের দাবি
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় গত ১২ ডিসেম্বর কার্যকর হয়৷ এই মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর পাকিস্তানে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়৷ এমনকি সেদেশের জাতীয় পরিষদে নিন্দা প্রস্তাবও পাস হয়৷ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে পাকিস্তানের এসব কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে সরব হয় গণজাগরণ মঞ্চ৷
-
পুলিশি নির্যাতনের শিকার গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা
‘নাক গলানোর’ প্রতিবাদ
কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ডের বিষয়ে পাকিস্তানের ‘নাক গলানোর’ প্রতিবাদে ১৮ ডিসেম্বর ঢাকায় সেদেশের দূতাবাসের সামনে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করেন গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা৷ কিন্তু তাদের সেই চেষ্টা পুলিশের বাধার কারণে সফল হয়নি৷ তাই গুলশানে পাকিস্তান দূতাবাসের কাছাকাছি জায়গায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন তাঁরা৷
-
পুলিশি নির্যাতনের শিকার গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা
সম্পর্ক ছিন্নের আল্টিমেটাম
গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা বুধবারের বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক আপাতত স্থগিত রাখতে সরকারকে ২০ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয়৷ এই সময়ের মধ্যে সম্পর্ক ছিন্ন না করলে পাকিস্তান দূতাবাস ঘেরাও করার ঘোষণাও দেয় তারা৷
-
পুলিশি নির্যাতনের শিকার গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা
পাকিস্তান দূতাবাস ঘেরাও চেষ্টা
আল্টিমেটাম অনুযায়ী, ২০ ঘণ্টা সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর আবারো সক্রিয় হন গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা৷ কিন্তু পাকিস্তান দূতাবাস অভিমুখে তাদের মিছিলে লাঠিপেটা করে পুলিশ৷ ফলে দূতাবাস অবধি পৌঁছানো আর সম্ভব হয়নি তাঁদের পক্ষে৷
-
পুলিশি নির্যাতনের শিকার গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা
শতাধিক আহত
বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানিয়েছে, ‘‘মিছিলে পুলিশের লাঠিপেটায় আহত হয়েছেন বীরপ্রতীক খেতাবধারী মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারসহ শতাধিক জন৷’’
-
পুলিশি নির্যাতনের শিকার গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা
হাসপাতালে ইমরান এইচ সরকার
পুলিশের লাঠিপেটায় আহতদের মধ্যে রয়েছেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার৷ পুলিশ তাঁকে মিছিল থেকে একাধিকবার আটকের চেষ্টা করে বলে দাবি করেছেন মঞ্চের কর্মীরা৷ কিন্তু কর্মীদের বাধার মুখে ইমরানকে আটক করতে পারেনি পুলিশ৷ গণজাগরণ মঞ্চের মারুফ রসুল এই বিষয়ে বলেন, ‘‘ইমরানকে পুলিশ দু’দফায় লাঠিপেটা করলে তিনি মাথা, বুক ও পিঠে আঘাত পান৷ তাঁকে প্রথমে ল্যাবএইড এবং পরে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেয়া হয়৷’’
-
পুলিশি নির্যাতনের শিকার গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা
বাদ যায়নি নারী কর্মীরাও
পুলিশের লাঠিপেটার শিকার হয়েছেন গণজাগরণ মঞ্চের নারী কর্মীরাও৷ এক নারী কর্মীকে পুরুষ পুলিশের পেটানোর এবং টানাহ্যাঁচড়ার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে৷ পুলিশ অবশ্য দাবি করেছে, তারা গণজাগরণ মঞ্চের নেতা-কর্মীদের লাঠিপেটা বা নির্যাতন করেনি৷ ঐ এলাকা কূটনৈতিক পল্লি হওয়ায় স্পর্শকাতর এলাকা থেকে গণজাগরণ মঞ্চের নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে৷
-
পুলিশি নির্যাতনের শিকার গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা
‘পুলিশের লাঠিপেটা গ্রহণযোগ্য নয়’
গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের উপর পুলিশের লাঠিপেটা প্রসঙ্গে অধ্যাপক মুনতাসির মামুন বলেছেন, ‘‘গণজাগরণ মঞ্চ যে অবস্থান থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থগিতের দাবি জানিয়েছে তা ঠিকই আছে৷ কিন্তু সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হয় সবদিক বিবেচনা করে৷ তবে গণজাগরণ মঞ্চের শান্তিপূর্ণ অবস্থানে পুলিশের লাঠিপেটা গ্রহণযোগ্য নয়৷’’
-
পুলিশি নির্যাতনের শিকার গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা
‘সাত দিনের মধ্যে বিচারের দাবি’
এদিকে, কর্মীদের ওপর হামলাকারী পুলিশের ৭ দিনের মধ্যে বিচার না হলে আগামী শুক্রবার কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে বলে জানিয়েছে গণজাগরণ মঞ্চ৷ শুক্রবার শাহবাগে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে একথা জানান তাঁরা৷ এসময় বাংলাদেশিদের প্রতি পাকিস্তানের পণ্য বর্জনের আহ্বানও জানায় গণজাগরণ মঞ্চ৷
-
পুলিশি নির্যাতনের শিকার গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা
গণজাগরণ মঞ্চ
উল্লেখ্য, একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে কাদের মোল্লাসহ অন্যান্য অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে শাহবাগে সমবেত হন অসংখ্য মানুষ৷ শাহবাগের এই সমাবেশ থেকেই সৃষ্টি হয় গণজাগরণ মঞ্চ, যাদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে আপিলের চূড়ান্ত রায়ে মৃত্যুদণ্ড হয় জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার৷
লেখক: আরাফাতুল ইসলাম
প্রশ্নটির উত্তর দিয়েছেন অনেকেই৷ তাঁদের মধ্যে সুমন চোকদার লিখেছেন, ‘‘রাখবে, কারণ নিজেদের লোককে চাকরি দেওয়ার, এটা একটা ভালো সুযোগ৷''
অন্যদিকে, মোশিউল নাহিদের মন্তব্য: ‘‘নো, নেভার''৷
মো. আলামিন জানিয়েছেন, ‘‘আমার মনে হয় না৷'' তাঁর কথায়, ‘‘সরকার তো এ কথা রাখার ক্ষমতা রাখে না: কারণ সে নিজেই অবৈধ৷''
মো. মামুন লিখেছেন, ‘‘সরকার এটা রাখবে না৷ কারণ সরকার চায় আমাদের এই সোনার দেশটা ‘করাপশনে' ভরে যাক৷''
- বন্ধুরা, আমাদের ফেসবুক পাতায় এ মন্তব্যগুলোর জন্য ধন্যবাদ৷ তবে অনেকেই কিন্তু নিজস্ব মতামত না জানিয়ে বা বিষয়ভিত্তিক কিছু না লিখে নানা ধরণের বিজ্ঞাপন ‘পোস্ট' করছেন৷ তাঁদের কাছে আমাদের অনুরোধ, মন্তব্যের ঘরে শুধু আপনাদের সুচিন্তিত মতামতই দিন৷
ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগ