1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
স্বাস্থ্য

ডিসেম্বরের শুরুতেই লকডাউন উঠছে যুক্তরাজ্যে

২৪ নভেম্বর ২০২০

ডিসেম্বরে লকডাউনের পথে না গিয়ে দেশেটিকে বিভিন্ন স্তরে ভাগ করে করোনা নিয়ন্ত্রণে আনার পরিকল্পনা করছে যুক্তরাজ্য৷ সোমবার প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানিয়েছেন, ২ ডিসেম্বর থেকে যুক্তরাজ্যে আর লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হবে না৷

https://p.dw.com/p/3lk9g
করোনা প্রতিরোধে নানা উদ্যোগ নিয়েছে ব্রিটেন
ছবি: Reuters/T. Melville

এর পরিবর্তে, করোনা নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাজ্যকে অঞ্চলভেদে বিভিন্ন স্তরে ভাগ করা হবে, যেমনটা করা হয়েছিল এর আগেও৷ এই অঞ্চলভিত্তিক ‘টিয়ার্ড সিস্টেম' কিছু নির্দিষ্ট অংশগুলিতে, যেখানে বেশি সংক্রমণ রয়েছে, সেখানে কড়াকড়ি বাড়াবে৷ একেবারে উপরের স্তরে, সমস্ত পানশালা, রেস্টুরেন্ট বন্ধ রাখা হবে ও সর্বোচ্চ দুটি বাসার মানুষদেরই একে অপরের সাথে মিশতে দেওয়া হবে৷ কিন্তু অন্যান্য টিয়ারগুলোতে ঠিক কী কী কড়াকড়ি থাকবে, তা এখনও বিস্তারিত জানা যায়নি৷ জনসন জানিয়েছেন যে দেশের বেশিরভাগ অংশই সবচেয়ে বেশি কড়াকড়ির দুটি স্তরের মধ্যেই থাকবে৷ এই নিয়মের আওতায় থাকবে ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলস ও উত্তর আয়ারল্যান্ড৷ 

টিকার আগমনে বদলাচ্ছে পরিস্থিতি?

বিশ্বে করোনা সংক্রমণের ঢেউ ব্যাপকভাবে আছড়ে পড়েছে যুক্তরাজ্যের ওপর৷ সংক্রমণে প্রাণ হারিয়েছেন ৫৫ হাজার, আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ লাখেরও বেশি মানুষ৷ এর মধ্যে সামনের মাসের নতুন নিয়ম আস্তে আস্তে বিধিনিষেধ শিথিল করবে৷ নতুন নিয়মের আওতায় মানুষ এখন জিমে, দোকানে, সাজগোজের দোকান ইত্যাদিতে আবার যেতে পারবেন৷

শুধু তাই নয়, মানুষ এখন কোনো নির্দিষ্ট প্রয়োজন ছাড়াই বাসা থেকে বেরোতে পারবেন৷ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানেও যোগ দিতে পারবেন যুক্তরাজ্যের মানুষ৷

এই সংকট থেকে উত্তরণ বিষয়ে আশাবাদী প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, ‘‘চিকিৎসা পরিষেবা ও টিকা গবেষণায় দ্রুতহারে উন্নতি আমাদের ভরসা দিচ্ছে যে এই সংকটের মোকাবিলা করার জন্য প্রয়োজনীয় বৈজ্ঞানিক সৈন্য প্রস্তুত৷ আমরা জানি যে আগামী বছর এই সংকট কাটিয়ে উঠবই৷ এবছর আমরা যা যা কড়াকড়ির মধ্য দিয়ে গিয়েছি, তা আমাদের আগামী বসন্তে আর করতে হবে না৷ সংকটের কঠিন মোড় পেরিয়ে এসেছি আর সামনে উত্তরণের পথ খুবই স্পষ্ট৷''

টিকা গবেষণা এগোলেও মানুষের ওপর তা চাপিয়ে দিতে চান না জনসন৷ তিনি বলেন, ‘‘টিকা খুবই ভালো জিনিস, টিকা এলে সবারই তা নেওয়া উচিত৷ কিন্তু কাউকে জোর করে টিকা আমরা দেব না৷ আমাদের দেশে তা হয় না৷''

এসএস/কেএম (রয়টার্স, এপি)