1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্রিটেনে আগাম নির্বাচনের সম্ভাবনা

২৫ অক্টোবর ২০১৯

ব্রেক্সিট চুক্তি অনুমোদনের শর্তে ডিসেম্বরে আগাম নির্বাচনের প্রস্তাব দিয়েছেন বরিস জনসন৷ ব্রেক্সিটের মেয়াদ বাড়াতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করে বিরোধী লেবার দল সিদ্ধান্ত নেবে৷

https://p.dw.com/p/3Ru9h
Großbritannien Premierminister Boris Johnson
ছবি: Großbritannien Premierminister Boris Johnson

৩১শে অক্টোবর ব্রেক্সিট কার্যকর করার আশা ত্যাগ করে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বিরোধী লেবার পার্টির সঙ্গে রফার চেষ্টা করছেন৷ লেবার নেতা জেরেমি কর্বিন-কে লেখা এক চিঠিতে সংসদে বর্তমান অচলাবস্থা দূর করতে তিনি আগামী ১২ই ডিসেম্বর আগাম নির্বাচনের প্রস্তাব দিয়েছেন৷ তাঁর মতে, ২০২০ সাল পর্যন্ত এমন অচলাবস্থা চলতে দিলে ব্যবসা-বাণিজ্য, কর্মসংস্থান ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলির প্রতি মৌলিক সমর্থন ক্ষতিগ্রস্ত হবে৷ লেবার এই প্রস্তাব মেনে নিলে তিনি এর বদলে ব্রেক্সিট চুক্তি অনুমোদনের জন্য সংসদকে আরও সময় দিতে প্রস্তুত৷

তবে সবটাই ব্রেক্সিটের সময়সীমা বাড়ানোর উপর নির্ভর করছে৷ ব্রিটেনের আনুষ্ঠানিক আবেদনের ভিত্তিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানায় নি৷ মাত্র কয়েক সপ্তাহের জন্য ব্রেক্সিট পিছিয়ে দিলে ব্রিটিশ সংসদের উপর ব্রেক্সিট চুক্তি অনুমোদনের জন্য চাপ বেড়ে যাবে৷ আবেদন অনুযায়ী ব্রেক্সিটের তারিখ তিন মাস পিছিয়ে দিলে ব্রিটেনে নির্বাচন বা গণভোটের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে উঠতে পারে৷

কর্বিন-ও নীতিগতভাবে আগাম নির্বাচনের পক্ষে হলেও চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের আশঙ্কা পুরোপুরি দূর হওয়া পর্যন্ত তিনি এই প্রস্তাবে সমর্থন জানাতে চান না৷ তিনিও ইইউ-র সিদ্ধান্ত জানা পর্যন্ত অপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ শুক্রবার অথবা সপ্তাহান্তে ইইউ ব্রেক্সিটের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ তারপর সোমবার ব্রিটিশ সংসদে আগাম নির্বাচনের প্রশ্নে ভোটাভুটি হতে পারে৷ তবে বাকি রাজনৈতিক দলগুলি এখনো পর্যন্ত আগাম নির্বাচনের বিরোধিতা করে চলায় এই প্রস্তাবের জন্য প্রয়োজনীয় দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন পাওয়া যাবে কিনা, সে বিষয়ে সংশয় রয়েছে৷ জনসন আগামী ৬ই নভেম্বরের মধ্যে সংসদে ব্রেক্সিট চুক্তি অনুমোদনের আশা করছেন৷

শুক্রবার ২৭টি ইইউ সদস্য দেশের রাষ্ট্রদূত ব্রাসেলসে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়ায় পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করবেন৷ তিনটি সম্ভাব্য সিদ্ধান্তের কথা শোনা যাচ্ছে৷ ব্রেক্সিট কার্যকর করতে তিন মাস অথবা কয়েক সপ্তাহের বিলম্ব মেনে নেওয়া হতে পারে৷ তাছাড়া তিন মাসের সময়সীমা স্থির করে ব্রিটিশ সংসদে ব্রেক্সিট চুক্তি অনুমোদন হলেই ব্রেক্সিট কার্যকর করার বিকল্পের কথাও শোনা যাচ্ছে৷ ইইউ ব্রিটেনের ঘটনাপ্রবাহের দিকে লক্ষ্য রেখে সিদ্ধান্ত নিতে পারে৷ তবে শুক্রবার ব্রিটেনে নির্বাচন অথবা চুক্তি অনুমোদনের প্রশ্নে অগ্রগতির সম্ভাবনা বিরল৷ ইইউ স্তরে কূটনীতিকরা ঐকমত্যে পৌঁছতে পারলে ২৭টি দেশের শীর্ষ নেতাদেরও একযোগে সেই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করতে হবে৷

এসবি/কেএম (রয়টার্স, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য