1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ড্রেসডেনে নব্য নাৎসিদের মিছিল বানচাল, সংঘর্ষ

১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১০

জার্মানির ড্রেসডেন শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল শনিবার৷ নব্য নাৎসিদের ঘোষিত একটি মিছিলকে বানচাল করে দিতে পথে নামে বামপন্থী এবং মুক্তমনা কিছু সংগঠন৷ ড্রেসডেন শহরকে নাৎসি মুক্ত করার জন্য আয়োজন করা হয় মানবশৃঙ্খলের৷

https://p.dw.com/p/M0lM
পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বিক্ষোভকারীদেরছবি: AP

চরম দক্ষিণপন্থী নব্য নাৎসিদের বিরোধিতার এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করল জার্মান শহর ড্রেসডেন শনিবার৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের চূড়ান্ত দিনগুলির স্মরণে তথা মিত্রশক্তির বোমাবর্ষণের ৬৫ তম বর্ষ পালন করার জন্য নব্য নাৎসিদের সংগঠন তাদের বার্ষিক অনুষ্ঠানের ডাক দিয়েছিল ড্রেসডেনে৷ কিন্তু বামপন্থী জোট এবং মুক্তমনা শিল্পী,সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদ এবং কর্মী সংগঠনগুলির যৌথ সংগঠন ‘ড্রেসডেন উইদাউট নাৎসিজ'- এর তীব্র বিরোধিতায় নব্য নাৎসিদের ওই অনুষ্ঠান কার্যত বানচাল হয়ে যায় এদিন৷

সকাল থেকেই পরিস্থিতি ছিল টানটান৷ নব্য নাৎসিদের সঙ্গে ‘ড্রেসডেন উইদাউট নাৎসিজ' সংগঠনের সংঘর্ষের আশঙ্কায় প্রচুর পুলিশ মোতায়েন ছিল শহরের বিশেষ কিছু জায়গায়৷ পুলিশের সঙ্গে প্রতিবাদকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষেরও খবর পাওয়া গেছে৷ কোন কোন জায়গায় রাস্তার ডাস্টবিনগুলিতে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেছে৷ আক্রান্ত হয়েছেন পুলিশ কর্মীরা এবং বেশ কিছু প্রতিবাদকারীও৷ পুলিশ সূত্রের খবর, হামলাকারী বেশ কিছু ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷

Dresden Gedenktag Demonstration gegen Rechtsextremismus
নব্য নাত্সিদের মিছিল বানচাল করতে রাস্তায় ব্যারিকেডছবি: AP

নব্য নাৎসিদের বাড়াবাড়ি ঠেকাতে এবং শহরের নয়েস্টাড অঞ্চলে ডাকা তাদের মিছিলকে বানচাল করতে ড্রেসডেন শহরের বাসিন্দাদের কাছে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের আর্জি জানিয়েছিল ‘ড্রেসডেন উইদাউট নাৎসিজ' সংগঠনটি৷ সেই আহ্বানে সাড়া দিয়েই মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে পথে নেমেছিলেন বলে দাবি করেছেন সংগঠনের নেত্রী লেনা রথ৷ তিনি বলেন, ইউরোপে নব্য নাৎসিদের বৃহত্তম মিছিল বানচাল করতে আমরা সফল হয়েছি এই প্রথমবার৷ প্রসঙ্গত, কালো পোষাক পরা প্রায় পাঁচ হাজার নব্য নাৎসি জার্মানির বিভিন্ন এলাকা থেকে এদিন সমবেত হয় ড্রেসডেনে তাদের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে৷ কিন্তু, ব্যাপক বিরোধিতায় তাদের মূল অনুষ্ঠান বাস্তবায়িত হতে পারেনি৷ এক পর্যায়ে নব্য নাৎসিদের একটি বাসের ওপর হামলা চালায় প্রতিবাদকারীরা৷ সময়মত পুলিশ এসে বাসটিকে নিরাপদে যেতে দিলে কোনরকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি৷

শুধু ‘ড্রেসডেন উইদাউট নাৎসিজ' সংগঠনই নয়, ড্রেসডেন শহরের মেয়র হেলমা ওরোসজ-এর ডাকে শহরের এলবে নদীর ওপারে দশ হাজার ড্রেসডেনবাসী হাতে হাত ধরে একটি প্রতীকি মানবশৃঙ্খল গড়ে তোলেন এদিন৷ এই শৃঙ্খলও ছিল নব্য নাৎসিদের মিছিলের প্রতিবাদেই আয়োজিত৷ সিডিইউ নেত্রী মেয়র হেলমা ওরোসজ বলেন, ড্রেসডেন শহরকে আমরা একটি শান্তিপূর্ণ আন্তর্জাতিক শহর হিসেবে দেখতে চাই৷ এখানে কোনরকমের অস্বস্তিকর কিংবা চরম দক্ষিণপন্থী আচরণ বরদাস্ত করব না আমরা৷

সিটি হল-এর এক মুখপাত্র জানান, ড্রেসডেন যে একটি বিশ্বমানের শহর এবং এই শহরে যে সন্ত্রাস আর ইহুদি বিদ্বেষের কোনরকম স্থান নেই তা প্রমাণ করতেই এই প্রতীকি আয়োজনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল৷ এই আয়োজনের ফলে নব্য নাৎসিরা তাদের মিছিলের জায়গায় পৌঁছতে বাধা পায়৷

প্রতিবেদন- সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা - রিয়াজুল ইসলাম