1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আজ ডয়চে ভেলের সঙ্গে ম্যার্কেল

৪ জুন ২০১৮

বিশ্বব্যাপী ‘পপুলিজম' বা ‘লোকরঞ্জনবাদ'-এর প্রসারের কারণে জার্মানির আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ডয়চে ভেলেকে নানামুখী সমস্যায় পড়তে হচ্ছে৷ ঠিক এ প্রেক্ষাপটেই ৬৫ বছর পূর্তিতে বক্তব্য রাখবেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷  

https://p.dw.com/p/2yuye
ছবি: Reuters/R. Marchante

‘লোকরঞ্জনবাদ' বা ‘পপুলিজম' এলিট, অর্থাৎ অভিজাত শ্রেণির বিরোধিতা করলেও, বহু সংস্কৃতির মধ্য থেকে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের কথা বলার চেষ্টা করে৷ ফলে নানা সাংস্কৃতিক বলয় থেকে আসা মানুষের জীবনে এটি সংকট তৈরি করতে পারে৷

আজ ডয়চে ভেলের ৬৫ বছর পূর্তির এ অনুষ্ঠানে চ্যান্সেলর ম্যার্কেলের পাশাপাশি জার্মান সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী মনিকা গ্রুটার্সও উপস্থিত থাকবেন৷

বক্তৃতা ছাড়াও জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলে ডয়চে ভেলের নতুন প্রকল্পগুলো ঘুরে দেখার কথা রয়েছে৷ এর মধ্যে রয়েছে রাশিয়ার অ্যানিমেটেড ভিডিও গাইড প্রকল্প যা ভুয়া খবর শনাক্ত করতে সাহায্য করে৷ 

ডয়চে ভেলের ৬৫ বছর পূর্তি

৬৫ বছর ধরে বিশ্বের মানুষকে সংবাদ এবং তথ্য সরবরাহ করছে ডয়চে ভেলে৷ ১৯৫৩ সালের ৩ মে জার্মানির আন্তর্জাতিক সম্প্রচারকেন্দ্র ডয়চে ভেলের কার্যক্রম শুরু করেছিলেন তৎকালীন জার্মান প্রেসিডেন্ট টেওডোর হয়েস৷ জার্মানির রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক চিত্র বিদেশে শ্রোতাদের কাছে তুলে ধরতে জন্ম হয়েছিল দেশটির আন্তর্জাতিক রেডিও কেন্দ্রটির৷

শুরুতে শর্টওয়েভে এবং শুধুমাত্র জার্মান ভাষায় অনুষ্ঠান প্রচার করতো ডয়চে ভেলে৷ সম্প্রচারকেন্দ্রটিতে প্রথম বিদেশি ভাষা যোগ করা হয় ১৯৫৪ সালে৷ আর ১৯৯২ সালে টেলিভিশন অনুষ্ঠান শুরু করে৷ এর কিছুদিন পরেই যাত্রা শুরু করে ইন্টারনেটে৷

চারটি ভাষায়টেলিভিশন অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে ডয়চে ভেলে৷ পাশাপাশি রয়েছে বিভিন্ন ধরনের অডিও কন্টেন্ট এবং ত্রিশটি ভাষায় ওয়েবসাইট৷ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ডয়চে ভেলের বিস্তৃত উপস্থিতি রয়েছে৷

এছাড়া স্মার্টফোনের মাধ্যমেও ডয়চে ভেলের সংবাদ পাচ্ছেন মানুষ৷

ডয়চে ভেলের অ্যাকাডেমি ১৯৬৫ সাল থেকে বিশ্বের কয়েক হাজার সাংবাদিককে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে৷

ডয়চে ভেলের বন এবং বার্লিন কার্যালয়ে বিশ্বের ৬০টি দেশের ৩,৪০০ কর্মী কাজ করছেন, যা প্রতিষ্ঠানটিকে জার্মানির সবচেয়ে বড় বহুসাংস্কৃতিক সম্প্রচার কেন্দ্রের স্বীকৃতি দিয়েছে৷ সময়ের সাথে সাথে ডয়চে ভেলের আফ্রিকা, এশিয়া এবং ল্যাটিন আমেরিকার প্রতিনিধিদের সংখ্যাও ক্রমশ বাড়ছে৷

আন্তর্জাতিক একাধিক জরিপে দেখা গেছে, ডয়চে ভেলের ৯৬ শতাংশ ব্যবহারকারীই প্রতিষ্ঠানটিকে বিশ্বস্ত মনে করে৷ প্রতি সপ্তাহে ১৫০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ ডয়চে ভেলে থেকে নানা তথ্য পেয়ে থাকেন আর এ সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে৷

ক্রিস্টফ স্ট্রাক/এইচআই