1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ঢাকার ৪ নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে সময় আর ৪ মাস

৫ আগস্ট ২০১০

রাজধানীর পাশের চারটি নদী থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে হাইকোর্টের রায় পুনর্বিবেচনার জন্য বিআইডব্লিউটিএ-এর আবেদন বৃহস্পতিবার খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিমকোর্ট৷

https://p.dw.com/p/Ocqe
বুড়িগঙ্গা নদীছবি: AP

আইনজীবীরা জানিয়েছেন, এর ফলে এই বছরের ৩০শে নভেম্বরের মধ্যেই চারটি নদী থেকে অবৈধ স্থাপনা অপসারণ সরকারের জন্য বাধ্যতামূলক হলো৷ আদালতের রায়ে সাধারণ মানুষের জরুরি প্রয়োজনে নির্মিত সরকারি স্থাপনা ছাড়া অন্য সব স্থাপনাকে অবৈধ স্থাপনা উল্লেখ করা হয়েছে৷

প্রতিদিনই দখল হয়ে যাচ্ছে রাজধানীকে ঘিরে থাকা বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ আর বালু নদী৷ মুমূর্ষু এই নদীগুলো রক্ষায় বিভিন্ন সময়ে সরকারি উদ্যোগ ব্যর্থ হওয়ায় শেষ পর্যন্ত নদী বাঁচাতে শুরু হয় আইনি লড়াই৷ হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের করা রিট আবেদনের শুনানির পর নদীর সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট৷ যা বহাল থাকে আপিল বিভাগেও৷

তবে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন জানায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহণ কর্তৃপক্ষ- বিআইডব্লিউটিএ৷ অভিযোগ রয়েছে, অবৈধ দখল টিকিয়ে রাখতেই এই আবেদন করা হয়েছে৷ এখন সেই আবেদনও খারিজ হয়ে গেলো৷ রিট আবেদনকারী আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বললেন, ৩০শে নভেম্বরের মধ্যে এই চার নদীতে থাকা সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা এখন সরকারের জন্য বাধ্যতামূলক৷

নদী বাঁচাতে বর্তমান সরকারের উদ্যোগ প্রশংসিত৷ নদী রক্ষায় আলাদা অর্থও বরাদ্দ দিয়েছে সরকার৷ সেই বিবেচনায় রিট আবেদনকারী বললেন, সর্বোচ্চ আদালতের রায় নদী রক্ষায় সরকারি পদক্ষেপকে আরও সংহত করবে৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ