ঢাকা থেকে পুরনো বাস তুলে নেয়া হবে
২৪ জুন ২০১০রাজধানীর পরিবেশ দূষণ, যানজট এবং দুর্ঘটনার জন্য এই মেয়াদউত্তীর্ণ যানবাহন অনেকাংশে দায়ী৷ মোটরযান অধ্যাদেশ অনুযায়ী ১৯৯০ সালের আগের যানবাহন ঢাকা মহানগরীতে চলাচল অবৈধ৷ কিন্তু এই অবৈধ কাজই হচ্ছে সবার চোখের সামনে৷
মেয়াদউত্তীর্ণ এসব যানবাহন ঢাকা মহানগরী থেকে তুলে নেয়ার জন্য প্রায় প্রতিবছরই উদ্যোগ নেয়া হয৷ কিন্তু কয়েকদিন ট্রাফিক বিভাগ ও বিআরটিএ তৎপর থাকার পর আগের অবস্থায় ফিরে যায় ঢাকার সড়কগুলো৷ এ অবস্থার কথা মাথায় রেখে বৃহস্পতিবার যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ মন্ত্রীর সভাপতিত্বে বিআরটিএ, ট্রাফিক পুলিশ ও পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়৷ বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ২০ বছরের পুরনো বাস, মিনিবাস এবং ২৫ বছরের পুরনো ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান রাজধানী থেকে তুলে নেয়া হবে৷ আগামী ১৫ই জুলাই থেকে ওই ধরনের যানবাহনের বিরুদ্ধে শুরু হবে অভিযান৷ যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন সবাইকে আশ্বস্ত করেছেন, এবারের অভিযান লোক দেখানো হবে না৷ অভিযান হবে প্রকৃত অর্থেই ফলপ্রসূ৷
বৈঠকে রাজধানীতে ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান চলাচলের নতুন সময় নির্ধারণ করা হয়েছে৷ রাত ১২টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত ট্রাক-কাভার্ডভ্যান রাজধানীতে চলাচল করতে পারবে৷ আগে সময়সীমা ছিল রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা৷
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই তারা মেয়াদউত্তীর্ণ যানবাহন প্রাথমিকভাবে চিহ্নত করেছেন৷ এরমধ্যে বাস, মিনিবাস ১৪ হাজার এবং ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ১১ হাজার৷
বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০ বছরের পুরনো বাস, মিনিবাস তুলে নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাকিগুলোর ফিটনেসও পরীক্ষা করতে হবে৷ ফিটনেস ছাড়া কোন যানবাহন চলাচল করতে দেয়া যাবেনা৷ তারা বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ এই ফিটনেসবিহীন যানবাহন৷ গত ১৬ বছরে দেশে ৫০ হাজার মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক