1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ঢাবি ছাত্রীকে হুমকির প্রমাণ পাওয়া গেছে, দাবি পুলিশের

১৬ অক্টোবর ২০২০

পুলিশ বলেছে, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূরের দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা ছাত্রীর চরিত্র হননের হুমকি দেয়া হয়েছিল৷

https://p.dw.com/p/3k1TS
Nurul Haque Nur, president of Dhaka University Central Students' Union (DUCSU)
ছবি: Sazzad Hossain

তাদের দাবি, মেয়েটির বিরুদ্ধে কুৎসা রটাতে তিনজনকে কাজেও লাগানো হয়৷

ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম পুলিশের বরাত দিয়ে এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে৷

একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, সামাজিক গণমাধ্যমে ছাত্রীর চরিত্র হননের হুমকির অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজের স্নাতকোত্তরের সেই ছাত্রী নূরদের সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন ও যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগের বিরুদ্ধে দুই দফায় ধর্ষণের অভিযোগ করেন৷ পরে এ নিয়ে নূরসহ সংগঠনটির কয়েকজন সদস্যের কাছে বিচার চাইতে গেলে তারা তার চরিত্র হনন করার হুমকি দেন বলে ছাত্রী অভিযোগ করেন৷

ঐ ডিবি কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে ফেইসবুকে তাদের ১.২ মিলিয়ন সদস্য রয়েছে এবং একটা লাইভ করলে তার সব মান-সম্মান চলে যাবে বলে মেয়েটিকে হুমকি দেওয়া হয়৷''

ছাত্রীর অভিযোগের পর নূরের সহযোগী সাইফুল ইসলাম ও নাজমুল হুদাকে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে গোয়েন্দা পুলিশ৷ রিমান্ড শেষে তাদের বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করা হয়৷ আদালত তাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন৷

এ বিষয়ে ডিবির লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার রাজিব আল মাসউদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, ‘‘মূলত নির্যাতিত ওই শিক্ষার্থী তাদের কাছে (ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাদের) বিচার দিয়েছিল৷ কিন্তু বিষয়টিতে তারা গুরুত্ব দেয়নি৷''

পুলিশের সূত্র দিয়ে বিডিনিউজে বলা হয়েছে, সাইফুল ও নাজমুলের কাছ থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে৷ মেয়েটির সঙ্গে অভিযুক্ত নেতাদের সাক্ষাৎ ও কথোপকথনের ছবি ও অন্যান্য তথ্য জোগাড়ের চেষ্টা চলছে৷

এদিকে, নূরদের সংগঠনের পক্ষ থেকে ধর্ষণের অভিযোগ ও মামলাকে ষড়যন্ত্রমূলক বলা হচ্ছে শুরু থেকেই৷

ছাত্রীটি গত ২০ ও ২১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর লালবাগ ও কোতোয়ালি থানায় নুরুল হক নূর ও তার পাঁচ সহযোগীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দু'টি মামলা করেন৷ পরে শাহবাগ থানায় আরেকটি মামলা করেন ‘সাইবার বুলিংয়ের' অভিযোগে৷

জেডএ/এসিবি (বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম)