1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ঢেউ যখন পুরাণের চরিত্র

১০ জানুয়ারি ২০২০

রেচেল টালিবার্ট একজন চিত্রগ্রাহক৷ ঘুরে বেড়ান ইংল্যান্ডের দক্ষিণপূর্ব উপকূলের বিচগুলোতে৷ তিনি সমুদ্রের ঢেউয়ের অসাধারণ সব ছবি তোলেন৷ চমৎকার সব নামও দেন ছবিগুলোর৷ তাঁর ছবি নজর কেঁড়েছে আন্তর্জাতিক মহলের৷

https://p.dw.com/p/3VzV6
Wellen der Drakepassage, waves in the Drake Passage
ছবি: picture-alliance/blickwinkel/A. Rose

সাগর যখন গর্জে ওঠে, নামে বিরাট সব ঢেউ, বাতাস আছড়ে পড়ে পানিতে, তখনই তৎপর হয়ে ওঠেন ব্রিটিশ চিত্রগ্রাহক রেচেল ট্যালিবার্ট

ইংল্যান্ডের দক্ষিণপূর্ব উপকূলের বিচগুলো থেকে তিনি অসাধারণ সব ছবি তুলেছেন৷ ছবি দেখে মনে হবে তিনি সমুদ্রের মাঝ থেকে তুলেছেন৷

তাঁর ভাষায়, ‘‘প্রায়ই অনেকে আমাকে বলেন যে, তুমি নিশ্চয়ই কোনো নৌকায় বসে ছবি তুলেছ৷ আসলে এমন করেই আমি দেখাতে চেয়েছি৷ আমার মনে পড়ে সমুদ্রের মাঝে কেমন অনুভূতি হয়- কোনো চরাচর নেই, চারদিকে শুধু ঢেউ আর ঢেউ৷ আমি আসলে তির থেকে এমন সব ছবিই তুলতে চাই৷''

ঢেউ নিয়ে যারা কাজ করবেন, তাদের সবসময়ই চমকের জন্য তৈরি থাকতে হয়৷ রেচেল বলেন, ‘‘যদি একটা বড় ঢেউ আসার মানে হলো অনেক জায়গাতেই পরের দু'টো ঢেউও বড় হবে৷ অনেকেই প্রথমটার ছবি তুলে ক্যামেরায় দেখার চেষ্টা করেন কেমন ছবি উঠল! আরে ভাই, আরো দু'টো আসছে৷''

ক্যামেরায় সমুদ্রের ঢেউ

রেচেল ট্যালিবার্টের ‘সাইরেন' নামক ফটোসিরিজটি তাঁকে আন্তর্জাতিক খ্যাতি এনে দিয়েছে৷ সিরিজের ছবিগুলো তিনি তোলেন এক ঝড়ের সময়৷ তখন বাতাসের গতি ছিল ঘন্টায় দেড়শ' কিলোমিটার, আর ঢেউগুলো ছিল সর্বোচ্চ ১৫ মিটার উঁচু৷

রেচেল এই সিরিজের প্রতিটি ছবির নাম দিয়েছেন পুরাণ থেকে৷ যেমন, মেডুসা, লিলিথ, পোসাইডন৷ তিনি বিশাল সব ঢেউকে রাগী দেবদেবীদের সঙ্গে তুলনা করেছেন৷

ঝড়ের সময় সমুদ্রতিরে শুয়ে পড়েন রেচেল৷ এতে ছবি তোলার সময় স্থির থাকতে পারেন৷ টেলিফটো জুম লেন্স ব্যবহার করে ১০০ মিটার দূরের ঢেউয়ের ছবি তুলতে পারেন তিনি৷

ট্যালিবার্ট তাঁর সাদাকালো ছবিগুলোর জন্য পুরস্কার জিতেছেন৷ তবে ছবি থেকে রঙ একেবারে মুছে দেননি৷ তাঁর রঙিন ছবিও আছে৷

রেচেল সমুদ্রের অজানা রহস্যকে ভালোবেসেছেন৷ যখন সমুদ্র শান্ত হয়ে আসে, তখন বাড়ি ফিরে যান এই চিত্রগ্রাহক

প্রতিবেদন: ইয়ানা ওর্টেল/জেডএ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান