তথ্য প্রেরণের গতি বেড়ে গেল চারগুণ!
১৯ মার্চ ২০১১এক-দুটি নয়, ২৪০টি ডিভিডিতে ঠিক কতগুলো তথ্য ধরতে পারে একবার ভেবে দেখুনতো! সেই পরিমাণ তথ্যই মাত্র এক সেকেন্ডে পাঠাতে সক্ষম হয়েছেন বিজ্ঞানীরা৷ এর আগের রেকর্ড ছিল এর চেয়ে চারগুণ কম৷ অর্থাৎ তখন মাত্র ৬০টি ডিভিডি'র তথ্য পাঠানো সম্ভব হয়েছিল৷
সংখ্যার হিসেবে এক সেকেন্ডে তথ্য পাঠানোর পরিমাণ ছিল ১০.২ টেরাবিটস৷ ২৯ কিলোমিটার দীর্ঘ ফাইবার অপটিক তারের মধ্যে দিয়ে পাঠানো হয় এই তথ্য৷ আগেরবার পাঠানো তথ্যের পরিমাণ ছিল ২.৫৬ টেরাবিটস৷ সেটা ২০০৫ সালের কথা৷
জার্মানির ফ্রাউনহোফার হাইনরিশ হারত্স ইনস্টিটিউট বা এইচএইচআই ও ডেনমার্কের টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি'র বিজ্ঞানীরা এই সফলতা দেখিয়েছেন৷ লস এঞ্জেলস'এ অনুষ্ঠিত একটি সম্মেলনে গবেষণার এই ফলাফল তুলে ধরা হয়৷
এর আগের যে রেকর্ড সেটার সঙ্গেও জড়িয়ে আছে জার্মানির এইচএইচআই প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীদের নাম৷ সেবার তাদের সঙ্গে ছিলেন জাপানের বিজ্ঞানীরা৷
গবেষক দলের একজন জার্মান বিজ্ঞানী কার্স্টেন স্মিট-লাংহর্স্ট ডয়চে ভেলেকে বলেন, তাঁরা এই ফলাফলে নিজেরাই বিস্মিত৷ কারণ মাত্র ছয় বছরে তথ্য প্রেরণের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় চারগুণ!
অ্যামেরিকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গোবিন্দ আগরওয়াল একে বিশ্বরেকর্ড বলে মানছেন৷ তবে এটা বাণিজ্যিকভাবে কাজে লাগানো যাবে বলে মনে করছেন না তিনি৷ তথ্য প্রেরণের ক্ষেত্রে বিজ্ঞানীদের ব্যবহৃত পদ্ধতিই এর কারণ বলে তিনি ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন৷ আগরওয়াল বলছেন, এই পদ্ধতির কারণে সংকেত খুব তাড়াতাড়ি নেমে যায়৷
তবে অ্যামেরিকারই আরেক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রেমন্ড হানসেন এই গবেষণাকে তথ্য যোগাযোগের ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি মনে করছেন৷ যদিও তাঁর ধারণা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা নিকট ভবিষ্যতে এর সুফল পাবেন না৷ কারণ ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে আগে এই প্রযুক্তিতে অভ্যস্ত হতে হবে৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন