1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তাইওয়ানকে আরো অস্ত্র বিক্রি অ্যামেরিকার

২৭ অক্টোবর ২০২০

এশিয়া প্যাসিফিকে চীন এবং অ্যামেরিকার বিরোধ আরো বাড়ল। তাইওয়ানকে আরো অত্যাধুনিক অস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্ত নিল অ্যামেরিকা।

https://p.dw.com/p/3kTW7
ছবি: Getty Images/AFP/P. Lin

চীনকে চটিয়ে তাইওয়ানকে আরো অস্ত্র বিক্রি করার প্রস্তাবে সায় দিল অ্যামেরিকা। কিছু দিন আগেই প্রায় এক দশমিক আট বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র তাইওয়ানকে বিক্রি করার প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছিল অ্যামেরিকা। এ বার সমুদ্র উপকূলে ব্যবহার করার জন্য অত্যাধুনিক অস্ত্র বিক্রিতেও রাজি তারা। অ্যামেরিকার এই পদক্ষেপ চীনের সঙ্গে তাদের সংঘাত আরো বাড়াবে। আগেই তাইওয়ানকে অস্ত্র বিক্রির প্রসঙ্গে কড়া অবস্থানের কথা জানিয়েছিল চীন। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছিলেন, যে সব কোম্পানি তাইওয়ানকে অস্ত্র বেচছে, তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির পরিকল্পনা করছে চীন।

১৯৪৯ সালে গৃহযুদ্ধের পর চীন থেকে নিজেদের আলাদা করে নিয়েছিল তাইওয়ান। তৈরি হয়েছিল স্বাধীন সরকার। যদিও তাইওয়ানকে আলাদা রাষ্ট্রের সম্মান দিতে রাজি নয় চীন। তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ বলেই তারা মনে করে। বস্তুত, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তাইওয়ানকে নতুন করে দখলের কথাও বলেছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রক।

অ্যামেরিকার সঙ্গে তাইওয়ানের সরাসরি কোনো চুক্তি নেই। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরেই তাইওয়ানকে বিশ্বের আরো অনেক দেশের মতোই আলাদা রাষ্ট্রের সম্মান দেয় অ্যামেরিকা। অ্যামেরিকার সঙ্গে তাইওয়ানের বেশ কিছু অলিখিত সম্পর্কও রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে তাইওয়ানের পাশে দাঁড়ায় অ্যামেরিকা। বাণিজ্য থেকে অস্ত্র সবরকম সম্পর্কই আছে দুই দেশের মধ্যে।

করোনাকালে অ্যামেরিকার সঙ্গে চীনের দূরত্ব বেড়েছে। চীনের হংকং নীতি এবং তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে সরব হয়েছে অ্যামেরিকা সহ অনেকেই। ইউরোপীয় ইউনিয়নও তাইওয়ানে প্রতিনিধি পাঠিয়েছে। দক্ষিণ চীন সমুদ্রের রাজনীতি অন্য মাত্রা পেয়েছে। অস্ট্রেলিয়া, জাপান, অ্যামেরিকা এবং ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিজেদের ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য এক জোট হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অ্যামেরিকার সঙ্গে তাইওয়ানের অস্ত্র চুক্তি চীনকে আরো চটিয়ে দিয়েছে। সম্প্রতি তাইওয়ানকে এফ ১৬ যুদ্ধবিমানের সেন্সর, মিসাইল, রকেট লঞ্চার সহ একাধিক অস্ত্র বিক্রির প্রস্তাবে সায় দিয়েছে অ্যামেরিকা। এ বার তাদের দেওয়া হচ্ছে দুই দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার মূল্যের কোস্টাল ডিফেন্স সিস্টেম। এই অস্ত্রের সাহায্যে যুদ্ধ জাহাজ, বিমান, সাবমেরিন ধ্বংস করা সম্ভব। অত্যাধুনিক এই অস্ত্র জিপিএসের সাহায্যে চালানো যায়। অ্যামেরিকার বক্তব্য, এই অস্ত্রের সাহায্যে তাইওয়ান তাদের উপকূল রক্ষা করতে পারবে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, দক্ষিণ চীন সমুদ্র অঞ্চলে চীনের নৌবাহিনী অত্যন্ত শক্তিশালী। ফলে নিজেদের সুবিধার্থেই তাইওয়ানকে বোয়িংয়ের তৈরি এই অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে রাখল অ্যামেরিকা।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রক এবং কমিউনিস্ট পার্টি-- সকলেই তাইওয়ানকে অস্ত্র বিক্রির তীব্র বিরোধিতা করেছে। বোয়িং সহ একাধিক মার্কিন সংস্থাকে নিষিদ্ধ করার কথাও বলা হয়েছে। যদিও তাতে অ্যামেরিকা অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন না। তবে অ্যামেরিকার এই কাজ এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে উত্তেজনা আরো বাড়াবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, ডিপিএ)