1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তানা নদীর তীরে

রুট ক্রাউসে/এসি২৯ এপ্রিল ২০১৫

কেনিয়ার দীর্ঘতম নদীর নাম তানা৷ তার উপর পাঁচ-পাঁচটি বাঁধ দেওয়া হয়েছে; কোথাও আবার মাটির তলার সুড়ঙ্গ দিয়ে পানি যাচ্ছে৷ কিন্তু নদীর ধারের গ্রামগুলির বাসিন্দারা? তাদের পানি আসবে কোথা থেকে?

https://p.dw.com/p/1FGvJ
Tana durchqueren, Kenia
ছবি: Adrian Gregorich

একদিকে জলবিদ্যুৎ, অন্যদিকে জীবাণুমুক্ত পানীয় জল – এই দুই প্রয়োজন মেটানো কি সম্ভব?

তানা নদী – কেনিয়ার দীর্ঘতম, এক হাজার কিলোমিটার পথ ধরে মানুষ আর জীবজন্তুর প্রাণধারা৷ তবুও কোনো কোনো জায়গায় জলধারার পরিবর্তে আজ শুধু পাথর আর বালি৷ হাইড্রো-ইলেকট্রিক প্রোজেক্টের ইঞ্জিনিয়াররা জলধারাকে কয়েক কিলোমিটার পথ ধরে একটি সুড়ঙ্গের মধ্যে পাঠিয়ে দিয়েছেন – সুড়ঙ্গ দিয়ে পানি সরাসরি পরের বাঁধটিতে গিয়ে পড়ছে৷

পায়ে হেঁটে যেতে দু'ঘণ্টা সময় লাগে: মারিয়ানা পিউস প্রতিদিন এখানে রোজ আসেন তাঁর দশজনের পরিবারের জন্য পানি নিতে৷ কিন্তু তিনি বেশ রুষ্ট৷ তিনি বলেন, ‘‘আগে সব পানি যেতো এই নদীপথ ধরে৷ তারপর এলো প্রথম বাঁধ, নদী হয়ে দাঁড়াল নালা৷ দ্বিতীয় বাঁধটা তৈরি হবার পর থেকে নদী একেবারেই উধাও৷''

এই গরমে শুধু নদীতেই যা কিছু ঠান্ডা হওয়া যায়! স্থানীয় লোকেরা এখানে গা ধোয়, কাপড় কাচে, খাবার জল নেয় – সব এক জায়গা থেকে৷ সে পানি আবার হালকা গরম – জীবাণুর বংশবৃদ্ধির পক্ষে আদর্শ৷

লিডিয়া ওলাকা এই প্রথমবার এখানে এসেছেন নাইরোবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ওয়াইজ-আপ' প্রকল্পের হয়ে৷ প্রকল্পের লক্ষ্য হল, যারা পানি ব্যবহার করে আর যারা পানি দূষণ করে, তাদের মধ্যে একটা আপোশের ব্যবস্থা করা৷ তিনি যে তথ্য সংগ্রহ করছেন, তার ভিত্তিতে এখনো নদীতে যে পানি আছে, তার সুযোগ্য ব্যবহারের বন্দোবস্ত করা হবে৷ লিডিয়া বলেন, ‘‘জল হল জীবন৷ এখানে দু'টি প্রশ্ন আছে: জলের পরিমাণ বেশি না কম; দ্বিতীয়ত, জলের গুণগত মান উৎকৃষ্ট না নিকৃষ্ট৷ উভয় ক্ষেত্রেই কেনিয়াতে এলাকা অনুযায়ী পানির কমতি কিংবা বাড়তি, ভালো কিংবা খারাপ আছে৷''

যেখানে জল কম, সেখানে বিরোধ বাড়ে৷ আরো নীচে নদীর জল আর গরু চরানোর জমি নিয়ে বিগত কয়েক বছরে কাজিয়া, এমনকি রক্তপাত হয়ে গিয়েছে৷ কিছু কিছু বাসিন্দা গোটা ব্যাপারটাকে জলবায়ু পরিবর্তনের কুফল বলে মনে করেন৷ অন্যেরা দোষ দেন পাঁচ-পাঁচটি বাঁধ প্রকল্পকে

এই হাইড্রো-ইলেকট্রিক প্রোজেক্টগুলি থেকে কেনিয়ার বিদ্যুতের চাহিদার প্রায় অর্ধেক মেটানো হয়৷ কাজেই এই বাঁধগুলো দেশের শিল্পোন্নয়নের জন্য বিশেষভাবে জরুরি৷ ‘ওয়াইজ-আপ' বৈজ্ঞানিক প্রকল্পের সঙ্গে বিদ্যুৎ কোম্পানির সহযোগিতা করায় বিশেষ আগ্রহ নেই৷ বিজ্ঞানীরা তবুও প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে চান৷ লিডিয়ার ভাষ্য অনুযায়ী, ‘‘বিদ্যুৎ কোম্পানির সঙ্গে সহযোগিতা ‘ওয়াইজ-আপ'-এর পক্ষে খুবই গুরুত্বপূর্ণ – অবকাঠামো আর বাঁধগুলো নদীর উপর কী প্রভাব ফেলেছে, তা জানার জন্য৷ এটা একটা বড় উপাদান, কেননা বিদ্যুৎ কোম্পানির সিদ্ধান্ত নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ আর বাকি সব কিছুকে প্রভাবিত করবে৷''

এ যাবৎ ‘ওয়াইজ-আপ' বা ‘সচেতন হও' প্রকল্প চলেছে ঢিমে তালে৷ আমলাতন্ত্র, লালফিতে, কর্তাভজা, এ সবই সহযোগিতা ও যোগাযোগের পথে প্রতিবন্ধক৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য