1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তালেবানের কারণে পাকিস্তান পর্যাপ্ত সাহায্য পাচ্ছেনা

১৭ আগস্ট ২০১০

পাকিস্তানে এখন এমনিতেই অনেক সংকট৷ তার সঙ্গে এবার যোগ হলো ‘ইমেজ সংকট’৷ আর এই সংকটের কারণে তৈরি হয়েছে অর্থ সংকট৷

https://p.dw.com/p/Op41
ছবি: AP

পাকিস্তানের ইমেজ সংকট হচ্ছে জঙ্গি গোষ্ঠীর কারণে৷ আরও নির্দিষ্ট করে বললে তালেবানের কারণে৷ সারা বিশ্ব জানে দেশটির সঙ্গে তালেবানের সম্পর্ক৷ তাইতো পাকিস্তানের ইতিহাসের ভয়াবহ বন্যায়ও ব্যাপকভাবে সাড়া দিচ্ছেনা আন্তর্জাতিক বিশ্ব৷ ৪৬০ মিলিয়ন ডলারের আবেদন জানিয়েছিল জাতিসংঘ৷ তাও প্রায় এক সপ্তাহ হতে চললো৷ কিন্তু এখন পর্যন্ত সাহায্য এসেছে শতকরা মাত্র ৩২ ভাগ৷ অর্থাৎ অর্ধেকেরও অনেক কম৷ আর এই পরিস্থিতিকেই বলা হচ্ছে অর্থ সংকট৷

জাতিসংঘের জরুরি সাহায্য সমন্বয়ক সংস্থার মুখপাত্র বলেছেন, পশ্চিমা বিশ্বের সাধারণ জনগণের কাছে পাকিস্তান সম্পর্কে একটা নেতিবাচক মনোভাব রয়েছে৷ সাহায্য চাইতে গিয়ে বিষয়টি মাঝে মধ্যেই সামনে চলে আসছে৷ এদিকে এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে জাতিসংঘের সহায়তা কামনা করেছেন কেয়ার ইন্টারন্যাশনালের মুখপাত্র৷ তিনি চান, জাতিসংঘ দাতা দেশগুলোকে একটা বিষয়ে নিশ্চিত করানোর চেষ্টা করুক যে, তাদের প্রেরিত অর্থ তালেবানের কাছে যাবেনা৷ আন্তর্জাতিক সাহায্যের এই দশাকে ‘দু:খজনক' বলেছেন ব্রিটেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী নিক ক্লেগ৷ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ছুটিতে থাকায় ক্লেগই এখন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন৷ আর জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুন সবকিছু ভুলে আরও বেশি সাহায্য পাঠাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন৷

Pakistan Flut Katastrophe 2010 Flash-Galerie
পাঞ্জাবের বন্যার চিত্রছবি: AP

এসব কারণে পাকিস্তানে বন্যার্তদের বিশেষ করে শিশুদের অবস্থা খুব খারাপ৷ কারণ শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে বিভিন্ন পানিবাহিত রোগে৷ জাতিসংঘ বলছে, প্রায় ৩৫ লক্ষ শিশু পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হতে পারে৷ আর সব মিলিয়ে সংখ্যাটা দাঁড়াতে পারে প্রায় ৬০ লক্ষে৷ ডায়রিয়া আর আমাশয় রোগের কথাই বলছে সংস্থাটি৷ তবে টাইফয়েড আর হেপাটাইটিস এ এবং ই – এই রোগগুলোও আক্রমণ করতে পারে বলে ধারণা জাতিসংঘের৷

এর ফলে দ্বিতীয় দফা মানুষ মারা যাওয়া শুরু হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে এই বিশ্ব সংস্থাটি৷ এদিকে এক সাহায্যকর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে যে, ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে বেশ কয়েকজন মারা গেছে৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম