1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তুরস্ককে ঠেকাতে রাফাল কিনতে পারে গ্রিস

৮ সেপ্টেম্বর ২০২০

গ্রিসের মিডিয়ার রিপোর্ট, তুরস্ককে ঠেকাতে ফরাসি যুদ্ধবিমান রাফাল ও যুদ্ধজাহাজ কিনবে এথেন্স।

https://p.dw.com/p/3i8RP
ছবি: picture-alliance/abaca

পূর্ব ভূমধ্যসাগরে অশোধিত তেল তোলা নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে তুরস্কের সঙ্গে গ্রিসের বিরোধ চলছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে গ্রিস অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্র কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে এই দুই ন্যাটো-দেশের ঝগড়া ভবিষ্যতে যুদ্ধে পরিণত হবে কি না, সেই আশঙ্কা বাড়ছে। 

পূর্ব ভূমধ্যসাগরে গ্রিস ও তুরস্ক দুই দেশই যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে। বিমানবাহিনীও প্রস্তুত। এই অবস্থায় গ্রিস সরকারের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ''তুরস্ক প্রায় প্রতিদিন যুদ্ধের হুমকি দিচ্ছে এবং উস্কানিমূলক কথা বলছে। এই অবস্থায় আগামী শনিবার প্রধানমন্ত্রী দেশের অর্থনীতি নিয়ে ভাষণ দেবেন। সেখানেই সেনাবাহিনীর হাতে আধুনিক অস্ত্র তুলে দেয়ার কথাও থাকবে।'' মুখপাত্র জানিয়েছেন, ''বন্ধু দেশগুলির সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা চলছে।''

গ্রিসের সরকারি মুখপাত্র আরো জানান, গত সপ্তাহে তাঁরা বন্ড নিলাম করে ২৫০ কোটি ইউরো তুলেছেন। এই অর্থের একটা অংশ সেনার পিছনে খরচ করা হবে। 

গ্রিসের মিডিয়ার খবর, ফ্রান্সের কাছ থেকে রাফাল যুদ্ধবিমান ও যুদ্ধজাহাজ কেনা হতে পারে। আগামী বৃহস্পতিবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁর সঙ্গে গ্রিসের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক হতে পারে।

Frankreich Luftwaffe Kampfjets
ছবি: picture alliance/dpa/Ecpad Handout

গত শনিবারই তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ান গ্রিসকে সাবধান করে দিয়ে বলেছিলেন, ''ওদেরকে হয় রাজনীতি ও কূটনীতির ভাষা বুঝতে হবে। নইলে ওদের খুবই কষ্টকর অভিজ্ঞতা হবে।'' সোমবার গ্রিসের বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, তুরস্কই প্রতিবেশীকে যুদ্ধ হবে বলে শাসাচ্ছে। তাঁর দাবি, গ্রিস সবসময়ই আলোচনায় রাজি। তবে তা আন্তর্জাতিক আইন মেনে হতে হবে এবং বকেয়া সমস্যার সমাধানের জন্য হতে হবে।

১৯৭০ পরবর্তী সময়ে গ্রিস ও তুরস্কের মধ্যে তিনবার যুদ্ধপরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আবার এই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। গ্রিস তাদের সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীকে প্রস্তুত রেখেছে বলে জানিয়েছে।

এই অবস্থায় আগামী ২৪ ও ২৫ সেপ্টেম্বর ইউরোপীয় ইউনিয়নের বৈঠক হবে। সেখানে তুরস্কের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা নিয়েও কথা হতে পারে।    

জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)