1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তুরস্কের সতর্কতা প্রসঙ্গে ম্যার্কেল

১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭

‘‘তুর্কি নাগরিকরা স্বচ্ছন্দে জার্মানিতে বেড়াতে আসতে পারেন, তারা এখানে স্বাগতম,’’ বলেন ম্যার্কেল৷ আংকারা ইতিপূর্বে জার্মানিতে জাতিবাদ বা সন্ত্রাসবাদের বিপদের কথা বলেছিল৷

https://p.dw.com/p/2jiJD
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Gentsch

নির্বাচন চলাকালীন জার্মানিতে আসার ব্যাপারে কোনো তুর্কি নাগরিকের ভয় পাওয়া উচিত নয়, ম্যার্কেল রবিবার পশ্চিম জার্মানির ডেলব্র্যুক শহরে একটি নির্বাচনি সমাবেশে ঘোষণা করেন, ‘‘আমি খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই, যে কোনো তুর্কি নাগরিক আমাদের এখানে বেড়াতে আসতে পারেন৷’’

‘‘কোনো সাংবাদিককে এখানে গ্রেপ্তার করা হয় না৷ কোনো সাংবাদিককে এখানে আটকে রাখা হয় না৷ আমাদের এখানে বাকস্বাধীনতা ও আইনের শাসন আছে এবং আমরা সে বিষয়ে গর্বিত,’’ চ্যান্সেলর যোগ করেন৷

জার্মান পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতি অনুযায়ী, অন্তত ১০ জন জার্মান নাগরিককে বর্তমানে রাজনৈতিক অভিযোগে তুরস্কে বন্দি করে রাখা হয়েছে৷ ‘ডি ভেল্ট’ পত্রিকার জার্মান-তুর্কি সাংবাদিক ডেনিজ ইউচেল তাদের অন্যতম৷

শনিবার তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি যাত্রা সতর্কতা প্রকাশ করে, সেখানে জার্মানিগামী অথবা জার্মানিতে বসবাসকারী তুর্কি নাগরিকদের সাবধানে থাকতে বলা হয়েছে, কেননা জার্মানিতে নির্বাচনি প্রচার অভিযান চলাকালীন জাতিবাদের খবর পাওয়া গিয়েছে৷

‘‘জার্মানির রাজনৈতিক নেতারা তুরস্কবিরোধী ও তুরস্কের ইইউ সদস্য হওয়া রোখার সপক্ষে হওয়ার ভিত্তিতে তাদের নির্বাচনি প্রচার অভিযান চালাচ্ছেন,’’ বলে তুরস্কের বিবৃতিতে মন্তব্য করা হয়৷

তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে তুর্কি নাগরিকদের আরো বলা হয়েছে যে, জার্মানি কুর্দিস্তান শ্রমিক দল পিকেকে অথবা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী তুর্কি যাজক ফেতুল্লাহ গুলেনের চক্রের মতো সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীদের স্বাগত জানিয়ে থাকে৷ সন্ত্রাসবাদীরা ‘‘স্বচ্ছন্দে (জার্মানির) পথেঘাটে চলাফরা করে,’’ বলে তুর্কি পররাষ্ট্র দপ্তর আভাস দেয়৷

বার্লিন-আংকারা সম্পর্কে তিক্ততা

গত সপ্তাহে উভয়ের একমাত্র টেলিভিশন বিতর্কে ম্যার্কেল ও আগামী ২৪শে সেপ্টেম্বরের নির্বাচনে তাঁর মুখ্য প্রতিদ্বন্দ্বী মার্টিন শুলৎস, দু'জনেই তুরস্কের সঙ্গে ইইউ সদস্যপদ সংক্রান্ত আলাপ-আলোচনা বন্ধ করার সপক্ষে মতপ্রকাশ করেন৷

শনিবার একটি নির্বাচনি প্রচার সমাবেশে শুলৎস তুর্কি সরকারের যাত্রা সতর্কতার তীব্র সমালোচনা করে বলেন, ‘‘তুরস্কের কাছ থেকে এ ধরণের অমর্যাদা সহ্য করার মতো দেশ জার্মানি নয়৷’’

গত বছর প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়িপ এর্দোয়ানের বিরুদ্ধে একটি ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের প্রচেষ্টার পর থেকে এক পর্যায় কূটনৈতিক সংকটের ফলে দু'টি দেশের সম্পর্কে ব্যাপক অবনতি ঘটেছে৷

ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে তুরস্কে মোট ৫০,০০০ মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, বার্লিন যার তীব্র সমালোচনা করেছে৷

আংকারার দৃষ্টিতে ফেরারি তুর্কিরা জার্মানিতে রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার ফলে ও জার্মানিতে তুর্কি রাজনৈতিক সমাবেশ নিষিদ্ধ হওয়ার ফলে আংকারার রোষ আরো বেড়েছে৷

ইতিপূর্বে এর্দোয়ান একটি বিবৃতিতে জার্মানিতে বসবাসকারী তুর্কিদের জার্মানির মুখ্য তিনটি রাজনৈতিক দলকে ভোট না দেবার পরামর্শ দেন৷ প্রত্যুত্তরে বার্লিন তুর্কি প্রেসিডেন্টকে ‘নাক না গলাতে’ বলে৷

জার্মানিতে প্রায় ৩০ লাখ তুর্কি বংশোদ্ভূত মানুষ বসবাস করেন৷ তাদের মধ্যে দশ লক্ষের আগামী নির্বাচনে ভোটাধিকার আছে৷

এসি/এসিবি (এএফপি, ডিপিএ)