1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তুরস্কে ৪ দিনের সফরে জার্মান প্রেসিডেন্ট

১৯ অক্টোবর ২০১০

জার্মানির প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিয়ান ভুল্ফ তাঁর তুরস্ক সফরে মঙ্গলবার আঙ্কারায় সেখানকার নেতাদের সঙ্গে জার্মানিতে তুর্কী অভিবাসী মানুষজনের নানান সমস্যা এবং বিষয়ে আলাপ আলোচনায় বসেছেন বলেই জানা গেছে৷

https://p.dw.com/p/Phlq
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট গুলের সঙ্গে জার্মান প্রেসিডেন্ট ভুল্ফ (বামে)ছবি: picture alliance/dpa

উল্লেখ্য, জার্মানির মুসলমান অভিবাসীদের বেশিরভাগই তুরস্ক থেকে জার্মানিতে এসেছেন৷

জার্মানিতে তুরস্কের অভিবাসীদের নিয়ে সৃষ্ট সাংস্কৃতিক সমস্যা এবং এই পরিস্থিতি কিভাবে সামাল দেয়া যায়, প্রেসিডেন্টের এবারের তুরস্ক সফরের এটি একটি উল্লেখযোগ্য বিষয়৷ ভুল্ফ তাঁর এই সফরে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ গুলের সঙ্গে দেখা করেছেন৷ তিনি সেখানে তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী এর্দোয়ান এবং তুরস্কের প্রধান ধর্মীয় নেতা আলি বার্দাকোয়লুর সঙ্গেও মিলিত হয়েছেন৷

উল্লেখ্য, জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল কয়েকদিন আগে বক্তব্য রেখেছিলেন, ‘জার্মানির বহু সংস্কৃতির সমন্বয়ে সমাজ গড়ার সেই উদ্যোগটি ব্যর্থ হয়েছে৷' তিনি অভিবাসীদের জার্মান ভাষা শিখতে এবং জার্মান সংস্কৃতির সঙ্গে মিলতে আহ্বান জানিয়েছিলেন৷ তাঁর এই বক্তব্যের মাত্র ৪ দিনের মাথায় জার্মান প্রেসিডেন্টের এই তুরস্ক সফর৷ অবশ্য তুরস্কের ইউরোপিয় ইউনিয়নে যোগ দেওয়ার বিষয়টিও ভুল্ফ'এর এই সফরের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক বলেই অনেকে মনে করছেন৷

ভুল্ফ নিজেও তাঁর এবারের তুরস্ক সফরে ভাষা সমস্যার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন৷ তুরস্কের প্রভাবশালী দৈনিক হুরিয়াত জানিয়েছে, জার্মান প্রেসিডেন্ট অভিবাসী সংকটের প্রধান কারণ হিসেব চিহ্নিত করেছেন ভাষা সমস্যাটিকেই৷ যদিও জার্মানিতে বসবাসরত ইদানিংকার তরুণ প্রজন্মটি জার্মান বলতে লিখতে পারে কিন্তু অধিকাংশ তুর্কী অভিবাসীই ঠিকমতো জার্মান ভাষা বুঝতে বা বলতে পারেন না৷ তাঁরা একারণেই নিজেদের ছোট গণ্ডির ভেতরেই আবদ্ধ থাকেন৷

এদিকে সপ্তাহান্তে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট গুলও তুরস্কের অভিবাসীদের জার্মান শিখতে আহ্বান জানিয়েছেন৷ তিনি তাঁর দেশের এইসব অভিবাসী যারা জার্মানিতে রয়েছেন তাদের প্রতি জার্মান শেখার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, যখন কেউ সে যে দেশ থাকে সেদেশের ভাষায় কথা বলে না বা তা জানে না, এর অর্থ হচ্ছে- তারা আসলে কারোরই কোন কাজে আসে না৷ না সেই রাষ্ট্রের, না তার নিজের না অন্য কারো৷

আগামী বুধবার ম্যার্কেলের মন্ত্রীসভায় এতদসংক্রান্ত নানা বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷ সরকারি এক মুখপাত্রের বরাতে জানা গেছে, সেসব বিষয়ের মধ্যে রয়েছে- অভিবাসী নীতি সংক্রান্ত বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ, জার্মান ভাষা শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয় এবং জোর করে বিয়ে দেয়া৷

উল্লেখ্য, অর্থনৈতিক দিক থেকে তুরস্ক জার্মানির অন্যতম প্রধান এক অংশীদার৷ জার্মানির প্রায় চার হাজার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের তুরস্কে অংশীদার রয়েছে৷ ২০০৯ সালে জার্মানি-তুরস্কের ব্যবসার পরিমাণ ছিল প্রায় সতেরো বিলিয়ন ইউরো৷ স্বাভাবিকভাবেই জার্মান প্রেসিডেন্টের এই তুরস্ক সফর তাই বহুমাত্রিকভাবেই গুরুত্বপূর্ণ৷

প্রতিবেদন: হুমায়ূন রেজা
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক