1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে মন্ত্রীরা

২৩ জুলাই ২০২১

তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের হাতেই দলের মন্ত্রীরা নিগৃহীত হচ্ছেন। মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কর্মীরাই।

https://p.dw.com/p/3xuOo
প্রতীকী ছবি। ছবি: Syamantak Ghosh/DW

বিরোধী বিজেপি, কংগ্রেস বা বাম নয়, বরং তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের হাতেই নিগৃহীত হচ্ছেন মন্ত্রীরা। সম্প্রতি এই রকম দুইটি ঘটনা সামনে এসেছে। প্রথম ঘটনায় সন্দেশখালিতে নিগ্রহের শিকার হয়েছেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। তিনি তো তৃণমূলের নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর করে তাকে গ্রেপ্তারের দাবি তুলেছেন। আর অন্য একটি ঘটনায় বারুইপুরে বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং তথ্য-সংস্কৃতি মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন নেতা-কর্মীরা। দুই জায়গায় এভাবেই নিজের দলের কর্মীদের বিরোধের মুখে পড়েছেন মন্ত্রীরা।

এর মধ্যে মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর ঘটনা চমকপ্রদ। তিনি সন্দেশখালির ন্যাজাটে ঘূর্ণিঝড়ে দুর্গতদের জন্য ত্রাণ নিয়ে যাচ্ছিলেন। তার গাড়িতে চারশ জনের ত্রাণ ছিল। সিদ্দিকুল্লা জানিয়েছেন, সেই ত্রাণ সামগ্রী লুঠ করা হয়। মন্ত্রীর সচিব ও গাড়ির চালককে মারা হয়। আর মন্ত্রীর অভিযোগ, এর পিছনে আছেন সন্দেশখালির তৃণমূল সভাপতি শেখ শাহজাহান।

সিদ্দিকুল্লা পুলিশের কাছে শাহজাহানের নামে এফআইআর করেছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে নালিশও করেছেন। তিনি বসিরহাট পুলিশ কর্তাকেও বলেছেন। আর শাহজাহানের বক্তব্য, ''সিদ্দিকুল্লা কুলাঙ্গার।''

ঘটনা হলো, মন্ত্রীর এফআইআরের বেশ কয়েকদিন পরেও শাহজাহানের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।

বিধানসভা নির্বাচন কি বদলে দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের সমাজ?

বারুইপুরে তিন মন্ত্রী গিয়েছিলেন টেলি অ্যাকাডেমির কাজ দেখতে। ১০ একর জমিতে এই অ্যাকাডেমি হচ্ছে। কাজও প্রায় শেষ। কিন্তু তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা তাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান। তাদের দাবি ছিল দুইটি। কেন এলাকার বিধায়ক ও স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি? আর কল্যাণপুর এলাকায় কেন জল জমছে? তৃণমূলের পতাকা নিয়ে এক ঘণ্টা ধরে তারা বিক্ষোভ দেখান।

বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল গোষ্ঠাীদ্বন্দ্বে জেরবার ছিল। কিন্তু ভোটের সময় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সেভাবে মাথাচাড়া দেয়নি। ভোট কাটতেই আবার তা সামনে এসেছে। প্রবীণ সাংবাদিক আশিস গুপ্তের মতে, এটা স্বাভাবিক। ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেছেন, ''ভোটের সময় বাঁচার তাগিদে সকলে একসঙ্গে কাজ করেন। হেরে গেলে মারটা স্থানীয় নেতা-কর্মীদেরই খেতে হয়। ভোটের পর পাঁচ বছরের জন্য দল ক্ষমতায় আসে। ফলে আবার এলাকা দখল, এলাকায় প্রভাব বজায় রাখা শুরু হয়। তখন আবার গোলমাল সামনে আসে।''

আশিসের বক্তব্য, ''এমনিতেই করোনাকালে সকলের অবস্থা খারাপ। স্থানীয় স্তরে নেতাদের অবস্থা আরো খারাপ। ফলে নেতাদের ক্ষোভ-বিক্ষোভ এভাবেই সামনে চলে আসছে।'' কিন্তু ক্ষমতাসীন দলের ভিতর এই ক্ষোভ-বিক্ষোভ ও মন্ত্রী নিগ্রহের cla ঘটনা খুব একটা ভালো সংকেত দিচ্ছে না বলে মনে করছেন আশিস।

জিএইচ/এসজি(আনন্দবাজার)